শিরোনাম
◈ বোতলজাত সয়াবিনের দাম লিটারে ৪ টাকা বাড়লো ◈ মুজিবনগর সরকারের ৪০০ টাকা মাসিক বেতনের কর্মচারি ছিলেন জিয়াউর রহমান: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ◈ রেকর্ড বন্যায় প্লাবিত দুবাই, ওমানে ১৮ জনের প্রাণহানি ◈ টাইমের প্রভাবশালী ১০০ ব্যক্তির তালিকায় বাংলাদেশের মেরিনা ◈ দেশের মানুষকে ডাল-ভাত খাওয়াতে  ব্যর্থ হয়েছিল বিএনপি : প্রধানমন্ত্রী ◈ দক্ষিণ লেবাননে ইসরায়েল ফসফসরাস বোমা হামলা ◈ ঝালকাঠিতে ট্রাকচাপায় নিহতদের ৬ জন একই পরিবারের ◈ কেএনএফ চাইলে আবারও আলোচনায় বসার সুযোগ দেওয়া হবে: র‌্যাবের ডিজি ◈ ওবায়দুল কাদেরের হৃদয় দুর্বল, তাই বেশি অবান্তর কথা বলেন: রিজভী ◈ মুজিবনগর দিবস বাঙালির শৃঙ্খলমুক্তির ইতিহাসে অবিস্মরণীয় দিন: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত : ১৫ নভেম্বর, ২০১৯, ০৫:৪৫ সকাল
আপডেট : ১৫ নভেম্বর, ২০১৯, ০৫:৪৫ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বগুড়ায় চুরি হওয়া নবজাতক উদ্ধার, একজন আটক

আরএইচ রফিক, বগুড়া: শজিমেক কলেজ হাসপাতাল থেকে চুরি যাওয়া নব জাতককে বিশেষ অভিযানে উদ্ধার হয়েছে। বৃহস্পতিবার দিবাগত মধ্যরাতে বগুড়ার সুযোগ্য পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভূঞাঁ বিপিএম (বার) নিজ হাতে শিশুটিকে তার মায়ের কোলে তুলে দিয়েছেন। একই সাথে শিশুটিকে ১০হাজার টাকা উপহার হিসাবে দিয়েছেন। এসময় শিশুটির পিতা সৌরভ উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে শিশুটিকে বিশেষ অভিযানে শহরের চকলোকমান এলাকার একটি বাড়ি থেকে উদ্ধার করে পুলিশের একটি বিশেষ টিম। এসময় শিশু চুরির ঘটনায় জড়িত রেশমা খাতুন (৩৫ নামের এক নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়।

আটক রেশমা শাহজাহানপুর উপজেলার রামচন্দ্রপুর গ্রামের মৃত ছাত্তার মন্ডলের মেয়ে। তবে আটক রেশমা সাংবাদিকদের জানায়, তার বাড়ি শাহাজাহনপুর উপজেলার মাদলা ইউনিয়নের মালিপাড়া গ্রামে।

বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১২টায় বগুড়া সদর থানায় সংক্ষিপ্ত এক প্রেস ব্রিফিংকালে বগুড়ার পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভূঞাঁ বিপিএম (বার)সাংবাদিকদের চুরি যাওয়া শিশুটির শাসরুদ্ধকর উদ্ধার ঘটনা বর্ননা করতে গিয়ে আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করেন।এসময় তিনি শিশুটির জন্য তার মায়ের হাতে উপহার স্বরূপ নগদ ১০ হাজার টাকা তুলে দেন। এর আগে শিশুটির মা নাহিদা আক্তারকে হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. এসএমএম সালেহ ভুঞাঁর তত্ত্বাবধানে বিশেষ অ্যাম্বুলেন্স ব্যবস্থায় সদর থানায় আনা হয়।

এসময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন, বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক)হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. এসএমএম সালেহ ভুঞাঁ ,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সনাতন চক্রবর্তী, সদর থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) সার্বিক এসএম বদিউজ্জামান, ইন্সপেক্টর (তদন্ত) রেজাউল আলম রেজা, এসআই মঞ্জুরুল হক ভূঞাঁ, অভিযানে অংশ নেয়া এসআই নূরুল ইসলাম সহ বিভিন্ন পদবি ও এজেন্সির প্রতিনিধিবৃন্দ।

গত বুধবার দুপুরে হাসপাতালের গাইনি বিভাগ থেকে শিশু চুরির ঘটনা ঘটে।ঘটনার পর থেকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তৎক্ষনাতভাবে বিষয়টি চেপে গিয়ে নিজেরা শিশুটিকে উদ্ধারে সচেষ্ট হয়। সন্ধ্যা পর্যন্ত হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বিষয়টি চেপে রাখার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। এসময় বিভিন্ন গণমাধ্যম কর্মী হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অসহযোগিতা সর্তেও রাতে বিষয়টি বিভিন্ন মাধ্যমে প্রকাশ করতে শুরু করে।

বিষয়টি জানাতে পেরে বগুড়ার পুলিশ সুপার পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভূঞাঁ বিপিএম (বার)নিজ উদ্ধোগে শিশু চুরি বিষয়ে বগুড়া সদর ওসি’র মাধ্যমে খোজ খবর নেয়া শুরু করেন। রাতে শিশুর চাচা আব্দুস সামাদ এ বিষয়ে বগুড়া সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করলে, পুলিশ তৎক্ষনাত অভিযোগটি ধারা-২০১২সালের মানব পাচার প্রতিরোধ ওদমন আইনের ১০(২)৮ মতে মামলা নথি ভুক্ত করে।এর পর পরই পুলিশ সুপারের দিকনির্দেশনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তী ও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি সার্বিক) এসএম বদিউজ্জামান শিশুটি উদ্ধারে সর্ব শক্তি নিয়োগ করেন। শিশুটিকে উদ্ধারে রাতেই নামানো হয় পুলিশের একাধিক টিম।

বৃহস্পতিবার ভোর থেকে উদ্ধার অভিযানে পুলিশের গোয়েন্দা তৎপরতার ভিত্তিতে শাহাজানপুর এলাকায় একাধিক স্থানে অভিযান চালিয়ে অল্পের জন্য ব্যার্থ হন তারা। অভিযানের ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে সুনিদিষ্ঠ গোয়েন্দা তথ্যর ভিত্তিতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তী সদর ওসি বদিউজ্জামান ইন্সপেক্টর (তদন্ত) রেজা ,এসআই নূরুল ইসলাম এসআই মঞ্জুরুল হক ভুঞাঁসহ পুলিশের একটি বিশেষ টিম শহরের চকলোকমান এলাকায় অভিযান চালায়। পুলিশের দলটি প্রথমে গোটা এলাকা ঘিড়ে ফেলে এবং চিড়ুনি তল্লাশি শুরু করে। এর এক পর্যায়ে তারা এলাকার মধ্যাপাড়ার বাসিন্দা লোকমান হোসেনের পুত্র ফারুকের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে হাসপাতাল থেকে চুরি যাওয়া শিশুটিকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। এসময় সেখান শিশু চুরির অপরাধে গ্রেপ্তার করা হয় রেশমা খাতুনকে।

উল্লেখ্য ,গত বুধবার বগুড়ার কাহালু উপজেলার নলখড়িয়া গ্রামের মো. সৌরভের স্ত্রী নাহিদা আকতার (২৪)এর প্রসব বেদনা শুরু হলে দুপুর ১টার দিকে তাকে বগুড়া শজিমেক হাসপাতালের গাইনি বিভাগে ভর্তি করা হয়। ভর্তি হওয়ার পর নরমালভাবে সে একটি পুত্র সন্তান প্রসব করে। প্রসবের পর এক অপরিচিতি নারী এসে শিশুটিকে শিশু ওয়ার্ডে নিয়ে চিকিৎসা করার কথা বলে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু পরে শিশুটির খোজ নিতে গিয়ে সেখানে সদ্য ভূমিষ্ঠ শিশুটিকে পাওয়া যায়নি।ঘটনার পর হাসপাতাল কতৃপক্ষ বিষয়টি চেপে রাখার চেষ্টা করেন।

রাতে ঘটনার কানা ঘুসায় বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের সাংবাদিকরা ঘটনাস্থলে গেলেও হাসপাতাল র্কর্তৃপক্ষ তাদের কোন প্রকাশ সহযোগিতা না করে উল্টো তাদেরকে হাসপাতালে প্রবেশে বাধা দান করেন।

পরে সাংবাদিকরা ছোট ছোট তথ্যর ভিত্তিতে উল্লেকিত বিষয়ে অন লাইন ও সামাজিক সামাজিক মাধ্যমে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের গাইনি বিভাগ থেকে শিশু চুরির বিষয়টি প্রকাশ করতে থাকলে বিষয়টি ভাইরাল হয়।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়