দেবদুলাল মুন্না: হুমায়ূন আহমেদের মরদেহ ২০১২ সালে আমেরিকা থেকে ঢাকায় পৌঁছানোর পর তাকে কোথায় দাফন করা হবে এ নিয়ে তার প্রথম পক্ষের সন্তান এবং ভাইদের সাথে মতভেদ তৈরি হয় স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওনের সঙ্গে। লেখকের ভাই এবং প্রথম পক্ষের সন্তানেরা আগেই জানিয়েছিলেন তারা চান হুমায়ূন আহমেদকে ঢাকার বনানী কিংবা মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী গোরস্থানে দাফন করা হোক। কিন্তু লেখকের মৃত্যুর সময় তার পাশে থাকা স্ত্রী শাওন দাবি করেন, লেখকের শেষ ইচ্ছা ছিলো তাকে যেন নুহাশ পল্লীতেই দাফন করা হয়।
দফায় দফায় বৈঠকেও সিদ্ধান্ত না আসার পর এক পর্যায়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করেন। সে সময় একাধিক বৈঠকের পর হুমায়ূন আহমেদের ছোটভাই শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও লেখক মুহম্মদ জাফর ইকবাল ঘোষণা দেন হুমায়ূন আহমেদের শেষ শয্যা নুহাশ পল্লীতেই হবে। এসময় বা পরে তিনি বিভিন্ন সময়ে গণমাধ্যমে হুমায়ূন আহমেদের প্রাক্তন স্ত্রী গুলতেকিন খানের প্রতি তার শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার কথা জানিয়েছেন। কিন্তু গতকাল তার কাছে গুলতেকিন আহমেদ ও আফতাব আহমেদের বিয়ে সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ তারা দুজনেরই দায়িত্বশীল। আমি এ বিষয়ে কোনো মন্তব্যই করতে চাই না।’
আপনার মতামত লিখুন :