শিরোনাম
◈ জাতিসংঘে সদস্যপদ প্রস্তাবে মার্কিন ভেটোর নিন্দা ফিলিস্তিনের, লজ্জাজনক বলল তুরস্ক ◈ স্কুল পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের গল্প-প্রবন্ধ নিয়ে সাময়িকী প্রকাশনা করবে বাংলা একাডেমি ◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম  ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ চিকিৎসকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সংসদে আইন পাশ করব: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ মিয়ানমার সেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না: সেনা প্রধান ◈ উপজেলা নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আওয়ামী লীগের

প্রকাশিত : ১৫ নভেম্বর, ২০১৯, ০১:৩১ রাত
আপডেট : ১৫ নভেম্বর, ২০১৯, ০১:৩১ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

যুবলীগে অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িতরা বাদ আসছেন ক্লিন ইমেইজ ও ত্যাগিরা

সমীরণ রায়: ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের সহযোগি সংগঠন যুবলীগের ৭ম কংগ্রেস আগামী ২৩ নভেম্বর।সঙ্গত কারণে সংগঠনটি নিয়ে চলছে চুলচেড়া বিশ্লেষণ।ইতোমধ্যে ওমর ফারুক চৌধুরীকে সংগঠনটির চেয়ারম্যান পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।ক্যাসিনো ব্যবসা, টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি ও অনৈতিক কর্মকাণ্ডের দায়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটসহ খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া, জিকে শামীমসহ বেশ কয়েকজনকে জেলে পাঠানো হয়েছে।ফলে সংগঠনটি ইমেজ সঙ্কটে ভুগছে।এরই পেক্ষিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্লিন ইমেইজ, শিক্ষিত, সৎ, ও ত্যাগি নেতা খুঁজছেন। ফলে যুবলীগের এবার নতুন কমিটিতে অনৈতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতরা বাদ পড়ছেন।আসছেন ক্লিন ইমেইজ ও ত্যাগি নেতারা।

গত ২০ অক্টোবর গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকে বসে যুবলীগের একটি প্রতিনিধি দল।এ বৈঠক থেকে যুবলীগে ক্লিন ইমেজ ফিরিয়ে আনতে ওমর ফারুক চৌধুরীকে চেয়ারম্যান পদ অব্যাহতি দেয়া হয়। একই সঙ্গে ওই দিন আগামী ২৩ নভেম্বর ৭তম কংগ্রেসকে সামনে রেখে চয়ন ইসলামকে প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক ও সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদকে সদস্য সচিব করা হয়।

ক্যাসিনো-কাণ্ড লন্ডভন্ড যুবলীগের ভবিষ্যৎ নিয়ে সংগঠনটির নেতারা আশঙ্কায় দিনকাটাচ্ছেন। ৭ম কংগ্রেস ঘনিয়ে আসলেও কারো কোনো সার শব্দ নেই। তবে ভেতরে ভেতরে আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের দ্বারে দ্বারে ধর্ণা দিচ্ছেন।আগে যেখানে ব্যানার-ফেস্টুন দিয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় ও দলের সভাপতির ধানমণ্ডির কার্যালয়সহ রাজধানীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে টাঙিয়ে রাখা হতো।কিন্তু ২৩ নভেম্বর কংগ্রেসকে সামনে রেখেও তেমন কোনো ব্যানার-ফেস্টুন দেখা যাচ্ছে না।ইতোমধ্যে যুবলীগের কমিটতে থাকতে হলে বয়সসীমা ৫৫ বেঁধে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।সঙ্গত কারণে সংগঠনের সিনিয়র অনেক নেতাই কমিটিতে থাকছেন না। আর যারা বয়সের ফ্রেমের মধ্যে রয়েছেন, তাদের মধ্যে বেশিরভাগ নেতার বিরুদ্ধেই রয়েছে অনৈতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ।ফলে আগামীতে সংগঠনটির ভাবমূর্তি ফিরিয়ে আনতে মেধাবী, দক্ষ ও পরিচ্ছন্ন নেতাদের নিয়ে যুবলীগের কমিটি গঠন করার বিষয়েও প্রধানমন্ত্রী কঠোর অবস্থানে রয়েছেন।

যুবলীগের আগামী নেতৃত্বে যাদের নাম শোনা যাচ্ছে তাদের মধ্যে রয়েছেন- যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান শেখ ফজলুল হক মণির ছেলে শেখ ফজলে শামস পরশ ও তার ছোট ভাই ঢাকা-১০ আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, বর্তমান কমিটির সদস্য শেখ ফজলে ফাহিম (শেখ সেলিমের ছেলে), যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মির্জা আজম, বর্তমান প্রেসিডিয়াম সদস্য-শহীদ সেরনিয়াবাত, ফারুক হোসেন, মুজিবুর রহমান চৌধুরী ও ডা. মোখলেছুর রহমান হিরু। আর সাধারণ সম্পাদক পদে যারা আলোচনায় আছেন, তারা হলেন-বর্তমান কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন আহমেদ মহি, সুব্র্রত পাল, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজুলল হক আতিক, ফারুক হাসান তুহিন, অর্থ সম্পাদক সুভাষ চন্দ্র হালদার, সহ-সম্পাদক তাজউদ্দীন আহমেদ।

তবে অন্যসময় যুবলীগের কেন্দ্রের আগেই সংগঠনটির উত্তর-দক্ষিনের কংগ্রেস হওয়ার রেওয়াজ রয়েছে। কিন্তু এবার বিষয়টি একটু ভিন্ন। তাই আগামী কেন্দ্রীয় নেতৃত্বই উত্তর-দক্ষিণের কমিটি দেবেন। সে ক্ষেত্রে ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগে শীর্ষ নেতৃত্বে আলোচনার রয়েছেন ঢাকা মহানগর যুবলীগ উত্তরের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক মো. ইসমাইল হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. শাহাদাত হোসেন ভূঁইয়া সেলিম, উপ-দফতর সম্পাদক এ এইচ এম কামরুামান কামরুল ও প্রথম যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তাসভীরুল হক অনুর নাম শোনা যাচ্ছে। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের আলোচনায় রয়েছে বর্তমান কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাইন উদ্দিন রানা, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রেজা। আলোচনায় রয়েছেন বর্তমান কমিটির সহ-সভাপতি আহম্মেদ উল্লাহ মধু। দক্ষিণ যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে আলোচনায় রয়েছেন শহিদুল ইসলাম সুমন। তিনি ঢাকা মহানগর দক্ষিণের ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি।

যুবলীগের কংগ্রেসের প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক চয়ন ইসলাম বলেছেন, আগামী কংগ্রেসের মধ্য দিয়ে আমরা একটা ক্লিন ইমেজের যুবলীগ উপহার দিতে চাই।এটাই আমাদের মূল চ্যালেঞ্চ।আমরা কোনো অনুপ্রবেশকারী ও অনৈতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের ছাড় দেবো না।

যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন মহি বলেন, যুবলীগকে কলঙ্ক ও কালিমা মুক্ত হোক এটাই চাই। সংগঠনটিতে ত্যাগি, শিক্ষিত, সৎ ও ক্লিন ইমেজের নেতৃত্ব আসুক আমাদের একমাত্র চাওয়া। প্রধানমন্ত্রীকে আমরা যে কমিটমেন্ট দিয়েছি, আমরা সেই অনুযায়ী তারুণ্যের উদ্যমকে কাজে লাগাতে চাই। ফলে অনৈতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতরা আর যুবলীগে স্থান পাচ্ছেন না। সংগঠনের একজন কর্মী হিসেবে থাকতে চাই। তাই নেত্রী শেখ হাসিনা যেখানে রাখবেন, সেখানেই থাকবো।

যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক আতিক বলেন, যুবলীগ চেয়ারম্যানসহ কিছু নেতা যুবলীগে যে ইমেজ সঙ্কট তৈরি করেছেন। তিনি সংগঠনের আইন অনুযায়ী পরিচালন করতে না। নিজস্ব আইন অনুযায়ী করতেন। তবে প্রত্যাশা থাকবে সৎ, যোগ্য, শিক্ষিত ও ত্যাগি নেতাদের নিয়ে আসা। এককথায় আমরা একটি ক্লিন ইমেজের যুবলীগ চাই।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়