শাহনাজ বেগম : পাঁচ মাসেরও বেশি সময় ধরে শহরটিতে বিক্ষোভ অব্যাহত থাকলেও সবচেয়ে ভয়াবহ সহিংসতা সৃষ্টি হয়েছে গত সপ্তাহ থেকে। সহিংস সরকারবিরোধী এবারের বিক্ষোভটি বৃহস্পতিবার চতুর্থ দিনে গড়ালো। এতে স্থবির হয়ে পড়েছে শহরটি। ব্যাপক সহিংসতায় সড়কগুলো বন্ধ থাকায় পরিবহন সংযোগ ব্যহত হয়েছে। এ কারণে বন্ধ রয়েছে বহু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। রয়টার্স
বিক্ষোভকারী এবং কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা হংকং দ্বীপটির কাউলুন অঞ্চলের সঙ্গে সংযোগকারী ক্রস-হারবার টানেলের প্রবেশদ্বার এবং কাউলুন ও গ্রামীণ নতুন অঞ্চলগুলোর মধ্যে প্রধান সড়কগুলো অবরোধ করে রাখে। তারা যানবাহন ও কয়েকটি ভবনে আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছে এবং পুলিশ স্টেশন ও ট্রেনগুলোতে পেট্রোল বোমা ছুঁড়েছে এবং প্রাইম শপিংমলগুলোতে ভাংচুর চালিয়েছে।
সম্ভাব্য সংঘর্ষ থেকে নিজেদের রক্ষা করতে কয়েক হাজার বিক্ষোভকারী বিশ^বিদ্যালয়ের প্রবেশদ্বারে পুলিশের প্রবেশে বাধা দেয়। তারা পর্যাপ্ত খাবার, ইট, প্রেট্রোল বোমা ও অন্যান্য অস্থায়ী অস্ত্রের মজুদ করেছে। বিক্ষোভকারীদের সড়ক থেকে সরিয়ে দেয়ার জন্য টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করেছে পুলিশ।
রেলের পরিষেবা বন্ধ থাকায় অফিস কর্মীরা কর্মস্থলে পৌঁছাতে তাদের অনেক বেগ পোহাতে হয়। অনেকে রাস্তায় বের হয়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে না পারায় বাড়িতে ফিরে যেতে বাধ্য হন।
প্রত্যর্পণ বিল বাতিলের দাবিতে জুন মাসে হংকংয়ে বিক্ষোভ শুরু হয় তীব্র বিক্ষোভে বিল বাতিল করা হলেও স্বাধীনতার দাবিসহ নানা ইস্যুতে তারা বিক্ষোভ অব্যাহত রেখেছে। সম্পাদনা : রাশিদুল
আপনার মতামত লিখুন :