চঞ্চল চৌধুরী, ফেসবুক থেকে : অনেক বছর আগের কথা।সম্ভবত: ২০০৫ সাল হবে।মোস্তফা সরয়ার ফারুকী ভাইয়ের সংগে সেই বছর করা গ্রামীন ফোনের ‘মা’ বিজ্ঞাপনটি তুমুল জনপ্রিয়তা পায়।ঐ বিজ্ঞাপনের শ্যুটিং এ যাবার জন্য একটা বড় ব্যাগ কিনেছিলাম,কসটিউম বহনের জন্য ।ঐ বিজ্ঞাপনটা ছিল আমার মিডিয়া ক্যারিয়ারের টার্নিং পয়েন্ট।সে কারনে ঐ ব্যাগটাকে আমি সৌভাগ্য ব্যাগ মনে করতাম।অনেক বছর আমি খুব যত্ন সহকারে ঐ ব্যাগটা ব্যবহার করেছিলাম।
যাই হোক,ঠিক ঐ বছরেই হুমায়ূন স্যার তাঁর “কালা কৈতর” নাটকে অভিনয়ের জন্য আমাকে ফোন করেন।প্রথম দিন শ্যুটিং করেছিলাম স্যারের ধানমন্ডির বাসায়,তারপর নূহাশ পল্লীতে।
তখন থেকেই অভিনেতা চ্যালেন্জার ভাইয়ের সাথে আমার খুব আন্তরিক সম্পর্ক।
চ্যালেন্জার ভাই আমাকে বলেছিলেন,’তুমি কি স্যারের লেখার ভক্ত?’আমি বলেছিলাম ‘হ্যাঁ,ওনার লেখা অনেক গল্পের বই,উপন্যাস আমি স্কুলে,কলেজে থাকা অবস্হাতেই পড়ে ফেলেছি।’
(পেইন্টিং:শিল্পী শাজাহান আহমেদ বিকাশ)
তখন উনি বললেন,’তাহলে তুমি লজ্জা না করে স্যারের কাছে,তাঁর লেখা বই চাইবে।কেউ বই চাইলে,উনি খুশী হন।’
ওনার সংগে,ওনার বাসায় প্রথম দিনের পরিচয় আর শ্যুটিং এর অভিজ্ঞতার কথা আরেক দিন বলবো।
শুধু এটুকু বলি,ওনার বাসায় বড় বড় বুকসেল্ফ ভর্তি হাজার হাজার বই।দেখেই আমার চোখদুটো চিক্ চিক্ করে উঠলো।
সুযোগ বুঝে এক ফাঁকে স্যারকে বললাম,’স্যার,আমি আপনার লেখার ভক্ত,আমাকে যদি কয়েকটা বই দিতেন।’
স্যার বললেন,’কয়েকটা কেন?বুকসেল্ফ থেকে সব বইয়ের একটা করে কপি নিয়ে যাও’
ব্যাস,লজ্জা বা দ্বিধায় আমি সেই সুযোগ নষ্ট করিনি।নির্লজ্জের মত শ্যুটিং এর কাপড় চোপর বের করে সৌভাগ্যের ব্যাগ ভর্তি করে প্রায় শ’খানেক বই নিয়ে এসেছিলাম।
ঠিক একই কাজ করেছিলাম নূহাশ পল্লীতে শ্যুটিং করতে যেয়েও।
স্যার কিন্তু আমার সেই বই ডাকাতি দেখে খুশীই হয়েছিলেন।
সেই সাথেঅটোগ্রাফ সহ ওনার অনেক গুলো সিডি নাটকের একটা সেট আমাকে উপহার দিয়েছিলেন।
স্যারের বাসা থেকে আনা সেই বইগুলো সযত্নে আমার বাসার বুকসেল্ফে রাখা আছে।সযত্নে রেখে দিয়েছি তাঁর দেয়া সিডি নাটকের সংকলনটিও।
আজ স্যারের জন্মদিন।
অনেক অনেক শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা......
হে কলম যাদুকর.............
আপনার মতামত লিখুন :