ইসরাত জাহান উর্মি : আমাদের নারী শ্রমিকেরা অদক্ষ অবস্থাতে সৌদি আরব যায়, ফলে তারা মার খায়, ধর্ষিতা হয় এই দায় কার? বিএমএটি কি করে? আমাদের এই বিপুল জনগোষ্ঠীর জন্য দেশের ভেতর আমরা কাজ দিতে পারিনি, কর্মক্ষেত্র তৈরি করতে পারিনি এই দায় কার? এই নারীরা দেশেও গৃহকর্মীর কাজ করতে গিয়ে ধর্ষণ-নিপীড়নের শিকার হয় এই দায় কার? দেশে ধর্ষণের শিকার হওয়া নারী-শিশুর কথা বলার আগে কি সৌদিতে ধর্ষণের শিকার নারীর কথা বলা যাবে না? লাখ লাখ নারী যাচ্ছে সৌদিতে ফিরছে মাত্র ক’জন, আমরা কি পার্সেন্টেজ দিয়ে জীবনের দাম হিসাব করবো?
পুরুষেরা ‘মিসকিন’ গালি শুনে বছরের পর বছর কাজ করে রেমিটেন্স পাঠাচ্ছে, নারীরাইবা কেন একটু আধটু ধর্ষণের শিকার বা মারধর খেয়ে রেমিটেন্স পাঠাবে না ব্যাপারটা কি এ রকম (নারী-পুরুষ যখন সমান)? এখনই নারী শ্রমিক পাঠানো বন্ধ করতে হবে বলা মানে কি এসব নারীর কোনো বিকল্প কাজের ব্যবস্থা করতে বলা নয়? সৌদি আরবের সমাজটাকে কতোটুকু চিনি আমরা? সেদেশের নারীরা সদ্য পেয়েছে ড্রাইভিং করার অধিকার তাতেই প্রমাণ হয় বাপ-ছেলে বা পরিবারের পুরুষ নারী সব সদস্য দ্বারা নির্যাতন আসলে ঘটে না? বানানো? বাজার বন্ধ না হোক, সরকার কি রিনেগোশিয়েসনের কথা ভেবেছে একবারও? আমরা কি এক লাখ সত্তর হাজার টাকায় নারী শ্রমিকদের দাসী হিসেবে বিক্রি করছি কিনা সে সম্পর্কে রিথিংক করছি?
সর্বোপরি আমরা কি আমাদের নারীদের সম্মান করি? তাদের নিজের মানুষ ভাবী? নাকি ভাবী দেশেও হাজারটা গৃহকর্মী ধর্ষণের শিকার হচ্ছে বিদেশে হলেই বা ক্ষতি কী। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :