আক্তারুজ্জামান : বাংলাদেশ দলের টেস্ট স্পেশালিস্ট হিসেবে বেশ নাম কুড়িয়েছেন মুমিনুল হক। তবে এবার ভারত সফরে শুধু ব্যাটিং নয়, দলের নেতৃত্বও দিতে হচ্ছে মুমিনুলকে। কেননা নিয়মিত অধিনায়ক সাকিব আল হাসান নিষিদ্ধ থাকায় বাংলাদেশ দলের নেতৃত্বের ভার পড়েছে মুমিনুলের কাঁধে। তাই ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি সমানতালে দলও চালাতে হবে তাকে।
আগামীকাল ইন্দোরে কোহলির সঙ্গে টস করতে নামলেই নামের আগে ‘অধিনায়ক’ শব্দটি যুক্ত হবে মুমিনুলের। তিনি হবেন বাংলাদেশের এগারোতম টেস্ট অধিনায়ক।
দলকে নেতৃত্ব দেওয়ার সুযোগ পেয়ে বেশ উপভোগ করছেন মুমিনুল হক। কোনোরকম চাপ নয়, বরং দেশকে আরও বেশি দেওয়ার তাগিদ অনুভব করছেন তিনি। ‘এটা আমার জন্য অনেক রোমাঞ্চকর। খুব বড় একটা সুযোগ। এই সুযোগ হয়তো সবাই পায় না। সুযোগটা আমি খুব ভালোভাবে কাজে লাগাতে চাই। আর নেতৃত্ব যখন পেয়েছি তখন থেকে চাপের এই ব্যাপারটা কখনও অনুভব করিনি। অধিনায়কত্ব পাওয়ার আগে যেভাবে একজন ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলছিলাম এখনও সেভাবে ব্যাটসম্যান হিসেবেই খেলব।’
টেস্টে বাংলাদেশ দলকে নেতৃত্ব দেয়ার অভিজ্ঞতা আছে মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহর। দলে তাদের উপস্থিতি মুমিনুলের কাজটা সহজ করে দিয়েছে। তিনি নিজেও এটা স্বীকার করেছেন। ‘এটা আমার জন্য ভালো ব্যাপার যে, যাদের কথা বললেন তারা সবসময় আমাকে সহায়তা করে আসছেন। সিনিয়র দুই জনের সাহায্য পাওয়াটা আমার জন্য অনেক বড় প্রাপ্তি।’
নিজের নেতৃত্বের দর্শনটা খুব কঠোর করছেন না মুমিনুল। সতীর্থদের উজ্জ্বীবিত রাখার কাজটা সারছেন অল্প কথায়। তিনি বলেন ‘দলের সবাই অনুপ্রাণিত। তারা সবাই পরিণত। ওদের যতটুকু বলা দরকার ততটুকু বললেই যথেষ্ট। তাই খুব বেশি কথা বলিনি।’
আপনার মতামত লিখুন :