মো. গোলাম সারওয়ার : একটি মানুষের ভুলে ১৬ জনের প্রাণ গেলো। আরও প্রাণহানি ঘটতে পারে। কারণ আহত আরও শতাধিক। প্রতিটি দুর্ঘটনার কারণ থাকে। কারণ ছাড়া এগুলো ঘটেনা তেমন। এখানেও কারণ আছে। প্রাথমিকভাবে বলা হয়েছে, তূর্ণা নিশীথা ট্রেনের চালক সিগন্যাল অমান্য করায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। একটি মানুষের সংকেত অমান্য করার কারণে যদি বহু মানুষের প্রাণহানি ঘটে, তবে তার সংকতে অমান্য করাই হলো এক্ট অফ মার্ডার। তাহলে, নরহত্যার বিচার হোক।
এই জাতীয়ক্ষেত্রে উন্নত সভ্যতার দেশে শীর্ষ কর্তব্যক্তিদের দায়িত্ব নিতে হয়। কারণ তাঁর কর্মচারী-কর্মকর্তারা শুদ্ধাচার শিখেনি, নিয়মমানা শিখেনি; মানে তিনি তাদের যোগ্য করে তুলতে ব্যর্থ হয়েছেন। এমন না যে, মন্ত্রী নিজেই ঘটনাটি ঘটিয়েছেন। আবার হাজার হাজার কর্মীকে একজনের পক্ষে নিয়ন্ত্রণ করা তত সোজাও নয়। তবুও নেতাকে দায়িত্ব নিয়ে চলে যেতে হয়। তাতে করে পরের জন, আরো সচেতন থাকেন। তিনি তাঁর ডেপুটিদের আরো টাইট দেন।
ডেপুটিরা নিচের দিকে টাইট দেন। এভাবে সমগ্র প্রতিষ্ঠানে শৃঙ্খলা ও জবাবদিহিতা আসে। প্রতিষ্ঠান সবল হয়। সে জন্যে নেতা পদত্যাগ করেন, ভারতেও এই নজির আছে। আমাদের এখানে এটি বিরল এবং অসম্ভব। তাই এটি আমাদের আপাতত চাওয়া নয়। তবে সংকেত মানা যার দায়িত্ব এবং সংকেত মানার উপর যেখানে মানুষের জীবন-মরণ নির্ভর করে, সেখানে যে সংকেতকে অগ্রাহ্য করলো, তার উপযুক্ত বিচার হতে হবে। এটি খুন এবং মানব বিধ্বংসী সন্ত্রাস। এদেশে বিচার সম্বন্ধে মানুষে বিশ্বাস বড়ো দুর্বল। আমরা দেখতে চাই, এখন বিচার হয়। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :