শিরোনাম
◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ ইরানের ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের নতুন নিষেধাজ্ঞা ◈ আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম  ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ মিয়ানমার সেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না: সেনা প্রধান ◈ উপজেলা নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আওয়ামী লীগের ◈ বোতলজাত সয়াবিনের দাম লিটারে ৪ টাকা বাড়লো ◈ রেকর্ড বন্যায় প্লাবিত দুবাই, ওমানে ১৮ জনের প্রাণহানি

প্রকাশিত : ১৩ নভেম্বর, ২০১৯, ০৮:০৬ সকাল
আপডেট : ১৩ নভেম্বর, ২০১৯, ০৮:০৬ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে বৃদ্ধকে গাছে বেঁধে নির্যাতন, এটা কি মগের মুল্লুক?

হাসান বিন বাংলা : নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার আতলাপুর গ্রামের মৃত রমিজ উদ্দিনের ছেলে মজনু চৌধুরী নামক ছবির এই বয়স্ক ব্যক্তিকে ওই এলাকার মজিবুর রহমানের ছেলে মাহাবুর, মোহাম্মদ মিয়ার ছেলে আকবর মিয়া, আইয়ুব মিয়া, ইয়ানুছ মিয়ার ছেলে মাজাহারুল ও নাজমুলসহ তাদের নিয়োজিত সন্ত্রাসী বাহিনী গাছের সঙ্গে বেঁধে অমানুষিক নির্যাতন করেছে। কারণ একটাই তাহলো দরিদ্র মজনু রহমান যে বাড়িটিতে কেয়ারটেকার হিসেবে থাকেন, সেই বাড়ির মালিক মিজানুর রহমান মারা যাওয়ার পর তার দখল নিতে মরিয়া হয়ে উঠে উপরোল্লিখিত অমানুষের দল।

উল্লেখ্য যে, দারিদ্র্য নিপীড়িত মজনু চৌধুরী মিজানুর রহমানের বাসার কেয়ারটেকার থাকা অবস্থায়ই বিভিন্ন এনজিও সংস্থা থেকে ঋণগ্রহণ করে এলাকার কয়েকজনের কাছ থেকে পরিত্যক্ত পুকুর বর্গা নিয়ে মাছ চাষ করে আসছিলেন। পাশাপাশি উক্ত স্থানে বিভিন্ন শাকসবজির চাষাবাদও করেন। উপরোল্লিখিত সন্ত্রাসীরা মৃত মিজানুর রহমানের বাড়ি ও অন্যান্য জমিজমা দখল নিতে মজনু রহমানের উপর দিনের পর দিন নির্যাতন করতে থাকে। উক্ত সন্ত্রাসীরা মজনু রহমানের চাষ করা পুকুর থেকে মাছ ধরে বিক্রি করাসহ তার শাকসবজির গাছ কেটে দিয়েছে। তার মাছের চাষ করা পুকুরে তাকে যেতে দেয়া হয় না এবং হুমকি-ধমকি দিতে থাকে। এসব ঘটনা চলমান থাকা অবস্থায়ই গত মাসে একটি পুকুরে মাছ চুরির অপবাদ দিয়ে সন্ত্রাসীরা ফজরের নামাজরত অবস্থায় মসজিদ থেকে তুলে এনে মজনু রহমানকে নারিকেল গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখে। এরপর তার উপর নানাভাবে পাশবিক নির্যাতন চালায়। গুরুতর আহত অবস্থায় মজনু রহমানকে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

দীর্ঘ এক মাস হাসপাতালে চিকিৎসার পর কিছুটা সুস্থ হয়ে বাড়িতে এসে নির্যাতনের বিচার ও ঋণ নিয়ে চাষ করা মাছের পুকুর ফেরত এবং জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে মজনু রহমান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মমতাজ বেগমের কাছে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। এখানে আরও উল্লেখ্য যে, নির্যাতিত মজনু রহমান ইতোপূর্বে তার উপর নির্যাতনের বিষয়টি উল্লেখ করে একাধিকবার ভোলাব তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশকে অবহিত করলেও তারা কোনো ব্যবস্থা নেয়নি বলে জানায়। নারায়ণগঞ্জ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিকট অনুরোধ থাকবে যেন, অতিসত্বর উপরোল্লিখিত সন্ত্রাসীদের আইনের মুখোমুখি দাঁড় করাতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়। ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়