আক্তারুজ্জামান : জাতীয় ক্রিকেট লিগের (এনসিএল) পঞ্চম রাউন্ডের সবগুলো ম্যাচই নিষ্প্রাণ ড্রয়ে শেষ হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের প্রভাবে বৃষ্টি আর প্রতিকূল আবহাওয়ায় সবগুলো ম্যাচেই ছিলো বাগড়া। টায়ার ওয়ানের দুটি এবং টায়ার টু’র দুটি ম্যাচের চারটা ম্যাচের কোনটাতেই ফলাফল আসেনি। পঞ্চম রাউন্ড শেষে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে আছে খুলনা বিভাগ। ফলে শেষ ম্যাচে ঢাকার বিপক্ষে ড্র করলেই নিশ্চিত হবে তাদের শিরোপা। তবে সুযোগ থাকছে ঢাকাও। শেষ রাউন্ডে খুলনাকে হারাতে পারলে চ্যাম্পিয়ন হবে তারা।
মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয়েছিলো খুলনা ও রাজশাহী। রুবেল হোসেনের বোলিং তোপে পড়ে মাত্র ১৫১ রানেই শেষ হয় রাজশাহীর প্রথম ইনিংস। ফরহাদ রেজাও গুড়িয়ে দেন খুলনাকে। ২০১ রান তুলতেই শেষ হয় খুলনার সবকটি উইকেট। ৫০ রানে পিছিয়ে থেকে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করে রাজশাহী। ৫ উইকেটে ৯৮ রান তোলার পর দুই দলই ড্র মেনে নেয়। রুবেল হোসেন ম্যানসেরা হন।
বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে রংপুরের ২৩৪ রানের জবাবে ঢাকা ২২২ রান করে। দ্বিতীয় ইনিংসে ২৭১ রান করে ইনিংস ঘোষণা করে রংপুর। ৩০৪ রানের লক্ষ্যে দ্বিতীয় ইনিংস খেলতে নেমে ৪ উইকেটে ১৭৬ রান তোলে ঢাকা। ফলে ড্র হয় এই ম্যাচটাও। নাসির হোসেন ১৬১ রানে অপরাজিত থাকেন। ঢাকার হয়ে দারুণ ব্যাট করে ৮০ রানে অপরাজিত থাকেন রকিবুল হাসান। ম্যান অব দ্য ম্যাচ হন নাসির হোসেন ।
সিলেট বিভাগ বনাম ঢাকা মেট্রোর ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হচ্ছে রাজশাহীর শহীদ কামরুজ্জামান স্টেডিয়ামে। তৃতীয়দিনের ২৪৫ রান নিয়ে ব্যাট করতে নামে ঢাকা মেট্রো। এদিন আরও তিন উইকেট হারিয়ে ১৫০ রান যোগ তারা। ৬ উইকেটে ৩৯৫ রান করে ইনিংস ঘোষণা করে দলটি। ৩৫৬ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১ উইকেট হারিয়ে ৬০ রান তোলে সিলেট। এরপর দুই দল ড্র মেনে নিলে নির্ধারিত সময়ের ঘণ্টা খানেক আগেই ম্যাচটি শেষ হয়। ওয়ানডে স্টাইলে ব্যাটিং করে ৫১ বলে ৪৩ রান করে অপরাজিত থাকেন তৌফিক খান।
ঘরের মাঠে চট্টগ্রাম বিভাগকে আতিথেয়তা দিয়েছিলো বরিশাল বিভাগ। বুলবুলের প্রভাবে তিনদিন খেলা না হলেও চতুর্থ দিনে মাঠে বল গড়িয়েছে। যদিও ম্যাচের ফলাফল নির্ধারিতই ছিল। বরিশাল প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ৩ উইকেটে ৭০ রান করার পর ইনিংস ঘোষণা করে। পরে কোন উইকেট না হারিয়ে ৪৫ রান করে চট্টগ্রাম বিভাগ। এরপর ড্র মেনে নেয় দুই দল।
আপনার মতামত লিখুন :