শিরোনাম
◈ চট্টগ্রামে জুতার কারখানায় আগুন, নিয়ন্ত্রণে ১২ ইউনিট ◈ জিয়াও কখনো স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেনি, বিএনপি নেতারা যেভাবে করছে: ড. হাছান মাহমুদ ◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ উন্নয়ন সহযোগীদের একক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী

প্রকাশিত : ১৩ নভেম্বর, ২০১৯, ১২:২৩ দুপুর
আপডেট : ১৩ নভেম্বর, ২০১৯, ১২:২৩ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বাংলাদেশে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনা

লাইজুল ইসলাম: বাংলাদেশে সবচেয়ে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় ১৭০ জন নিহত হয়েছিলো। টঙ্গীতে এই দুর্ঘটনা ঘটে ১৯৮৯ সালে। ৪০০ জন আহত হন।এরপর চট্টগ্রাম লাইনে বেশ কয়েকটি মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনায় প্রাণ গেছে শতাধিক যাত্রীর। ৩০ বছর আগে ১৯৮৯ সালের দুর্ঘটনাও ছিল দুটি ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষ।

১৯৮৩ সালের ২২ মার্চ ঈশ্বরদীতে স্প্যান ভেঙে পড়ে সবচেয়ে বড় দুর্ঘটনাটি ঘটে । দুর্ঘটনার কারনে কয়েকটি বগি নিচে শুকনা জায়গায় পড়ে যায়। এ সময় ৬০ জন যাত্রী নিহত হন।হিসাব বলছে, চট্টগ্রাম রেল লাইনে গত ৩০ বছরে বেশ কয়েকটি ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটেছে। ১৯৮৯ সালে ২ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রামের কাছাকাছি ট্রেন লাইনচ্যুত হয়ে ১৩ জন নিহত ও ২০০ জন আহত হন।

২০১০ সালে চট্টগ্রামগামী আন্তঃনগর ট্রেন ‘মহানগর গোধূলি’ ও ঢাকাগামী মেইল ‘চট্টলা’র মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটে।এ ঘটনায় চট্টলা ট্রেনের একটি বগি মহানগর ট্রেনের ইঞ্জিনের ওপরে উঠে যায়। সেই দুর্ঘটনায় চালকসহ মোট ১২ জন নিহত হন।

এছাড়া, উত্তরবঙ্গে বেশকিছু ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটেছে।এরমধ্যে ‘হিলি ট্র্যাজেডি’ নামে পরিচিত ১৯৯৫ সালের ১৩ জানুয়ারি গোয়ালন্দ থেকে পার্বতীপুরগামী ৫১১ নম্বর লোকাল ট্রেনটির দুর্ঘটনা। এ ঘটনায় পার্বতীগামী ট্রেনটি হিলি রেলস্টেশনের এক নম্বর লাইনে এসে দাঁড়ায়।এর কিছুক্ষণ পর সেুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুয়দপুর থেকে খুলনাগামী আরেকটি আন্তঃনগর সীমান্ত এক্সপ্রেস একই লাইনে ঢুকে পড়ে।এসময় মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটলে অর্ধশতাধিক যাত্রী নিহত হন।

২০১৮ সালের ১৫ এপ্রিল গাজীপুরের টঙ্গী এলাকায় যাত্রীবাহী ট্রেন লাইনচ্যুত হয়ে ৫ জন নিহত হন।কমিউটার ট্রেনটি জামালপুর থেকে ঢাকা যাচ্ছিল।টঙ্গী এসেই ঘটে যত বিপত্তি।ট্রেনের ৫টি বগি লাইনচ্যুত হয়ে যায়।টঙ্গীর নতুনবাজার এলাকায় দুপুর ১২টার দিকে ঢাকা-জয়দেবপুর রেললাইনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।এতে আহত হয় প্রায় অর্ধশতাধিক।

২০১৯ সালের ২৩ জুন মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়ায় ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটে। উপজেলার বরমচাল রেলক্রসিং এলাকায় সিলেট থেকে ঢাকাগামী উপবন এক্সপ্রেসের ৪টি বগি লাইনচ্যুত হয়ে খালে ছিটকে পড়ে। এ ঘটনায় ৬ জন নিহত হন। নিহতের মধ্যে ৩ জন নারী ও ৩ জন পুরুষ।সেদিন রাত ১২টার দিকে কুলাউড়ার বরমচাল স্টেশনের পাশে ঢাকাগামী উপবনের বগি ছিটকে পড়ে।

বিশ্লেষকরা মনে করেন, ট্রেন চালকদের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ ও তারা বয়স্ক হওয়ায় এধরনের দুর্ঘটনাগুলো ঘটে। লোকবল সংকটের কারণে এদেরকে গ্রেডের দিয়ে উন্নীত করার মতো বিষয়গুলো এ জন্য দায়ী। সিগন্যাল ব্যবস্থার সমালোচনা করে তারা বলেন, ‘সিগন্যালিং ব্যবস্থায় সমস্যা রয়ে গেছে। এধরনের দুর্ঘটনা ঘটলে অধিকাংশ ক্ষেত্রে আসল কারণ আড়ালে চলে যায়। ট্রাফিকিং বিভাগ, মেকানিক্যাল, সিগন্যালিং ও মেইনটেনেন্স বিভাগ একে অপরকে দোষ দিতে থাকে।’

তিনি আরও বলেন, ‘দুর্ঘটনা ঘটার পরের যে প্রস্তুতি সেটি আমাদের একেবারেই নেই। দুর্ঘটনায় যদি আগুন ধরার মতো ঘটনা ঘটতো, সেক্ষেত্রে ট্রেনের মধ্যে আগুন নির্বাপণের সক্ষমতা কি আমরা রাখি? দুর্ঘটনার পর প্রনেরটিকে সরিয়ে নেওয়াটাই একমাত্র পরিত্রাণ হয়ে দাঁড়ায়। সার্বিকভাবে আমরা রেল বিভাগের গাফিলতি দেখতে পাই।’

সোমবার (১১ নভেম্বর) দিবাগত রাত তিনটার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার মন্দবাগ রেল স্টেশনে তূর্ণা নিশীথা ও উদয়ন এক্সপ্রেস ট্রেনের মধ্যে ঘটা মুখোমুখি সংঘর্ষটি আরও একটি ভয়াবহ দুর্ঘটনার তালিকাভুক্ত হলো। এ দুর্ঘটনায় এপর্যন্ত ১৬ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আহতের সংখ্যা অন্তত ১০০ জন। নিশীথা চট্টগ্রাম থেকে ঢাকার দিকে আর উদয়ন এক্সপ্রেস সিলেট থেকে চট্টগ্রাম যাচ্ছিল।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়