মুসবা তিন্নি : আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধুরী। বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের রাজশাহী জেলা শাখার সভাপতি, ছিলেন সাধারণ সম্পাদকও। রাজশাহী-১ আসন থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য। এর আগেও তিনি আরো দুইবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন এই আসন থেকেই। আওয়ামী লীগ সরকারের শিল্প প্রতিমন্ত্রীর দ্বায়িত্বও পালন করেছেন।
কেউ উনাকে বলছেন রাজাকার পুত্র, কেউ বলছে সাবেক ছাত্রদলের গুরুত্বপূর্ণ নেতা ও সাবেক বিএনপি নেতা। আবার কেউ বা বলছে রাজশাহীর ফ্রিডম পার্টির সংগঠক। তবে, যে যা বলুক কেউ কোনো প্রমাণ দিতে পারছে না।
সম্প্রতি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটি রাজশাহী জেলা কমিটির সকল সদস্যদের নিয়ে একটি আলোচনা সভার আয়োজন করেছে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে।
সেখানে ফারুক চৌধুরী দুই হাত জোড় করে কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে অনুরোধ জানান, "অনেক হলো, এবার আমাকে মুক্তি দেন। আমাকে কমিটি থেকে বাদ দিয়ে দেন অথবা জেলা কমিটি ভেঙে দেন। এই কমিটির চাঁদাবাজ, দুর্নীতিবাজ, জামায়াত ও বিএনপি'র পৃষ্ঠপোষক নেতারা যেভাবে আমাকে, আমার জন্মদাতা শহীদ পিতাকে নিয়ে চরম মিথ্যাচার ও নোংরামি করছে, সেসব আমি আর সহ্য করতে পারছি না। আমি আমার শহীদ পিতার সম্মান রক্ষা করতে চাই। এই দলব্যবসায়ীদের অপপ্রচার থেকে মুক্ত থাকতে চাই। এসব স্বার্থবাজদের সঙ্গে এক সাথে পথচলা, রাজনীতি করা আমার পক্ষে আর সম্ভব না। আমি কোনো পদে না থেকেও জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়নের একজন সৈনিক হিসাবে কাজ করতে চাই।"
অথচ উনার এই আবেদনের ছবি গতকাল সর্বপ্রথম এ্যডভোকেট আবদুস সালাম উপজেলা চেয়ারম্যান তিনি ফেসবুকে উদ্দেশ্যমূলকভাবে পোস্ট দেয়। তারপর থেকে সেই ছবি বিভিন্ন জনে একে অপরের মেসেঞ্জারে দিয়ে ছবিটি নোংড়া উদ্দেশ্যে ভাইরাল করে। এই আইনজীবি উপজেলা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধেও রয়েছে বিস্তর অভিযোগ। তিনি পিপি থাকা অবস্থায় টাকার বিনিময়ে জামায়াত-বিএনপির সন্ত্রাসীদের পেট্রোলবোমা নাশকতা মামলার সমস্ত আসামীদেরকে মামলা থেকে জামিন ও মুক্তি পেতে সাহায্য, সহযোগিতা করেছেন। এই দুর্নীতিবাজ চেয়ারম্যান তার এমপি শ্যালকের নাম করে চাকরি দেওয়ার কথা বলে অসংখ্য মানুষের কাছ থেকে অনেক অর্থ লুটপাট করেছেন।
আমরা তার এসব নোংরামীর তীব্র ঘৃণা ও প্রতিবাদ জানাই। পাশাপাশি যারা প্রকৃত ঘটনা না জেনেই এই মিথ্যা অপপ্রচারে অংশ নিচ্ছে তাদেরকে প্রকৃত ঘটনা জানার আহ্বান জানাই। সম্পাদনা : এইচ
আপনার মতামত লিখুন :