শিরোনাম
◈ কিছুটা কমেছে পেঁয়াজ ও সবজির দাম, বেড়েছে আলুর ◈ দেশের ৯২ শতাংশ মানুষ দ্বিতীয় কোনো ভাষা জানেন না, সময় এসেছে তৃতীয় ভাষার ◈ ভুটানের রাজার সঙ্গে থিম্পু পৌঁছেছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ চট্টগ্রামের জুতার কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে ◈ জিয়াও কখনো স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেনি, বিএনপি নেতারা যেভাবে করছে: ড. হাছান মাহমুদ ◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫

প্রকাশিত : ১২ নভেম্বর, ২০১৯, ০৮:০০ সকাল
আপডেট : ১২ নভেম্বর, ২০১৯, ০৮:০০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

জীবননগর থানা পুলিশের হাতে গ্রেপ্তারকৃত মাদক ব্যবসায়ীকে রক্ষা করতে দারোগার বিরুদ্ধে পরিবারের মিথ্যা অভিযোগ

জামাল হোসেন , চুয়াডাঙ্গা : উপজেলার কালা গ্রামের চিহিৃত এক গাঁজা ব্যবসায়ীকে কৌশলে পুলিশ গাঁজাসহ গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে পাঠিয়েছেন। এদিকে ওই গাঁজা ব্যবসায়ীকে রক্ষা করতে তার পরিবার পুলিশের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচারে মাঠে নেমেছে। পুলিশকে বেকায়দায় ফেলতে শুরু হয়েছে নানা ফঁন্দী-ফিকির। এদিকে মাদক ব্যবসায়ীর পরিবারের পক্ষ থেকে পুলিশের বিরুদ্ধে অপপ্রচারে এলাকার সচেতন মহলে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

সরজমিনে জানা যায়, জীবননগর উপজেলার মনোহরপুর ইউনিয়নের কালা গ্রামের মৃত হযরত আলীর ছেলে হামিদুল (৩৮) একজন চিহিৃত মাদক ব্যবসায়ী। এলাকায় পাইকারী ও খুচরা গাঁজা ব্যবসায়ী হিসাবে পরিচিত। তার খপ্পরে পড়ে এলাকার অনেক উঠতি বয়সের যুবক অকালে মাদকাসক্ত হয়ে বিপদগামী হয়েছে।সে দীর্ঘদিন ধরেই অত্যন্ত কৌশলে গাঁজার ব্যবসা করে আসছিলো।

গত বছর তার দুই কেজি গাঁজার নির্ধারিত স্থানে পৌছে দিতে গিয়ে গোপালনগর গ্রামের সুমন নামের এক যুবক র্যাব’র হাতে আটক হয়। হামিদুলের গাঁজা ব্যবসার বিষয়টি জীবননগর থানা পুলিশ খবর পেয়ে তাকে গ্রেপ্তার করতে জীবননগর থানার চৌকস এএসআই ইমামূল হক কৌশল অবলম্বন করেন।

জীবননগর থানার এএসআই ইমামূল হক বলেন, ক্রেতা সেজে তাকে গ্রেপ্তারের কৌশল অবলম্বন করি এবং দুই কেজি গাঁজা ক্রয়ের জন্য এক হাজার টাকার নোটে শম্ভু এবং একশত টাকার নোটে ৪৫ লিখে মাদক ব্যবসায়ী হামিদুলকে এক ব্যাক্তির মাধ্যমে অগ্রিম ২০ হাজার টাকা পরিশোধ করি।

পরবর্তীতে গাঁজা ব্যবসায়ী হামিদুল ভারত থেকে গাঁজা আনতে পারেনি অজুহাতে টালবাহানা শুরু করে। এক পর্যায়ে ৫ নভেম্বর বিকালে উক্ত গাঁজা দেয়ার কথা বলে। কিন্তু সর্বশেষ রাতে মাত্র ২৫০ গ্রাম গাঁজা পুলিশকে দিতে আসলে হাতেনাতে আটক হয়। এসময় পুলিশের দেয়া ২০ হাজার টাকা ফেরত চাইলে হামিদুল প্রথমে আট হাজার টাকা এবং পরে ১০ হাজার টাকা ফেরত দেয়।

গাঁজা ব্যবসায়ী হামিদুলকে থানায় জিজ্ঞাসাবাদের সময় সাংবাদিকের উপস্থিতিতে গাঁজা ব্যবসা করার এবং গাঁজা দেয়ার কথা বলে ২০ হাজার টাকা নেয়ার কথাও স্বীকার করে এবং টাকা ফেরত দেয়ার কথাও স্বীকার করে। পরবর্তীতে হামিদুলের স্ত্রী ওই টাকা পুলিশকে ফেরত দেয়। থানা ক্যাম্পাসে হামিদুলের দুই ভাই ও স্ত্রী জানায় তাকে বার বার গাঁজার ব্যবসা ছাড়তে বললেও সে ছাড়েনি। হামিদুল এর আগেও র্যাবের নিকট দশ হাজার টাকা হাতিয়ে নিলেও পরবর্তীতে তার সেই গাঁজা নিয়ে গ্রেপ্তার হয় সুমন।

এদিকে গাঁজা ব্যবসায়ী হামিদুলকে পুলিশ জেল হাজতে চালানের পর হামিদুলের স্ত্রী এলাকায় অপপ্রচার চালাইতে থাকে পুলিশ তার স্বামীকে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে গেছে এবং জোর করেই টাকা আদায় করেছে।

এ ব্যাপারে কালা গ্রামের একাধিক ব্যক্তির সাথে কথা বলে জানা গেছে, হামিদুল দীর্ঘদিনের গাঁজা ব্যবসায়ী। যে কারণে সে গ্রেপ্তার হওয়ার পর গ্রামের কেউ তার ব্যাপারে থানায় সুপারিশও করতে যায়নি। সচেতন মহলের দাবি গাঁজা ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তারের পর যদি প্রশাসনের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ তোলা হয়,তাহলে তো মাদক ব্যবসা প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে না।

এ ব্যাপারে মনোহরপুর ইউনিয়নের মেম্বার ও কালা গ্রামের বাসিন্দা ইদবারী মন্ডল বলেন, হামিদুলের বাড়ি আমার গ্রামে। হামিদুল গাঁজা ব্যবসায়ী হিসাবে এলাকায় পরিচিত। এর আগেও তার বিরুদ্ধে মাদকের একটি মামলা আছে। আমরা শুনেছি পুলিশ তাকে ক্রেতা সেজে আটক করেছেন। সম্পাদনা:জেরিন মাশফিক

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়