শিরোনাম
◈ অবশেষে মার্কিন সিনেটে সাড়ে ৯ হাজার কোটি ডলারের সহায়তা প্যাকেজ পাস ◈ কক্সবাজারে ঈদ স্পেশাল ট্রেন লাইনচ্যুত, রেল চলাচল বন্ধ ◈ ইউক্রেনকে এবার ব্রিটেননের ৬১৭ মিলিয়ন ডলারের সামরিক সহায়তা ◈ থাইল্যান্ডের উদ্দেশ্য রওনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ◈ জিবুতি উপকূলে অভিবাসীবাহী নৌকাডুবিতে ৩৩ জনের মৃত্যু ◈ লোডশেডিং ১০০০ মেগাওয়াট ছাড়িয়েছে, চাপ পড়ছে গ্রামে ◈ এফডিসিতে মারামারির ঘটনায় ডিপজল-মিশার দুঃখ প্রকাশ ◈ প্রথম ৯ মাসে রাজস্ব আয়ে ১৫.২৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন ◈ প্রথম ধাপে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সাত চেয়ারম্যানসহ ২৬ জন নির্বাচিত ◈ বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগ আহ্বান রাষ্ট্রপতির

প্রকাশিত : ১২ নভেম্বর, ২০১৯, ০৬:০৩ সকাল
আপডেট : ১২ নভেম্বর, ২০১৯, ০৬:০৩ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ঘূর্ণিঝড় বুলবুল : মারা গেছেন ২৬ জন

নিউজ ডেস্ক :  সুন্দরবনের বাধা পেরিয়ে ভেতরে প্রবেশ করে দুর্বল হয়ে পড়া ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’-এর আঘাতে উপকূলীয় জেলাগুলোতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে প্রাণ হারিয়েছে অন্তত ২৬ জন। এর মধ্যে বরিশালে ডুবে যাওয়া ট্রলার থেকে ১০ জেলের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। বাগেরহাট, বরিশাল, শরীয়তপুর, গোপালগঞ্জ, পিরোজপুর, পটুয়াখালী, মাদারীপুর ও বরগুনায় গাছ ও ঘর ভেঙে চাপা পড়ে মারা গেছে আরো ১৬ জন। ইত্তেফাক

বুলবুলের তাণ্ডবে সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, ভোলা, বরগুনাসহ উপকূলীয় জেলাগুলোর কাঁচা-পাকা ঘরবাড়ি, ফসল, মাছের ঘের, গাছপালা, বেড়িবাঁধ, সড়ক ও স্কুলের ভয়াবহ ক্ষতি হয়েছে। বুলবুলের কারণে লক্ষাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। সুন্দরবনের অনেক গাছপালা ভেঙে গেছে। দুর্যোগপূর্ণ জেলাগুলোতে ৫ হাজার ৫৮৭টি আশ্রয়কেন্দ্রে ২১ লাখ ৬ হাজার ৯১৮ জন আশ্রয় নিয়েছে। বুলবুলের কারণে দেশের দক্ষিণের উপকূলীয় জেলাগুলোর বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুত্ বিতরণব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। রবিবার সকাল থেকেই আশ্রয়কেন্দ্র ছেড়ে সাধারণ মানুষ নিজের বাড়িতে ফিরতে শুরু করেছে।

শনি ও রবিবার অন্তত ৩০ লাখ গ্রাহক বিদ্যুিবহীন ছিলন। এখনো বিদ্যুেসবা ফিরে পাননি অন্তত ৫ লাখ গ্রাহক। বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (আরইবি) সূত্র জানায়, রবিবার দুপুর থেকে বিদ্যুত্ সরবরাহ পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে কাজ শুরু হয়। গতকাল বিকাল পর্যন্ত প্রায় ২৫ লাখ গ্রাহকের লাইন স্বাভাবিক করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবারের মধ্যে বাকি ৫ লাখ গ্রাহককে ফের বিদ্যুত্ সংযোগের আওতায় আনা যাবে।

ইত্তেফাক অফিস, প্রতিনিধি ও সংবাদদাতাদের পাঠানো খবর : বাগেরহাট :জেলায় ঘরবাড়ি, গাছপালা ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। রবিবার সকালে বুলবুলের প্রভাবে গাছচাপায় দুই জন নিহত হয়েছে। এ সময় আহত হয়েছে আরো তিন জন। নিহতরা হলো রামপাল উপজেলার সোনাতুনিয়া গ্রামের বাবুল শেখের মেয়ে সামিয়া খাতুন (১৫) এবং ফকিরহাট উপজেলার বেতাগা ইউনিয়নের চাকুলী গ্রামের মাসুম শেখের স্ত্রী কহিনুর বেগম (২৫)।

বরিশাল অফিস : ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের তাণ্ডবে ডুবে যাওয়া ট্রলারের ৯ জন জেলের মৃতদেহ গতকাল সোমবার রাতে মেঘনা নদীর মোহনা ও মাসকাটা নদী থেকে উদ্ধার করেছে মেহেন্দীগঞ্জ থানার পুলিশ। এর আগে রবিবার একই স্থান থেকে আরো এক জেলের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। মেহেন্দীগঞ্জ থানার ওসি গতকাল রাতে জানান, উদ্ধার মৃতদেহগুলো হচ্ছে ভোলার দুলারহাটের মৃত নূরুল হকের ছেলে কামাল দালাল (৩৫), একই এলাকার কাদের মোল্লার ছেলে হাসান মোল্লা (৩৮), কাদের বেপারীর ছেলে নূরনবী (৩০), ছলিমন মাতুব্বরের ছেলে মফিজ মাতুব্বর (৩৫), এছিন পাটোয়ারীর ছেলে নজরুল ইসলাম (৩৫), মোসলেউদ্দিন মাঝির ছেলে কবির হোসেন (৪০), ইসমাইল খানের ছেলে বিল্লাল (৩২), চরফ্যাশনের মৃত মুজিবল হক মুন্সীর ছেলে আব্বাস মুন্সী (৪৪) এবং একই এলাকার মৃত জামাল বিশ্বাসের ছেলে রফিক বিশ্বাস (৪৪)। এছাড়া রবিবার রাতে উদ্ধার হওয়া জেলের নাম খোরশেদ। সব মিলিয়ে ১০ জন জেলের লাশ উদ্ধার হলো।

মেহেন্দীগঞ্জ থানার পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, রবিবার ঝড়ের কবলে পড়ে ২৪ জন জেলেসহ একটি ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটে। রবিবার রাতে মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলার বাহাদুর এলাকায় মাছকাটা নদীতে ডুবে যাওয়া ঐ ট্রলারের সন্ধান পাওয়া যায়। এ সময় সেখান থেকে খোরশেদ নামের এক জেলের মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। বরিশাল জেলা পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাইমুল হক ১০ জনের মৃতদেহ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এখনো এক জেলে নিখোঁজ রয়েছেন। তাকে উদ্ধারে পুলিশের তত্পরতা অব্যাহত রয়েছে।

এদিকে জেলা প্রশাসক এস এম অজিয়র রহমান জানিয়েছেন, উজিরপুর পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের নিজ বাড়িতে অবস্থানকালে ঝড়ের সময় গাছচাপা পড়ে আশালতা মজুমদার (৬৫) নামে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া শনিবার রাত থেকে শুরু হওয়া ভারী বর্ষণ ও বাতাসে জেলার সর্বত্র বিদ্যুত্ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।

শরীয়তপুর : রবিবার দুপুরে ঘূর্ণিঝড়ে গাছের চাপা পড়ে নড়িয়া উপজেলার ডিঙ্গামানিক ইউনিয়নের দেওজুড়ি গ্রামের মৃত জমিরুদ্দিন ছৈয়ালের ছেলে আলী ছৈয়াল (৬৮) ও ডামুড্যা উপজেলার বড় শিধুলকুড়া গ্রামের আজগর ঘরামির স্ত্রী আলেয়া বেগম (৪৮) নিহত হয়েছেন। জেলার বিভিন্ন স্থানে ৫৫০টি ঘর সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়েছে। ২ হাজার ৭৬০টি ঘর আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফসলের ক্ষতি হয়েছে ২ হাজার ৯৩১ হেক্টর জমির।

খুলনা অফিস : দাকোপ উপজেলার দক্ষিণ দাকোপ গ্রামের প্রমিলা মণ্ডল (৫২) গত রবিবার সকালে তীব্র ঝড়ের মধ্যে সাইক্লোন শেল্টার থেকে নিজ বাড়িতে প্রয়োজনীয় জিনিস নিতে আসেন। তিনি ঘরে ঢোকার পর শিরিষ ও নারকেল গাছ ঘরের ওপর ভেঙে পড়লে তিনি ঘর চাপা পড়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হন। অন্যদিকে, রবিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে দিঘলিয়া উপজেলার সেনহাটি গ্রামের কাতানীপাড়ার আলমগীর হোসেন গাছচাপা পড়ে মারা গেছেন। আলমগীর হোসেন ওই গ্রামের শফিউদ্দীন মিস্ত্রির ছেলে।

গোপালগঞ্জ : রবিবার দুপুরে গাছচাপা পড়ে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার খাটিয়াগড় গ্রামের মৃত বাবন কাজীর স্ত্রী মাঝু বিবি (৬৭) ও কোটালীপাড়া উপজেলার বান্ধাবাড়ী গ্রামের মৃত হাসান উদ্দিন হাওলাদারের ছেলে সেকেল হাওলাদার (৭০) নিহত হয়েছেন।

ভাণ্ডারিয়া (পিরোজপুর) : ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের প্রভাবে উপজেলার গৌরীপুর ইউনিয়নের পৈকখালী গ্রামের মো. মশিউর রহমানের চার বছরের ছেলে জাওয়াদ মারা গেছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. নাজমুল আলম। এদিকে ঘূর্ণিঝড়ে পাঁচ শতাধিক কাঁচা ও আধাপাকা ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। আমন ধান, পেঁপে, কলা, পানের বরজ, শীতকালীন শাকসবজি, গবাদিপশু, হাঁস-মুরগি ও মাছের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতি হয়েছে বিদ্যুত্লাইনেরও। পূর্ণিমার জোয়ার ও ভারী বর্ষণে কঁচা নদীতীরবর্তী লোকালয়ে পানি ঢুকে পড়ে। এর ফলে উপজেলার তলিখালী, হরিণপালা আবাসন, জাপনি ব্যাক, জুনিয়া, ইকড়ি, নদমুলা, চরখালী, ভিটাবাড়িয়া, ধাওয়া, গৌরীপুর ইউনিয়নসহ বিভিন্ন এলাকার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়। উপজেলায় প্রাথমিক ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় সাড়ে পাঁচ কোটি টাকার বলে গতকাল সোমবার উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। এদিকে ভাণ্ডারিয়া, কাউখালী, ইন্দুরকানী—এই তিন উপজেলার সাইক্লোন শেল্টারে আশ্রয় নেওয়া মানুষের নিরাপত্তার জন্য স্থানীয় প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছিলেন জাতীয় পার্টি-জেপির চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জু এমপি। এছাড়া তিন উপজেলার আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর ব্যক্তিগত উদ্যোগে শুকনো খাবার, বিশুদ্ধ পানি, মোমবাতি ও গ্যাসলাইট প্রদান করা হয়। স্থানীয় প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গসহ বিভিন্ন মাধ্যমে এসব এলাকার মানুষের সার্বক্ষণিক খোঁজখবর নেন তিনি।

অন্যদিকে ভাণ্ডারিয়ায় মোট ৫৩টি সাইক্লোন শেল্টারে আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়। এসব আশ্রয়কেন্দ্রে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এবং উপজেলা চেয়ারম্যান মিরাজুল ইসলামের পক্ষ থেকে শুকনো খাবার চিড়া, গুড়, বিশুদ্ধ পানি, মোমবাতি ও গ্যাসলাইট বিতরণ করা হয়। এসব আশ্রয়কেন্দ্রে সার্বক্ষণিক তদারক করেন উপজেলা চেয়ারম্যান মিরাজুল ইসলাম মিরাজ, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও পৌর প্রশাসক মো. নাজমুল আলম, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. তৌহিদুল ইসলাম, ওসি এস এম মাকসুদুর রহমান, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আওলাদ হোসেনসহ নিজ নিজ ইউপি চেয়ারম্যানরা। উপজেলা সদরে দুটি এবং বাকি ছয় ইউনিয়নে একটি করে মেডিক্যাল টিম কাজ করেছে। বিদ্যুত্লাইনের ওপর গাছ পড়ায় শনিবার রাত পৌনে ২টা থেকে সোমবার দুপুর ১টা পর্যন্ত সব স্থানে বিদ্যুতের সংযোগ বন্ধ ছিল। গতকাল সোমবার দুপুর ১টার দিকে উপজেলা সদরে বিদ্যুতের সংযোগ চালু করা হয়।

পিরোজপুর ও ইন্দুরকানী সংবাদদাতা : জেলায় গাছচাপায় সম্পূর্ণ ও আংশিক ক্ষতি হয়েছে ৫ হাজার বসতঘরের। গাছচাপায় গোপাল মণ্ডল নামের এক বৃদ্ধ নিহত হয়েছেন। জেলার বিভিন্ন স্থানে আহত হয়েছেন অন্তত ১৫ জন। ইন্দুরকানীতে গাছচাপায় সহস্রাধিক ঘর ভেঙে গেছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা বাসাঈদখালী চরেই শতাধিক ঘর বিধ্বস্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। কঁচা নদীর তীরবর্তী বেশ কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। গ্রামীণ সড়ক ভেঙে গিয়ে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। মাছের ঘের ডুবে গেছে। আমন ধানের হয়েছে ব্যাপক ক্ষতি। বিদ্যুতের লাইনে গাছ পড়ে বিদ্যুত্ বিচ্ছিন্ন হয়েছে পড়েছে সম্পূর্ণ উপজেলা। ইন্দুরকানী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এম মতিউর রহমান জানান, গাছচাপায় সহস্রাধিক বসতঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। ভেঙেছে অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও। নির্মাণাধীন বেড়িবাঁধ ভেঙে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। অনেক রাস্তা মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

কাউখালী (পিরোজপুর) : কাউখালীতে সাড়ে তিন ঘণ্টার তাণ্ডবে বুলবুল ক্ষতচিহ্ন রেখে গেছে অসংখ্য ঘরবাড়ি, গাছপালা আর ফসলের মাঠে। সোমবার পর্যন্ত সড়কের ওপর গাছ সরানোর কাজ চলছিল। বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে ও তার ছিঁড়ে গেছে। এর ফলে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে বিদ্যুত্ ও মোবাইল নেটওয়ার্ক। গাছচাপা পড়ে আহত হয়েছেন ১০ জন।

মীর্জাগঞ্জ (পটুয়াখালী) : উপজেলার মাধবখালী ইউনিয়নের উত্তর রামপুর গ্রামে ঘরের চালে গাছ পড়লে হামেদ ফকির (৭০) নামে এক বৃদ্ধ মারা যান।

ঝালকাঠি : ঝালকাঠিতে ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের প্রভাবে আমন ধান, সড়ক, কাঁচা ঘরবাড়ি ও মাছের ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়েছে।

মোংলা (বাগেরহাট) : ১ হাজার ৬৮০টি চিংড়িঘের ভেসে গেছে। চিলা ইউনিয়নে দুটি রাস্তা ভেঙে পশুর নদীতে বিলীন হয়ে গেছে।

সাতক্ষীরা : সাতক্ষীরার ৪৭ হাজার কাঁচা ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভেসে গেছে ৫ হাজার ১৭টি মত্স্য ঘের। আংশিক ও সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ২৫ হাজার হেক্টর জমির রোপা আমন ও ২ হাজার হেক্টর জমির সবজি, পান, সরিষা ও কুলসহ অন্যান্য ফসল।

বরগুনা (উত্তর) : রবিবার সন্ধ্যায় জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ এক সংবাদ সম্মেলনে জনান, ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের প্রভাবে বরগুনা জেলায় দুই জন মারা গেছে, আহত হয়েছে ১৭ জন। নিহতরা হলেন—সদর উপজেলার এম. বালিয়াতলী ইউনিয়নের বানাই গ্রামের হালিমা খাতুন (৬৬) ও বুড়িরচর ইউনিয়নের ছোটো লবণগোলা গ্রামের মাওলানা মহিবুল্লা (৪০) । বঙ্গোপসাগর থেকে ফেরার পথে ট্রলারসহ নিখোঁজ হয়েছেন ১৫ জেলে।

মাদারীপুর : মাদারীপুর জেলায় সালেহা বেগম (৪০) ও হেলালউদ্দিন জমাদ্দার (৫০) নামে দুই জন নিহত হয়েছেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়