মাসুম রেজা : নূর হোসেন টেম্পু ড্রাইভার ছিলেন। বস্তিতে থাকলে মনটা ছোট হয়ে যায় বলে তিনি একটা দালানবাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকতেন। মদ খেতেন। ১৯৮৪ সালে যখন খুনি এরশাদের লোকেরা মিছিলের উপর ট্রাক তুলে দেয়... সেই বীভৎস দৃশ্য নূর হোসেন টেম্পুতে বসে দেখেছিলেন। সেই থেকে তার রাজনীতিতে আসা। রাজনীতি মানে খুনি এরশাদবিরোধী আন্দোলনে যোগ দেয়া। তারপর থেকে সব আন্দোলন-সংগ্রামে তিনি সোচ্চার ছিলেন। ১৯৮৭ সালের ১০ নভেম্বর বুকে-পিঠে স্লোগান লিখে গণআন্দোলনে যোগ দিয়েছিলেন। একসময় বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও সেখানে যান এবং নূর হোসেনকে দেখে বলেন ‘তুমি জামাটা পরে নাও। না হলে তোমাকে লক্ষ্য করে ওরা গুলি করবে’।
নূর হোসেন জবাব দিয়েছিলেন ‘আপা আপনি আমার মাথায় হাত দিয়া দেন। আর কিচ্ছু লাগবো না’। নূর হোসেনকে নিয়ে আমি ‘জীবন্ত পোস্টার’ নামে নাটক লিখে রাবিতে প্রদর্শনী করেছিলাম ঘটনার তিন-চারদিন পরই। নাটকটি লেখার সময় এসব তথ্য আমি সংগ্রহ করেছিলাম। সুতরাং যারা বলছেন নূর হোসেন লাশের রাজনীতির ক্রীড়নক ছিলেন তাদের প্রতি ঘৃণা জানাচ্ছি। আওয়ামী লীগের নেতারা বঙ্গবন্ধুকন্যা হাসিনা হাসিনা বলতে বলতে মুখে ফেনা তুলে ফেলেন অথচ শেখ হাসিনা যাকে জামা পরে নিতে বলেছিলেন আর যে বলেছিলো আপনি আমার মাথায় হাত দিয়ে দেন... সেই নূর হোসেনকে যখন ক্ষমতার উচ্ছিষ্টভোগী চাঁদাবাজ রাঙ্গারা ইয়াবাখোর বলে আখ্যায়িত করছে তখন চুপ করে থাকছেন সেই নেতারা। ধিক এই রাজনীতিকে ধিক। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :