আক্তারুজ্জামান : ভারতের মতো পরাশক্তির বিরুদ্ধে তাদের মাটিতে সাকিব-তামিমবিহীন বাংলাদেশ দল সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে রীতিমত আতঙ্ক সৃষ্টি করেছিলো। তরুণ তুর্কি মোহাম্মদ নাঈমের ৮১ রানের ইনিংসটির সুনাম চলছে বিশ্বজুড়ে। বাংলাদেশের ভঙ্গুর দলের এই পারফরম্যান্সে রীতিমত অবাক বনে গেছেন হরভজন সিং, রাহুল দ্রাবিড় ও সুনীল গাভাস্কারের মতো কিংবদন্তীরাও। তাছাড়া দিল্লির মাঠে ভারতকে যেভাবে হারিয়েছিলো সেটাতে সবাই বলতে শুরু করেছে বাংলাদেশ এখন অনেক পরিণত দল।
নাগপুরের বিদর্ভ ক্রিকেট একাডেমি মাঠে ভারতের ১৭৪ রানের জবাবে বাংলাদেশ থেমে গিয়েছিলো ১৪৪ রানে। ৩০ রানে হারায় সিরিজ হাতছাড়া হয় টাইগারদের। তবে এতে হতাশা নেই দেশের ক্রিকেট প্রেমীদের মধ্যে। শুধু একটু আফসোস রয়েছে। যদি আরেকটু ভালো খেলা যেতো, তবে . . . .।
ভারতের মাটিতে এভাবে বুক চিতিয়ে লড়াই করা রিয়াদ-মুশফিকদের পারফরম্যান্স নিয়ে ভীষণ সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন দেশের সাবেক জয়তু ক্রিকেটাররা। জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক রকিবুল হাসান তো প্রসংশায় ভাসিয়েছেন টাইগারদের। তিনি বলেন, ভারত সফরে গিয়ে এই বাংলাদেশ দল এতো ভালো করবে সেটা ধারণা ছিলো না। যেখানে অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকার মতো দল এসে নাকানি-চুবানি খায় সেখানে বাংলাদেশ যথেষ্ট ভালো খেলেছে।
সাবেক অধিনায়ক ও জাতীয় দলের নির্বাচক হাবিবুল বাশার সুমনও টাইগারদের প্রশংসায় প্রঞ্চমুখ। বাশার বলেন, দিল্লির মাঠে জয় পাওয়াটাই আমাদের টার্নিং পয়েন্ট ছিলো। ওই আত্মবিশ্বাসে সিরিজ জয়ের পথেই ছিলাম। কিন্তু ছোটখাটো কিছু ভুলের জন্য সিরিজটা জিততে পারিনি। তবে এই দলের পারফরম্যান্স যথেষ্ট সন্তোষজনক।
টি-টোয়েন্টি সিরিজের পারফরম্যান্সর এই ধারাবাহিকতা টেস্টেও দেখা যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন বাশার। তার ভাষ্যমতে, টি-টোয়েন্টিতে ওরা যেমন সন্তুষ্ট করেছে, ঠিক সেকরমভাবে টেস্ট সিরিজেও ভালো ফলাফল উপহার দিবে। দল নির্বাচনও সেভাবে করেছি।
তিন ম্যাচের দুটিতে হারলেও একটিতে জয়। বাকি দুটোর লড়াই ছিলো প্রশংসাজনক। তাই সবমিলিয়ে বাংলাদেশ দলের পারফরম্যান্সে দশের মধ্যে কত পেতে পারে? এমন প্রশ্ন ছিলো আরেক সাবেক অধিনায়ক গাজী আশরাফ হোসেন লিপুর কাছে। তিনি মাহমুদউল্লাহর দলকে একেবারে হতাশ করেননি। সাড়ে সাত দিয়ে টাইগারদের খেলায় মুগ্ধতার কথা বলেছেন। সেই সঙ্গে আগামী ১৪ নভেম্বর থেকে শুরু হতে যাওয়া টেস্ট সিরিজেও ভালো সংবাদ পাওয়ার আশা ব্যক্ত করেছেন।
আপনার মতামত লিখুন :