সাইফুর রহমান : ১০ নভেম্বর রোববার দেশটির মানবাধিকার কমিশন এক বিবৃতিতে জানায়, গত ১ অক্টোবর থেকে এসব হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালও বিক্ষোভকারীদের ওপর এমন হত্যাযজ্ঞের সমালোচনা করে কর্তৃপক্ষকে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীগুলোর লাগাম টেনে ধরার আহ্বান জানায়। গত ২২ অক্টোবর সরকারি তদন্ত প্রতিবেদনে উঠে আসে, বিক্ষোভকারীদের ওপর সরকারি বাহিনীর মাত্রাতিরিক্ত বল প্রয়োগ ও গুলিবর্ষণের ফলে বিক্ষোভকারীদের প্রাণহানির ঘটনা ঘটছে। জাতিসংঘও একই রকম মত দিয়েছে। তবে সম্প্রতি ইরাকি প্রেসিডেন্টের দপ্তর এক বিবৃতিতে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভে হস্তক্ষেপের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে। আনাদোলু, সিএনএন
এর আগে বিক্ষোভকারীদের ওপর ইরাকের রাষ্ট্রীয় বাহিনীর হত্যাযজ্ঞের মধ্যেই দেশটির সরকারের পক্ষে অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করে প্রতিবেশী দেশ ইরান। ইরাকজুড়ে দুর্নীতি ও বেকারত্বের বিরুদ্ধে গণবিক্ষোভকে দেশের পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করে তোলার চক্রান্ত হিসেবে আখ্যায়িত করে তেহরান। ইরানের স্পিকারের উপদেষ্টা হোসেইন আমির আব্দুল্লাহিয়ান বলেন, এই চক্রান্তের পেছনে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্র দেশগুলোর হাত রয়েছে। তারা ইরাকি জনগণের কিছু যৌক্তিক দাবিদাওয়ার প্রেক্ষিতে উদ্ভূত পরিস্থিতির অপব্যবহার করছে এবং এসবের মধ্য দিয়ে তারা ইরাক সরকারের পতন ঘটাতে চায় বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
গত ১ সেপ্টেম্বর থেকে কর্মসংস্থানের সংকট, নিম্নমানের সরকারি পরিষেবা এবং দুর্নীতির অভিযোগ তুলে বিক্ষোভে নামেন কয়েক হাজার তরুণ। নির্দিষ্ট কোনো রাজনৈতিক দলের অনুসারী না হয়েও রাষ্ট্রীয় অনিয়মের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধের শপথ নিয়ে আন্দোলনে নামেন তারা। সরকারি বাহিনী তাদের দমনে টিয়ারশেল ও গুলি চালালে বিক্ষোভ আরো জোরালো হয়, ছড়িয়ে পড়ে বিভিন্ন শহরে। বিশেষ করে শিয়া অধ্যুষিত দক্ষিণাঞ্চলীয় বেশ কয়েকটি শহরে বিক্ষোভ ব্যাপক আকার ধারণ করে। অব্যাহত গণবিক্ষোভের মুখে সম্প্রতি পার্লামেন্ট ভেঙে দিয়ে আগাম নির্বাচনের আহ্বান জানিয়েছেন শিয়া নেতা মুকতাদা আল-সদর।
আপনার মতামত লিখুন :