আক্তারুজ্জামান : এমন ম্যাচও জিততে না পারলে সেটার হতাশা শেষ হয় না। কিভাবে হবে? ভারতের মতো প্রতিপক্ষের বিপক্ষে তাদেরই ডেরায় ফেলে নাস্তানাবুদ করছিলেন তরুণ তুর্কি। কিন্তু তিনি আউট হওয়ার পরই পুরো বাংলাদেশ দল ভেঙে পড়লো তুরুপের তাসের মতো। দল হারলেও নিজেকে চেনাতে পেরেছেন মোহাম্মদ নাঈম। সেই সঙ্গে দারুণ একটি ইনিংস খেলায় প্রশংসা পেয়েছেন তরুণ এ ওপেনার। কিন্তু তিনি আক্ষেপে পুড়ছেন আসলে দলের জন্য। দল না জিতলে ব্যক্তিগত সাফল্যের আর কি দাম।
সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে ভারতের দেওয়া ১৭৫ রান তাড়ায় নেমে নাঈম একাই করেন ৪৮ বলে ৮১ রান। আরও দুই তিনজন কিছুটা অবদান রাখলেও এখান থেকে খেলার ফল আসত বাংলাদেশের পক্ষেই। কিন্তু বাকি দশজন মিলে করলেন কেবল আর ৬৩ রান। এরমধ্যে মোহাম্মদ মিঠুনের ২৭ বাদ দিলে নয়জনের সম্মিলিত রান মাত্র ৩৬। জেতার মতো অবস্থায় গিয়ে শেষ ৩৪ রানে ৮ উইকেট হারিয়ে অবিশ্বাস্যভাবে ম্যাচ হারে বাংলাদেশ।
অথচ এই দলের মধ্যে বয়সে সবচেয়ে তরুণ নাঈম। মাত্র নেমেছিলেন নিজের ক্যারিয়ারের তৃতীয় ম্যাচে। দেশে ফেরার আগে জানিয়েছেন তীব্র আক্ষেপ। ‘আক্ষেপতো অনেক বেশি, ম্যাচটা আসলে জেতা যেতো। আর সেটা হলে অনেক বড় ব্যাপার হতো, অনেক ভালো লাগতো। জিততে পারিনি বলেই খারাপ লাগছে। আর একটা জুটি হলেও হয়তো আমরা জিততে পারতাম।’
১২ রানে দুই উইকেট পড়ার পর মিঠুনকে নিয়ে ৬১ বলে ৯৮ রানের জুটি গড়েন নাঈম। জুটিতে তিনিই ছিলেন আগ্রাসী। লেগ স্পিনার যুজবেন্দ্র চাহালকে টানা তিন চারে শুরু তার সাহসী ব্যাটিং। এরপর ওয়াশিংটন সুন্দর নাঈমের ব্যাটে আছড়ে পড়েন সীমানার ওপারে। হঠাৎ ভালো এক ইয়র্কারে ফেরত যান। তার বিদায়ে হুড়মুড় করে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশও। ‘আমার কাছে মনে হয় পুরো ইনিংসে ওদের সেরা বল ছিল। আর সেঞ্চুরির জন্য খেলিনাই দল জেতানোর জন্য খেলছিললাম। এই জায়গায় সফল হতে পারিনি, এটা হয়তো খারাপ লাগছে।’
ভারতের বিপক্ষে সিরিজেই অভিষেক হয় নাঈমের। প্রথম ম্যাচে করেছিলেন ২৬ রান। পরের ম্যাচে ৩০ বলে করেন ৩৬। তবে এসব মাঝারি ইনিংস তাকে ঠিক আলোয় আনতে পারছিল না। ৮১ রানের ইনিংসের পর তারকা তকমা গায়ে লাগা নাঈম দেশে ফিরে আপাতত ইমার্জিং টিম এশিয়া কাপে মন দিবেন। জাতীয় দলে নিজেকে চিনিয়ে বার্তা দিলেও সব জায়গাতেই রাখতে চান ধারাবাহিকতার ছাপ।
ম্যাচ শেষে সতীর্থদের অভিনন্দন তো পেয়েছেনই। তাকে বাহবা দিতে ছুটে এসেছিলেন ধারাভাষ্যের কাজে থাকা হরভজন সিং, ইরফান পাঠানরা। তাতে কিছুটা আনন্দ পেলেও ক্ষত সারেনি। ‘আমাদের দলের অনেকে অনেক কিছু বলছে (প্রশংসা), এখানে আমার টিমম্যাট ছাড়াও ওদের কিছু ক্রিকেটার ছিলেন তারাও অভিনন্দন জানিয়েছেন। হারভজন সিং ছিলেন তিনি বলেছেন আমি আর দুই ওভার থাকলে হয়তো ম্যাচ জিততে পারতাম। প্রশংসা করেছে আমার।’
আপনার মতামত লিখুন :