শিরোনাম
◈ সাতক্ষীরায় এমপি দোলনের গাড়িতে হামলা ◈ চুয়াডাঙ্গার পরিস্থিতি এখন মরুভূমির মতো, তাপমাত্রা ৪১ দশমিক  ৫ ডিগ্রি ◈ ফরিদপুরে পঞ্চপল্লীতে গণপিটুনিতে ২ ভাই নিহতের ঘটনায় গ্রেপ্তার ১ ◈ মিয়ানমারের ২৮৫ জন সেনা ফেরত যাবে, ফিরবে ১৫০ জন বাংলাদেশি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ◈ ভারতে লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফায় ভোট পড়েছে ৫৯.৭ শতাংশ  ◈ ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ গড়ার কাজ শুরু করেছেন প্রধানমন্ত্রী: ওয়াশিংটনে অর্থমন্ত্রী ◈ দাম বেড়েছে আলু, ডিম, আদা ও রসুনের, কমেছে মুরগির  ◈ প্রার্থী নির্যাতনের বিষয়ে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে, হস্তক্ষেপ করবো না: পলক ◈ ২০২৫ সালের মধ্যে ৪৮টি কূপ খনন শেষ করতে চায় পেট্রোবাংলা ◈ বিনা কারণে কারাগার এখন বিএনপির নেতাকর্মীদের স্থায়ী ঠিকানা: রিজভী

প্রকাশিত : ১১ নভেম্বর, ২০১৯, ১১:২৪ দুপুর
আপডেট : ১১ নভেম্বর, ২০১৯, ১১:২৪ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় নায়কেরা

সানমুন নিশাত: বাংলাদেশের বেশিরভাগ সিনেমা নায়ক নির্ভর। সিনেমার প্রধান চরিত্র নায়ক ও নায়িকার। নায়ক মানেই তার নায়িকাও আছেন। ঢাকার সিনেমা যাত্রা শুরু করে ১৯৫৬ সালে। ষাটের দশক থেকে আজ অবধি সিনেমায় নায়ক আছেই। - ডেইলিস্টার

এই দেশের প্রথম বাংলা সিনেমা– মুখ ও মুখোশ। আবদুল জব্বার পরিচালিত এই ছবির নায়ক ছিলেন আমিনুল হক। সেটা ১৯৫৬ সালের কথা। নায়ক হিসেবে দাঁড়িয়ে যান আমিনুল হক। এই দেশের দর্শকরা পেলেন নতুন একজন নায়ক এবং পেলেন নিজেদের দেশের সিনেমা। এরপর এই নায়ক বেশকিছু সিনেমা করেছেন। আকাশ আর মাটি সিনেমাটি তার অভিনীত জনপ্রিয়তা পাওয়া একটি সিনেমা।

একটা সময়ে তিনি পার্শ্ব চরিত্রে অভিনয় শুরু করেন। টিভি নাটকও করেন। ১০ বছর আগে তিনি প্রয়াত হয়েছেন।

৬০ এর দশকের নায়কদের মধ্যে যিনি সবচেয়ে জনপ্রিয়তা পান তিনি হলেন রহমান। এই দশকের আরেকজন নায়কের নাম কাফী খান। সেই সঙ্গে এই দশকের আরেকজন জনপ্রিয় নায়কের নাম গোলাম মুস্তাফা।

গোলাম মুস্তাফা একই সাথে নায়ক ছিলেন এবং অসম্ভব গুণী একজন খলনায়কও ছিলেন। আহসান আলী সিডনী ছিলেন ৭০ দশকের একজন জনপ্রিয় নায়ক। খলিলউল্লাহ

খলিলও ওই দশকের আরেকজন জনপ্রিয় নায়ক। আজিম ছিলেন একই সময়ের সাড়া জাগানো একজন নায়ক। তবে, রহমান-শবনম জুটি হয়ে প্রচুর সিনেমা করেছেন।

ভারতীয় বাংলা সিনেমা এবং পাকিস্তানি উর্দু সিনেমার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে রহমান নায়ক হিসেবে নিজের ভালো একটা অবস্থান গড়ে নেন। গোলাম মুস্তাফা নায়ক থেকে একসময় খল নায়কের চরিত্রেও অভিনয় করেন। খলিলও তাই করেন। আজিজ নায়ক হিসেবেই সরব ছিলেন।

১৯৬৪ সালে বেহুলা সিনেমা দিয়ে এদেশের বাংলা সিনেমায় নাম লেখান রাজ্জাক। সেটা জহির রায়হানের হাত ধরে। ৬০ এর দশকের কিছুটা সময় পান তিনি। পরে এই নায়কই হয়ে যান সবার প্রিয় রাজ রাজ্জাক।

৭০ এর দশকের সবচেয়ে জনপ্রিয় নায়ক এর নাম রাজ্জাক। এদেশের ঘরে ঘরে সিনেমাপ্রেমীরা জেনেছেন রাজ্জাক নামটি। সামাজিক, রোমান্টিক, অ্যাকশন ঘরানা-সবরকমের সিনেমায় রাজ্জাক নিজেকে মানিয়ে নেন। তার অভিনীত প্রচুর সিনেমা মুক্তি পায়। ৭০ এর দশকের জনপ্রিয় নায়কের নামও রাজ্জাক।

৭০ এর দশকে ফারুক, উজ্জ্বল, সোহেল রানা, আলমগীর, বুলবুল আহমেদ, জাভেদ প্রমুখ নায়কদের আগমন ঘটে। এইসব নায়কেরা যার যার মেধা ও পরিশ্রম দিয়ে ঢাকার সিনেমায় ভালো অবস্থান করে নেন।

সবারই রয়েছে অসংখ্য হিট সিনেমা। ফারুক অভিনীত সুজন সখী, নয়নের মনি সুপারহিট সিনেমা। যা বাংলা সিনেমাকে করেছে সমৃদ্ধ। উজ্জ্বলকে বলা হত মেগাস্টার। তারও অনেক সিনেমা জনপ্রিয়তা পেয়েছে। সোহেল রানা তার অভিনয় গুন দিয়ে জয় করে নেন এদেশের দর্শকদের মন।

অনেক হিট সিনেমা আছে তার। আলমগীর সামাজিক ঘরানার সিনেমা করে মানুষের হৃদয়ের গভীরে জায়গা করে নেন। বুলবুল আহমেদকে এখনো দেবদাস বলে ডাকা হয়। তিনি দেবদাস সিনেমায় নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন।

৭০ দশকের শেষের দিকের জনপ্রিয় নায়কের নাম ইলিয়াস কাঞ্চন। এই নায়কের প্রথম সিনেমা বসুন্ধরা মুক্তি পায় ১৯৭৬ সালে। কিন্তু এরপর কয়েকটি সিনেমা ফ্লপ করে তার। মূলত আশির দশকজুড়ে ছিল এই নায়কের দিন। তার অভিনীত বেদের মেয়ে জোছনা বাংলাদেশের সবচেয়ে ব্যবসাসফল সিনেমা।

ওই দশকের আরেকজন অন্যতম জনপ্রিয় নায়কের নাম জাফর ইকবাল । যিনি নায়ক ও গায়ক হিসেবে সফল ছিলেন। নায়ক হিসেবে জাফর ইকবাল এর অনেক হিট সিনেমা রয়েছে।

ওয়াসিম ও জসিম ঢাকাই সিনেমার আরও দুই জনপ্রিয় নায়ক। ওয়াসিম ও জসিম দুজনই প্রচুর সিনেমা করেছেন। তাদের রয়েছে অনেক সুপারহিট সিনেমা। রুবেল অ্যাকশন ঘরানার নায়ক হিসেবে জনপ্রিয়তা লাভ করেন।

আশির দশক ঢাকার সিনেমায় আরেকজন নায়ক পায়। তিনি নায়ক মান্না। মান্না অভিনীত একটার পর একটা সিনেমা মুক্তি পায় এবং তা হিট হতে শুরু করে। আশির দশকের আরও কয়েকজন নায়ক পায় ঢাকার সিনেমা। তারা হলেন : ইমরান, সুব্রত, অমিত হাসান।

নব্বই দশকটি ছিল ঢাকার সিনেমার জন্য সুন্দর সময়। ১৯৯১ সালে একটা প্রজন্মকে হলমুখী করেন ওই সময়ের নতুন নায়ক নাঈম। চাঁদনী সিনেমা দিয়ে বাজিমাত করেন নাঈম। তারপর তার অভিনীত সিনেমা একটার পর একটা ব্যবসাসফল হতে শুরু করে। এই দশক পায় আরও একজন জনপ্রিয় নায়ক। তার নাম ওমর সানী। অবাক করার বিষয় নব্বই দশকেই আগমন ঘটে এই দেশের সিনেমার ইতিহাসে অসম্ভব জনপ্রিয় নায়ক সালমান শাহর। ১৯৯৩ সালে সালমান শাহ কেয়ামত থেকে কেয়ামত সিনেমা দিয়ে কাজ শুরু করেন। আমিন খান অবুঝ দুটি মন সিনেমা দিয়ে এই দশকে প্রথম সিনেমা দিয়ে জয় করে নেন দর্শকদের মন।

নব্বই দশকের মাঝামাঝি সময়ে ঢাকার সিনেমায় আবির্ভাব ঘটে নায়ক রিয়াজ ও ফেরদৌস এবং শাকিল খান এর। ফেরদৌস হঠাৎ বৃষ্টি করার পর নতুন চমক সৃষ্টি করেন। শাকিল খান আমার ঘর আমার বেহেশত সিনেমা দিয়ে টিকে যান সিনেমায়। রিয়াজ শাবনুরের সঙ্গে জুটি হয়ে একটার পর একটা সিনেমা উপহার দিয়ে যান, যা দর্শকরা গ্রহণ করেন।

১৯৯৯ সালে ঢাকার সিনেমা পায় একজন নায়ক। তার নাম শাকিব খান। সেই যে শুরু। আজও ২০ বছর ধরে শাকিব খান নিয়মিত অভিনয় করে যাচ্ছেন। ঢাকার সিনেমার ইতিহাসে কোনো নায়ক এতদিন টানা জনপ্রিয়তা ধরে রেখে কাজ করে যেতে পারেননি। এটা শাকিব খানের জন্য এবং দেশের সিনেমার জন্য একটা রেকর্ড।

অনন্ত জলিল ঢাকার সিনেমার আরেকজন জনপ্রিয় নায়ক। তার সবগুলি সিনেমা জনপ্রিয়তা পেয়েছে।

এই সময়ের নায়কদের মধ্যে অন্যতম জনপ্রিয় নায়ক আরিফিন শুভ। সিনেমা নিয়েই ব্যস্ততা যাচ্ছে তার। এই সময়ের আরেকজন জনপ্রিয় নায়কের নাম বাপ্পী চৌধুরী। সিয়াম আহমেদ সিনেমায় কাজ করছেন কয়েক বছর ধরে। তিনিও এই সময়ের ব্যাপক জনপ্রিয় একজন নায়ক। এই সময়ের জনপ্রিয় নায়কদের মধ্যে রয়েছেন নিরব, ইমন, সায়মন। সবশেষ নায়কদের মধ্যে আলোচনায় এসেছেন রোশান।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়