শিরোনাম
◈ ২০২৫ সালের মধ্যে ৪৮টি কূপ খনন শেষ করতে চায় পেট্রোবাংলা ◈ ভিত্তিহীন মামলায় বিরোধী নেতাকর্মীদের নাজেহাল করা হচ্ছে: মির্জা ফখরুল ◈ বিনা কারণে কারাগার এখন বিএনপির নেতাকর্মীদের স্থায়ী ঠিকানা: রিজভী ◈ অপরাধের কারণেই বিএনপি নেতা-কর্মীদের  বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী  ◈ অ্যাননটেক্সকে জনতা ব্যাংকের সুদ মওকুফ সুবিধা বাতিলের নির্দেশ বাংলাদেশ ব্যাংকের ◈ চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪১ দশমিক ৩ ডিগ্রি, হিট এলার্ট জারি  ◈ ঢাকা শিশু হাসপাতালের আগুন নিয়ন্ত্রণে ◈ ইরানে ইসরায়েলের হামলার খবরে বিশ্বজুড়ে উত্তেজনা, তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের আতঙ্ক ◈ বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনালের বাউন্ডারি ভেঙে বাস ঢু‌কে প্রকৌশলী নিহত ◈ জাতীয় পতাকার নকশাকার শিব নারায়ণ দাস মারা গেছেন

প্রকাশিত : ১০ নভেম্বর, ২০১৯, ০৬:২৩ সকাল
আপডেট : ১০ নভেম্বর, ২০১৯, ০৬:২৩ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

পর্যবেক্ষণে বাবরি মসজিদ মামলার রায়

রিফাত হাসান : পাঁচশ বছর ধরে একটি মসজিদ চলার পরে এইটা কীভাবে, কোন উপায়ে প্রতিষ্ঠা হয়েছে সেই তত্ত্ব ও ইতিহাস কি আর মালিকানা নির্ধারণী আইনের বিষয় বা এখতিয়ারের অধীন থাকে? নাকি প্রততত্ত্ব বিভাগের সংরক্ষণের অধীন? আইনে মালিকানা মিটমাট করার সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে এই বিষয়টি পরিষ্কার হওয়া দরকার সর্বাগ্রে। এইটা এখতিয়ারের প্রশ্ন, তারপর মামলায় নামার বিষয় আসবে। এক্ষেত্রে ‘এখতিয়ারে’ ঈমানদারদের জন্য দুনিয়ার ইতিহাসের নাড়াচাড়া একটু বাছবিচার করে দেখা দরকার। আইনের এলেম নেয়ার আগে, যেমন বোঝা দরকার আইন মানে বলপ্রয়োগের ক্ষমতাশালীর আদেশ তেমনি ক্ষমতার সব প্রয়োগ এবং বৈধতা আইনের মাধ্যমে ঘটে না সেটিও জানা জরুরি। ক্ষমতার নায্যতা মূলত ক্ষমতা উৎপাদনই ইতিহাসে বৈপ্লবিক রূপান্তরের কোনো আইনি প্রতিকার সম্ভব নয়। উদাহরণস্বরূপ ইসলাম ধর্মের ঐতিহাসিক ঘটনাপঞ্জির একসময়ে দেখা যায় ইসলামের মহানবি (সা.) কাবাঘরকে মুসলমানদের কেবলা ঘোষণা দিয়ে তার মধ্যকার পুরনো সমাজে পূজ্য লাত, মানাত ও ওজ্জার মূর্তিসমূহ ভেঙে ফেলার নির্দেশ দিলেন। এভাবে কাবাঘর ইসলামের হলো। এখন কোনো আদালত যদি রায় প্রদান করে বলে যে কাবাঘরের এই মূর্তি ভেঙে ফেলা এবং ইসলামের কেবলা বানানো অবৈধ এবং এই ঘর পবিত্র লাত, মানাত ও ওজ্জার পূজারীদের ফেরত দিতে হবে তাহলে এটি কি কোনো মালিকানা তৈরি করবে? একই যুক্তি শৃঙ্খলায় ইসরাইল নামে যে প্রতিশ্রুত রাষ্ট্রের কথা ইহুদি সম্প্রদায়ের লোকেরা বলে থাকেন এ রকম বলাবলি করে ফিলিস্তিনি ভূখ-ে তাদের দখলদারিত্বও নায্য বটে। রোমিলাও হয়ত এই আশঙ্কাতেই বলছেন, ‘এখন হয়তো এমন বহু জন্মস্থানের খোঁজ পাওয়া যাবে যেখানে দাবি করার মতো যথার্থ সম্পদ পাওয়া যাবে এবং সেসব বিষয়ে দাবি তোলা যাবে।’ যদিও তার অনুসিদ্ধান্ত এই মতামতটাকে সেই অর্থে ধারণ করে না।

দ্বিতীয় হলো, বিচার্য বিষয়ের ফাঁকি। একটি মামলায় বিচার্য বিষয় কী হবে তার রাজনীতি। ঐতিহাসিক বিষয়বস্তুর মালিকানা নির্ধারণকে মামলার বিষয়বস্তু বানিয়ে এই মামলার ফলকে প্রভাবিত করতে ১৯৯২ সালে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা, গণহত্যা, মসজিদ ধ্বংসের ফৌজদারি অপরাধ সংগঠন, যার কোনো ফৌজদারি প্রতিকার রাষ্ট্রপক্ষ করেনি বরং সংস্লিষ্ট অপরাধীরা সর্বোচ্চ সম্মান ও গুরুত্বপূর্ণ সুবিধাপ্রাপ্ত রাষ্ট্র কর্তৃক এবং এই ফৌজদারি বিষয়বস্তুকে ভুলিয়ে দিয়ে দেওয়ানী মামলায় বাবরি মসজিদের ঐতিহাসিক ভিত্তি খোঁজাখুঁজিতে মানুষকে বিভ্রান্ত করা হয়েছে এখানে। (অযোধ্যা মামলার রায় নিয়ে রোমিলা থাপারের প্রতিক্রিয়া ও একটি ভিন্ন পাঠ/ ৮ অক্টোবর ২০১০:)

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়