সাইফুর রহমান : হংকংয়ে সম্প্রতি ছাত্র নিহত হওয়ার ঘটনায় উত্তেজনার পাশাপাশি সংসদে বিরোধের জেরে এই আইন প্রণেতাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এছাড়া শনিবার আরো ৪ জন আইন প্রণেতাকে থানায় আত্মসমর্পনের নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলেও জানান তারা। দোষীসাব্যস্ত হলে তাদের কারাবাস এক বছর পর্যন্ত দীর্ঘায়িত হতে পারে বলেও জানা গেছে। গণতন্ত্রের দাবিতে বিশ্বের অন্যতম এই বাণিজ্যিক শহরে গত ৫ মাস ধরে বিক্ষোভ চললেও আন্দোলনকারীদের বেশিরভাগ দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে বেইজিং।
গ্রেপ্তারকৃত আইন প্রণেতারা হংকং বিক্ষোভের নেপথ্যে বিতর্কিত প্রত্যর্পণ বিল নিয়ে সংসদে স্বোচ্চার ছিলেন এবং সর্বশেষ অধিবেশনেও এনিয়ে বিতর্কের ঝড় তুলেছিলেন তারা। কয়েকজন সংসদ সদস্য এই গ্রেপ্তারের বিষয়ে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ৫ মাস ধরে চলা বিক্ষোভ নিয়ে এখনো পর্যন্ত কোনো সুরাহা হয় নি, সরকার এর মধ্যেই যেভাবে গ্রেপ্তার-ধরপাকড় চালাচ্ছে তাতে সঙ্কট আরো ঘনীভূত হবে। একজন সংসদ সদস্য চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বলেন, ‘আমরা এখানেই অপেক্ষা করছি, আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ থাকলে এখুনি গ্রেপ্তার করুন।’
হংকংয়ের পার্লামেন্ট আধা গণতান্ত্রিক, যেখানে অর্ধেক সদস্য সরাসরি জনগণের ভোটে নির্বাচিত এবং বাকি অর্ধেক সদস্য বেইজিংপন্থি কমিটির বাছাই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সদস্যপদ লাভ করেন। চলমান বিক্ষোভের নেপথ্যেও রয়েছে এই অবাধ নির্বাচন ব্যবস্থা না থাকার প্রভাব।
আগামি ২৪ নভেম্বর হংকংয়ে জেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এই লক্ষে ভোটারদের নিবন্ধনের হার বেড়েছে এবং এবারই প্রথমবারের মতো গণতন্ত্রকামীরা প্রতিটি জেলায় প্রার্থী দিচ্ছে। তবে এই অব্যাহত বিক্ষোভ এবং সংসদ সদস্যদের গ্রেপ্তার প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকলে নির্বাচন বানচাল হওয়ারও আশঙ্কা রয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :