শিরোনাম
◈ জিয়াও কখনো স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেনি, বিএনপি নেতারা যেভাবে করছে: ড. হাছান মাহমুদ ◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ উন্নয়ন সহযোগীদের একক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী ◈ ড. ইউনূসের পুরস্কার নিয়ে ভুলভ্রান্তি হতে পারে: আইনজীবী 

প্রকাশিত : ০৯ নভেম্বর, ২০১৯, ০৮:৫৩ সকাল
আপডেট : ০৯ নভেম্বর, ২০১৯, ০৮:৫৩ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ঐতিহাসিক বাবরি মসজিদ রায়ে সুপ্রিম কোর্টের সাত পর্যবেক্ষণ

মহসীন কবির : শনিবার অযোধ্যা বাবরি মসজিদ মামলার ঐতিহাসিক রায় দিয়েছেন ভারতের প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন রঞ্জন গগৈয়ের সাংবিধানিক বেঞ্চে । এই রায়ে বলা হয়েছে, অযোধ্যার বিতর্কিত জমি পাচ্ছেন হিন্দুরাই। এর ফলে সেখানে তৈরি হবে রামমন্দির। বিকল্প জমি দেয়া হবে মুসলিমদের। আপাতত বিতর্কিত ওই জমির তত্ত্বাবধান করবে একটি ট্রাস্ট। এদিকে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের বরাতে রায়ে সেরা সাত পর্যবেক্ষণ উঠে এসেছে। এবার এক নজরে দেখে নেয়া যাক সুপ্রিম কোর্টের রায়ের সেরা সাত পর্যবেক্ষণ।

১. আদালতের এই রায় সর্বসম্মত। অর্থাৎ সুপ্রিম কোর্টের সাংবিধানিক বেঞ্চের পাঁচজন বিচারপতির সম্মতিতেই এই রায় ঘোষণা করা হয়েছে। এই সিদ্ধান্তে কোনও বিচারপতি দ্বিমত পোষণ করেননি।

২. কারও আস্থা বা ধর্মীয় বিশ্বাসের উপর ভিত্তি করে এই রায় দেওয়া হয়নি। এই সিদ্ধান্তটি শুধুমাত্র জমি আইনের উপর ভর করে নেওয়া হয়েছে।

৩. রায় ঘোষণার আগে অযোধ্যার বিতর্কিত জমির মূলত ৪ জন দাবিদার ছিল। শিয়া ওয়াকফ বোর্ড, সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড, রাম জন্মভূমি ন্যাস, নির্মোহী আখড়া। কিন্তু, সুপ্রিম কোর্ট এদিন শিয়া ওয়াকফ বোর্ড এবং নির্মোহী আখড়ার দাবি খারিজ করে দেয়। শিয়া ওয়াকফ বোর্ড কোনও জমির মালিকানা পাবে না। নির্মোহী আখড়া সেবায়েত নয়, ওই জমিতে তাঁদের কোনও অধিকার নেই।

৪. ১৯৯২ সালের বাবরি মসজিদ ভাঙার ঘটনার নিন্দা করেছে সুপ্রিম কোর্ট। একই সঙ্গে ১৯৪৯ সালে গর্ভগৃহে রামলালার মূর্তি প্রতিষ্ঠারও নিন্দা করা হয়েছে।

৫. রায়ে রামলালাকে একজন দাবিদার হিসেবে গণ্য করা হয়েছে। রামলালার তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে গণ্য করা হয়েছে রাম জন্মভূমি ন্যাসকে। রামলালাকেই বিতর্কিত ২.৭ একর এবং সরকার অধিকৃত ৬৭ একর জমি দেওয়া হবে।

৬. আপাতত সুপ্রিম কোর্ট কেন্দ্রকে একটি ট্রাস্টি বোর্ড তৈরির নির্দেশ দিয়েছে। আগামী ৩ মাসের মধ্যে ট্রাস্টি বোর্ড তৈরি করা হবে। এই ট্রাস্টের তত্ত্বাবধানেই তৈরি হবে রাম মন্দির।

৭. সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডকে বিকল্প হিসেবে ৫ একর জমি দেওয়া হবে। অযোধ্যার কোনও জায়গায় এই পাঁচ একর জমি দিতে হবে। কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার মিলিতভাবে ঠিক করবে কোথায় জমি পাবে মুসলিমরা।

সূত্র: সাংবাদ প্রতিদিন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়