শাহনাজ বেগম : অযোধ্যা মামলার রায়দানের আগে শান্তিরক্ষার আবেদন জানিয়ে শনিবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হিন্দিতে করা একাধিক ট্যুইট বার্তায় লেখেন, অযোধ্যা মামলার রায় কারও জয় বা পরাজয় হবে না। পাশাপাশি তিনি আরও উল্লেখ করেন, দেশবাসীর সবার আগে কর্তব্য ‘সম্প্রীতি রক্ষা করা’। স্থানীয় সময় সকালে প্রধানবিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চে অযোধ্যা মামলার রায়দানের কথা রয়েছে। আর এ রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে উত্তরপ্রদেশে নেয়া হয়েছে কড়া নিরাপত্তা। এনডিটিভি
রায় ঘোষণার আগে শুক্রবার সন্ধ্যায় চার বিচারপতির সঙ্গে আলোচনা করেন প্রধান বিচারপতি। তার পরই মামলার রায় ঘোষণার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। আলোচিত এ মামলা রায়কে ঘিরে যাতে কোনো প্রকার অপ্রীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি না হয়, সে জন্য উত্তরপ্রদেশ প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গেও আলোচনা করেছেন প্রধান বিচারপতি। ১৭ নভেম্বর তিনি প্রধান বিচারপতির পদ থেকে অবসর নিচ্ছেন রঞ্জন গগৈ।
তিনি আগেই জানিয়েছিলেন, অবসর নেয়ার আগে অযোধ্যার বিতর্কিত জমি মামলার রায় দিয়ে যেতে চান। এছাড়া রায়কে কেন্দ্র করে কোনো বিশৃঙ্খলা তৈরি না হয় সে বিষয়ে হিন্দু-মুসলিম দু’পক্ষের সকলকে আহ্বান জানানো হয়েছে। সমস্ত স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সকল রাজ্যগুলোকে এ সতর্ক বার্তা দেয়া হয়েছে। জরুরি ভিত্তিতে দুটি হেলিকপ্টার প্রস্তুত রাখার নির্দেশও দেয়া হয়েছে। ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর ভারতের উত্তরপ্রদেশের অযোধ্যায় উগ্র হিন্দুত্ববাদীরা ভগবান রামচন্দ্র’র জন্মস্থানে থাকা মন্দির ভেঙে মুঘল সম্রাট বাবরের সৈন্যরা বাবরি মসজিদ গড়ে তুলেছিলেন বলে দাবি করে সেখানে ভাঙচুর চালায়। সম্পাদনা : রাশিদুল
আপনার মতামত লিখুন :