প্রতিদিন সংবাদ প্রতিবেদন : ঠিক একমাস আগে ছাত্র লিগের নেতা-কর্মীদের হাতে খুন হতে হয়েছিল আবরার ফাহাদকে। এই ঘটনায় ১৬ জন গ্রেপ্তার হলেও এখনও পর্যন্ত তিন অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। এদিকে এখনও চোখের জলে ভাসছে আবরার ফাহাদের পরিবার। সমস্ত কাজের ফাঁকেই ঘরের ছেলেকে মনে করে করুণ হয়ে উঠছে প্রতিটি সদস্যের মুখ।
বৃহস্পতিবার সকালে খুনের ঘটনার ঠিক একমাসের মাথায় কুষ্টিয়া শহরে অবস্থিত ফাহাদের বাড়িতে দেখা গেল, ছেলে হারানোর কষ্টে মায়ের চোখে বইছে জল। বাবা বরকত উল্লাহ ও ছোট ভাই আবরার ফাইয়াজ শোকে মূহ্যমান হয়ে পড়েছেন। তিন কামরার বাড়ির একটি ঘরে ছিল ফাহাদের দুনিয়া। বর্তমানে সেখানে তাঁর বইপত্র-সহ যাবতীয় জিনিসপত্র স্বযত্নে গুছিয়ে রাখা হয়েছে। সেগুলি দেখাতে দেখাতে ছোট ভাই ফাইয়াজ জানালেন, ‘দাদা ছুটিতে বাড়ি আসার আগে দুটি শার্ট কিনেছিল। সেগুলি প্যাকেটবন্দি অবস্থাতেই রয়ে গেল। কোনওদিন আর ওর শরীরে উঠবে না। উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার পর দাদার মতো আমারও বুয়েটে পড়ার ইচ্ছে ছিল। কিন্তু, আর ওখানে পড়ার কোনও ইচ্ছা নেই।’
ছলছলে চোখ আর কান্নাভেজা কন্ঠে ফাহাদের মা রোকেয়া খাতুন বললেন, ‘আগে ওর সঙ্গে প্রতিদিন ফোনে কথা হত। বারবার আমাকে জিজ্ঞাসা করত, আম্মু কেমন আছো? কিন্তু, আজ একটা মাস হয়ে গেল। একটা বার জিজ্ঞেস করেনি আম্মু কেমন আছো?’
বাবা বরকত উল্লাহ জানান, গত বুধবার ফাহাদের মামা ছেলেকে নিয়ে বুয়েটে গিয়েছিলেন। বুয়েটের উপাচার্যের কাছে এই মামলায় আইনজীবী নিয়োগের বিষয়ে আবেদন করেন। তাঁদের সঙ্গে কথা বলার পর এই মামলার যাবতীয় দায়ভার গ্রহণ করতে রাজি হয়েছে সরকার। পলাতক অপরাধীদের গ্রেপ্তার করার পাশাপাশি মামলাটির দ্রুত বিচার করা হোক। কড়া শাস্তি দেওয়া হোক অভিযুক্তদের।
আপনার মতামত লিখুন :