শিরোনাম
◈ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে কারিকুলাম যুগোপযোগী করার তাগিদ রাষ্ট্রপতির ◈ ফরিদপুরে সড়ক দুর্ঘটনা, সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন ◈ সরকারের অব্যবস্থাপনার কারণেই সড়ক দুর্ঘটনার মাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে: মির্জা ফখরুল ◈ বাংলাদেশের রাজনীতির অবনতি দুঃখজনক: পিটার হাস ◈ সয়াবিন তেলের দাম লিটারে বাড়লো ১০ টাকা  ◈ নির্বাচনি ইশতেহারের আলোকে প্রণীত কর্মপরিকল্পনা দ্রুত বাস্তবায়নের আহবান শিল্পমন্ত্রীর  ◈ প্রচণ্ড গরম থেকেই ঘটতে পারে মানবদেহের নানা রকম স্বাস্থ্য ঝুঁকি ◈ অবশেষে রাজধানীতে স্বস্তির বৃষ্টি  ◈ ইসরায়েল পাল্টা হামলা করলে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে জবাব দেবে ইরান: উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী ◈ মিয়ানমারের আরও ১৫ সেনা সদস্য বিজিবির আশ্রয়ে

প্রকাশিত : ০৮ নভেম্বর, ২০১৯, ০৬:৩৪ সকাল
আপডেট : ০৮ নভেম্বর, ২০১৯, ০৬:৩৪ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ঘাতক-দালাল বিরোধী আন্দোলন চলাকালীন সময়ে জামায়াত-ফ্রিডম পার্টির ক্যাডারদের উদ্দেশে বাদল ভাইয়ের ভরাট কণ্ঠের উচ্চারণ, ‘শরীরে এখনো গুলি আছে, আমার লাইসেন্স করা পিস্তলের ভেতরও আছে, তোর বাপেরা কামান-বিমান নিয়া এই পিস্তলের সঙ্গে পারে নাই, সামনে আয়, আমি কানা গলিতে খেলাই না’

 

শরিফুজ্জামান শরিফ : সিটি করপোরেশন নির্বাচন শেষ, ঢাকা সিটিতে মির্জা আব্বাসকে হারিয়ে মোহাম্মদ হানিফ জিতেছেন। লালবাগে বিএনপির আজিজ কমিশনার হেরেছে। বিজয়ী কমিশনারের মিছিলে আজিজ গুলি চালিয়ে বেশ কজনকে মেরে ফেলেছে। সেই নির্বাচনে বামদের প্রার্থী সিপিবির মনজুরুল আহসান খান। আমরা মনজু ভাইয়ের জিপে করে লালবাগ যাচ্ছি। লাশ দেখতে বাদল ভাইও আছেন। বাদল ভাই, ওখানে গিয়ে কী বলবেন? বাদল ভাই বললেন, যা মনে আসছে তা বলতে পারবো না? বাদল ভাই আক্ষেপ করে বলেন, যুদ্ধ করে স্বাধীন হলাম, কিন্তু ভোট দিতে শিখলাম না। গণতান্ত্রিক শাসনের জন্য ভোটারেরও দায় আছে। আমরা সেটা মনে রাখি না।

মনজু ভাইয়ের প্রচার টিমে বাদল ভাইয়ের সঙ্গে আমি, কালা শফিক ভাই, (এখন আমাদের সময়ের সাংবাদিক) মাহবুবুল হক রিপন ভাই, হযরত আলী, কামাল হোসেন বুলবুলসহ অনেকে শহর চষে বেড়াই আর বাদল ভাইয়ের যুদ্ধ দিনের গল্প শুনি। বাদল ভাই তখন বাসদ (মাহবুব) এর নেতা। শহীদ জননী জাহানারা ইমামের নেতৃত্বে ঘাতক দালাল বিরোধী আন্দোলন তুঙ্গে। জিপিওর সামনে ঘাতক দালাল বিরোধী সমাবেশ চলছে। মাঝে মাঝে জামায়াত-ফ্রিডম পার্টির ক্যাডাররা যুব কমান্ডের ব্যানারে বায়তুল মোকাররম-এর পাশ দিয়ে এসে ইট-পাটকেল ছুড়ে সমাবেশ ভ-ুল করতে চাইছে। বাদল ভাই উঠে মাইকের কাছে গেলেন।

ভরাট কণ্ঠে বললেন, আমি মুক্তিযোদ্ধা মঈন উদ্দীন খান বাদল বলছি। তোমরা কী মাঠে নেমে খেলতে চাও, নাকি গ্যালারিতে বসে খেলবা? লাইসেন্স করা পিস্তল বের করে বললেন, শরীরে এখনো গুলি আছে, এই পিস্তলের ভেতরও আছে। তোর বাপেরা কামান বিমান নিয়া এই পিস্তলের সঙ্গে পারে নাই। সামনে আয়, আমি কানা গলিতে খেলাই না। যুব কমান্ডের পান্ডারা হাওয়া। বাদল ভাই জাসদ করতেন। তার রাজনীতি আমি করতাম না। তবে আমি তাকে শ্রদ্ধা করতাম, পছন্দ করতাম তিনি একজন মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন, স্পষ্ট কথা বলতেন। অনেক দিন পর মাস দুয়েক আগে প্রেসক্লাবে দেখা। আমরা দুজন একটা অনুষ্ঠানের অতিথি। জানালেন শরীরটা ভালো না। বিনম্র শ্রদ্ধা বীর মুক্তিযোদ্ধা মঈন উদ্দীন খান বাদল। ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়