শিরোনাম
◈ বেনজীর আহমেদের চ্যালেঞ্জ: কেউ দুর্নীতি প্রমাণ করতে পারলে তাকে সব সম্পত্তি দিয়ে দেবো ◈ চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, হিট স্ট্রোকে একজনের মৃত্যু ◈ আইনজীবীদের গাউন পরতে হবে না: সুপ্রিমকোর্ট ◈ তীব্র গরমে স্কুল-কলেজ ও মাদরাসা আরও ৭ দিন বন্ধ ঘোষণা ◈ সিরিয়ায় আইএসের হামলায় ২৮ সেনা নিহত ◈ সরকার চোরাবালির ওপর দাঁড়িয়ে, পতন অনিবার্য: রিজভী  ◈ সরকারের বিরুদ্ধে অবিরাম নালিশের রাজনীতি করছে বিএনপি: ওবায়দুল কাদের ◈ বুশরা বিবিকে ‘টয়লেট ক্লিনার’ মেশানো খাবার খাওয়ানোর অভিযোগ ইমরানের ◈ গাজায় নিহতের সংখ্যা ৩৪ হাজার ছাড়াল ◈ প্রার্থী নির্যাতনের বিষয়ে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে, হস্তক্ষেপ করবো না: পলক

প্রকাশিত : ০৮ নভেম্বর, ২০১৯, ১২:০৩ দুপুর
আপডেট : ০৮ নভেম্বর, ২০১৯, ১২:০৩ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

চীনের গ্রামাঞ্চলে ৬ মাসে মানুষের আয় কমেছে ২০ শতাংশ

রাশিদ রিয়াজ : দিন কয়ে আগে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং তার দেশবাসীর কাছে আবেদন জানিয়ে বলেছিলেন, ‘আসুন আগামী বছরের মধ্যে চীন থেকে দারিদ্র মুছে ফেলি’। এরপর আন্তর্জাতিক বিশ্বের কাছে প্রশ্ন উঠে মাও সেতুংয়ের চীন কি সত্যিই সামগ্রিক দারিদ্র দূরীকরণের প্রক্রিয়ার শেষ পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে? এই জল্পনার মধ্যেই চীনের কৃষি মন্ত্রণালয়ের এক পরামর্শদাতা সংস্থা ওরিয়েন্ট এগ্রিবিজনেসের রিপোর্ট বলছে ২০১৪ সাল থেকেই দেশটির গ্রামীণ এলাকায় মানুষের আয় ক্রমশ কমছে এবং এই বছরের প্রথম থেকে গত ৬ মাসে তা হ্রাস পেয়েছে প্রায় ২০ শতাংশ।

সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের প্রতিবেদনে কৃষি মন্ত্রণালয়ের পরামর্শদাতা সংস্থার বিশ্লেষক মা ওয়েনফেং জানাচ্ছেন, পরিস্থিতি মোটেও আশাব্যঞ্জক নয়, গ্রামীণ চীনে দারিদ্র ফের সংকট সৃষ্টি করছে। গত সপ্তাহে সিনহুয়া আরেক প্রতিবেদনে জানায়, ২০১৮ পর্যন্ত শেষ ৬ বছরে চীন ৮ কোটি ২০ লাখেরও বেশি গ্রামীণ বাসিন্দাকে দারিদ্র সীমা থেকে বের করে নিয়ে এসেছে। পাশাপাশি, গত ৪০ বছরে ৭০ কোটির বেশি মানুষ নিজেদের দারিদ্রসীমা থেকে বের হয়ে এসেছে। যা একই সময়ে ছিল গোটা বিশ্বের জনসংখ্যার ৭০ শতাংশ।

এমন এক প্রেক্ষাপটে বেইজিং ওরিয়েন্ট এগ্রিবিজনেসের রিপোর্ট দাবি করছে চীন-মার্কিন শুল্ক যুদ্ধ এবং গ্রামের তুলনায় শহরে সম্পদ বৃদ্ধির অনুপাত মাত্রাতিরিক্তভাবে বেশি হওয়ারই ফলশ্রুতিতে চীনের গ্রামাঞ্চলে দারিদ্র ফের কড়া নাড়ছে। চীনের জনসংখ্যার ৪০ শতাংশই গ্রামীণ এলাকার। দেশটির
সরকারি তথ্য বলছে, গ্রামীণ চীনে মানুষের উপার্জন ক্রমশ কমছে। ২০১৮ সালে স্থানীয় গ্রামীণ শ্রমিকদের মাথাপিছু গড় আয় যেখানে ছিল ১০২৩ ইউয়ান (১৪৫ মার্কিন ডলার), সেখানে এবছর জুনের শেষ তা এসে ঠেকেছে মাত্র ৮০৯ ইউয়ান (১১৪ মার্কিন ডলার)।

অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন দারিদ্র ফের নতুন করে হানা দেয়ার প্রধান কারণ চীনের কৃষকদের জমির সত্ত্ব না থাকা। কমিউনিস্ট চীনে সব জমিই রাষ্ট্রের হাতে এবং তা কৃষি শ্রমিকদের ৩০ বছরের লিজ চুক্তির মাধ্যমে দেওয়া হয়। কৃষকরা প্রয়োজনমতো সেই জমি বিক্রি করতে পারেন না। চীন সরকার কৃষি পণ্যের উৎপাদন বৃদ্ধির দিকে নজর দিলেও জমির সত্ত্বাধিকার না থাকায় তা বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে। এতে জমির উপর নির্ভরশীল মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে বেঁচে থাকার খরচ। স্বাস্থ্য কিংবা শিক্ষাও এখন আর চীনে বিনামূল্যে পাওয়া যায় না। ফলে উৎপাদনের পরিমাণ বাড়িয়ে মানুষের হাতে অতিরিক্ত অর্থ যোগানের বিকল্প নেই। জমির বিকেন্দ্রীকরণ করলেই সমস্যার সমাধান হবে কি না নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়