জিএম মিজান বগুড়া প্রতিনিধি : বগুড়ার গাবতলীতে মামলার ভিকটিম নববধু‚ মনিরা আকতার কেমি (১৭) এর নিকট দাবীকৃত ১০হাজার টাকা না পেয়ে মারপিট করার অভিযোগে থানার বহুল আলোচিত এসআই রিপন মিয়াকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।
প্রথমে পুলিশ লাইনে ক্লোজড করার পর মঙ্গলবার তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়। এ ব্যাপারে বগুড়ার পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভু বিপিএম (বার) এবং সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (গাবতলী সার্কেল) সাবিনা ইয়াসমীন এ প্রতিবেদক-কে এসআই রিপন মিয়াকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
উল্লেখ্য, উপজেলার খুপি গ্রামের জাহিদুল ইসলামের কলেজ পড়–য়া ছাত্রী মনিরা আকতার কেমিকে একই গ্রামের আঃ খালেকের ছেলে ইমরান হোসেন সুইট প্রেমের প্রস্তাব দেয়। এরই এক পর্যায়ে সুইট মোবাইল ফোনে কেমিকে ডেকে নিয়ে ফুঁসলিয়ে বিভিন্নস্থানে নিয়ে গিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করে। সর্বশেষ ২৮আগষ্ট দুপুর ২টায় স্থানীয় জামিরবাড়িয়া গ্রামের ইউপি মহিলা সদস্যা রুবি বেগমের বাড়ীতে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে।
এ ঘটনায় ধর্ষিতা কেমির মা মেরিনা বেগম বাদিনী হয়ে ইমরান হোসেন সুইটকে প্রধান করে ২জনের বিরুদ্ধে গত ১৪সেপ্টেম্বর থানায় একটি মামলা দায়েন করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই রিপন মিয়া ধর্ষক ইমরান হোসেন সুইটকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে পাঠালে বিয়ে করার অঙ্গীকারে গত ৩১অক্টোবরে আদালত থেকে জামিন পান। ফলে গত ১লা নভেম্বর নিজেদের সম্মতিতে ইমরান ও মনিরা বিয়ে করে ঘরসংসার শুরু করেন। খবরটি জানতে পেরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই রিপন চরমভাবে ক্ষিপ্ত হয়ে গত ৩নভেম্বর রাত সাড়ে ১০টায় ইমরানের বসতবাড়ীতে গিয়ে ঘরের দরজায় লাথি মেরে দরজা ভেঙ্গে ওই নবদম্পতির ঘরে ঢুকে পড়েন। এরপর এসআই রিপন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসেবে কেন তাকে না জানিয়ে বিবাহ সম্পন্ন করা হলো মনিরার কাছে জানতে চায়। মনিরা কারণ জানালে, আরো ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে এসআই রিপন। এরপর মনিরার কাছে ১০হাজার টাকার দাবী করেন। মনিরা টাকা দিতে অস্বাকীর করায় এসআই রিপন ক্ষুব্ধ হয়ে মনিরাকে চর থাপ্পর কিল-ঘুষি ও লাঠিপেটা করে। মনিরার স্বামী ইমরান স্ত্রীকে রক্ষা করতে এলে তাকেও মারপিট করে এসআই রিপন। পরে আহত অবস্থায় কেমি বগুড়া মোহাম্মাদ আলী হাসপাতালে ভর্তি হলে তোলপাড় সৃষ্টি হয়।টিএ
আপনার মতামত লিখুন :