আসিফ কাজল : পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ২০ হাজার শিক্ষক-কর্মচারী এবার স্বল্প সুদে গৃহনির্মাণ ঋণ পেতে যাচ্ছেন। তবে তাদেরকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্মতির জন্য অপেক্ষা করতে হবে।সোমবার অর্থমন্ত্রণালয়ে বাজেট অনুবিভাগ-১ এর অতিরিক্ত সচিব মো. হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে বৈঠকে এ তথ্য জানানো হয়। এসময় বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছয়জন শিক্ষক প্রতিনিধিসহ বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের যুগ্ম মহাসচিব মেহেদী হাসান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মচারীরা ৬৪ বছর বয়স পর্যন্ত ঋণ নিতে পারবেন। সবকিছু ঠিক থাকলে এ মাসেই বিষয়টিতে অনুমোদনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো হবে। অনুমোদনের পর প্রজ্ঞাপন জারি হবে।
এর আগে গত ৩০ জুলাই অর্থ বিভাগ পাঁচ শতাংশ সরল সুদে সর্বোচ্চ ৭৫ লাখ টাকা পর্যন্ত গৃহনির্মাণ ঋণ দিতে ‘সরকারি কর্মচারীদের জন্য ব্যাংকিং-ব্যবস্থার মাধ্যমে গৃহনির্মাণ ঋণ প্রদান নীতিমালা-২০১৮’ জারি করে। চাকরি স্থায়ী হওয়ার পাঁচ বছর পর থেকে সরকারি চাকরিজীবীরা এই ঋণ পাওয়ার জন্য যোগ্য হবেন। ঋণের সীমা ঠিক করা হয়েছে ২০ লাখ থেকে ৭৫ লাখ টাকা। সর্বোচ্চ ২০ বছরের মধ্যে এ অর্থ পরিশোধ করতে হবে। এই ঋণের জন্য ব্যাংক ১০ শতাংশ হারে সরল সুদে ঋণ নিলেও গ্রহীতাকে দিতে হবে পাঁচ শতাংশ। সুদের বাকি ৫ শতাংশ সরকার ভর্তুকি হিসেবে পরিশোধ করবে।
আপনার মতামত লিখুন :