শিরোনাম
◈ ৯৫ বিলিয়ন ডলারের সহায়তা বিলে জো বাইডেনের সাক্ষর  ◈ বিশ্বের প্রতি যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর ◈ বাংলাদেশ ব্রাজিল থেকে ইথানল নিতে পারে, যা তেলের চেয়ে অনেক সস্তা: রাষ্ট্রদূত ◈ মিয়ানমার সেনাসহ ২৮৮ জনকে ফেরত পাঠালো বিজিবি ◈ উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় বিএনপির ৬৪ নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ ◈ বর্ধিত ভাড়ায় ট্রেনের আগাম টিকিট বিক্রি শুরু ◈ মন্ত্রী ও এমপিদের নিকটাত্মীয়রা প্রার্থিতা প্রত্যাহার না করলে সময়মতো ব্যবস্থা নেওয়া হবে: ওবায়দুল কাদের  ◈ লোডশেডিং ১০০০ মেগাওয়াট ছাড়িয়েছে, চাপ পড়ছে গ্রামে ◈ বাংলাদেশে কাতারের বিনিয়োগ সম্প্রসারণের বিপুল সম্ভাবনা দেখছেন ব্যবসায়ীরা  ◈ হিট স্ট্রোকে রাজধানীতে রিকশা চালকের মৃত্যু

প্রকাশিত : ০৫ নভেম্বর, ২০১৯, ০৫:৪৯ সকাল
আপডেট : ০৫ নভেম্বর, ২০১৯, ০৫:৪৯ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

পেঁয়াজের আমদানি ৪২ টাকা খুচরা বিক্রি ১৫০, কারসাজিতে জড়িত ১২ জনের সিন্ডিকেট

মঈন মোশাররফ : দেশে পেঁয়াজের দাম বাড়ার পেছনে রয়েছে ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটের কারসাজি মিয়ানমার থেকে যেই পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছে ৪২ টাকায়, ভোক্তা পর্যায়ে তা বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকা কেজিতে। অভিযোগ দামের এই কারসাজিতে জড়িত আমাদানিকারক, সিএন্ডএফ এজেন্ট ও আড়তদাররা। ডয়চে ভেলে

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন এই দর বৃদ্ধির পিছনে মিয়ানমার থেকে পেঁয়াজ আমাদানিকারক ১২ জনের একটি সিন্ডিকেটকে দায়ী করেছে। তারা কক্সবাজারের টেকনাফভিত্তিক আমদানিকারক। চট্টগ্রামের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তৌহিদুল ইসলাম খাতুনগঞ্জে অভিযান চালাতে গিয়ে এই সিন্ডিকেটকে চিহ্নিত করেন।

এ প্রসঙ্গে তৌহিদুল ইসলাম ডয়চে ভেলেকে বলেন, আমরা কাগজপত্র পরীক্ষা করে দেখেছি আমদানিকারকেরা এখন মিয়ানমার থেকে ৪২ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ আমদানি করে। কিন্তু আড়তদারদের মাধ্যমে তারা প্রতি কেজি পাইকারিতে ১১০ টাকায় বিক্রি করে। আর খুচরা পর্যায়ে এই পেঁয়াজ বিক্রি হয় ১৫০ টাকা কেজিতে।

তিনি আরো বলেন, আমাদের হিসাবে রোববার মিয়ানমার থেকে ৬০ ট্রাক পেঁয়াজ এসেছে। প্রতি ট্রাকে ২০ টন হিসাবে তা এক হা নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট তৌহিদুল ইসলাম বলেন, এই সিন্ডিকেটে আমদানিকারকের সঙ্গে কমিশন এজেন্ট এবং টেকনাফের কিছু সিএন্ডএফ এজেন্টও জড়িত। তারা নানা কাহিনী তৈরি করছে। মিয়ানমারে ৪২ টাকার ওপরে পেঁয়াজ নেই।

তিনি জানান, আমরা ১২ জনের তালিকা পাঠিয়েছি কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের কাছে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়েরও একটি টিম ঢাকা থেকে পাঠানো হয়েছে মনিটর করার জন্য।

খাতুনগঞ্জের আড়তদার আবুল বাশার দাবি করেন পেঁয়াজের পাইকারি দামে তাদের কোনো হাত নেই। এটা যারা আমদানি করেন তারাই ঠিক করে দেন। তিনি বলেন, আমরা কেজিতে প্রতি ৫০-৬০ পয়সা কমিশন পাই। আমদানিকারকরা আমাদের বাজার দেখে যে দাম বলে সেই দামে আমরা বিক্রি করি। পেঁয়াজের আমদানি মূল্যের ওপর আমাদের ধারণা নাই, আমরা কমিশন পাই মাত্র।

মিয়ানমার থেকে পেঁয়াজ আমদানির সিএন্ডএফ এজেন্ট টেকনাফের শওকত আলম দাবি করেন, মিয়ানমার থেকে পেঁয়াজ আমদানির দুইটি হিসাব আছে। অফিসিয়াল রেট প্রতি টন ৫০০ ডলার, কিন্তু এখন আমাদের কিনতে হচ্ছে ৮০০ ডলারে। এখানে এলসি খুলতে হয় না। নগদ টাকা নিয়ে যাই, পেঁয়াজ নিয়ে আসি। আমাদের এখন প্রতি কেজি কিনতে প্রায় ৮০ টাকা খরচ হয়। তাই কোজিতে ১০-১৫ টাকাতো ব্যবসা করবই। তবে এক পর্যায়ে তিনি বলেন, মিয়ানমারে এক খাতা (স্থানীয় মাপ) পেঁয়াজের দাম ৮০ টাকা। এক খাতায় দেড় কেজি। সেই হিসাবে এক কেজির দাম ৬০ টাকা।

তিনি আরো দাবি করেন, মিয়ানমারের কিছু বড় ব্যবসায়ী কক্সবাজারেও ব্যবসা করে। তারা সিন্ডিকেট করে পেঁয়াজের ব্যবসা করছে। আমরা এসব করি না।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়