রাজশাহী প্রতিনিধি : শনিবার দুপুরে নিজ কার্যালয়ে যাওয়ার সময় কলেজ ক্যাম্পাসে তাকে চ্যাংদোলা করে তুলে নিয়ে পুকুরের পানিতে ফেলে দেয়া হয়। তবে সাঁতার জানার কারণে রক্ষা পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন অধ্যক্ষ ফরিদ উদ্দীন।
প্রয়োজনীয় সংখ্যক ক্লাসে উপস্থিত না থাকা এবং মধ্য পর্ব পরীক্ষায় অংশ না নেওয়ায় দুজন শিক্ষার্থীকে ফাইনাল পরীক্ষার ফরম ফিলাপের সুযোগ না দেওয়ায় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ওই ঘটনা ঘটায় বলে বলে জানা গেছে।
রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ প্রকৌশলী ফরিদ উদ্দীন আহম্মেদ জানান, বিভিন্ন সময় ছাত্রলীগের ছেলেরা অন্যায় দাবি নিয়ে তার কাছে আসতো।তাদের দাবিগুলো মানার মতো থাকে না।সেসব দাবি না মানায় ছাত্রলীগ তার ওপর ক্ষুব্ধ ছিলো।
ফরিদ উদ্দীন জানান, দুপুরে নামাজ পড়ে অফিসে যাওয়ার সময় পলিটেকনিক ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক কামাল হোসেন সৌরভসহ কয়েকজন তার পথ আটকায়। তারা অধ্যক্ষকে জোড় করে তুলে নিয়ে পুকুরে ফেলে দিয়ে পালিয়ে যান।
এ বিষয়ে পলিটেকনিক ছাত্রলীগের সভাপতি মেহেদী হাসান রিগেন বলেন, অধ্যক্ষকে পুকুরে ফেলে দেওয়ার ঘটনায় ছাত্রলীগের ছেলেরা জড়িত কি-না, তা এখনও নিশ্চিত নয়। বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।ছাত্রলীগের কেউ জড়িত থাকলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ ঘটনায় অধ্যক্ষ বাদী হয়ে ৭ জনের নাম উল্লেখ করে ৫০ জনের বিরুদ্ধে চন্দ্রিমা থানায় মামলা দায়ের করেন।
সম্পাদনা : খালিদ আহমেদ/সারোয়ার
আপনার মতামত লিখুন :