সুজন কৈরী : রাজধানীর ডেমরা এলাকা থেকে আন্তঃজেলা মাদক ব্যবসায়ী চক্রের ৩ জন সদস্যকে আটক করেছে র্যাব-১। তাদের কাছ থেকে সাড়ে ২৪ হাজার ইয়াবা, নগদ ৪ লাখ ৯৬ হাজার টাকা ও ২ টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে। আটককৃতরা হলো- মো. শাহনেওয়াজ (২২), মো. মাসুদুর রহমান ওরফে মাসুদ (৩৮) ও মো. টিটু (৪৩)। শনিবার বিকেলে ডেমরার ডগাইয়ের মধ্যপাড়ায় অভিযান চালিয়ে ওই তিনজনকে আটক করা হয়।
আটককৃতদের কাছ থেকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের বরাত দিয়ে র্যাব-১ এর এএসপি মো. কামরুজ্জামান জানান, আটককৃতরা একটি সংঘবদ্ধ মাদক ব্যবসায়ী চক্রের সদস্য। কক্সবাজারের সীমান্তবর্তী এলাকা মিয়ানমার থেকে ইয়াবার চালান নিয়ে প্রাইভেটকারে করে ঢাকাসহ সারাদেশে মাদক ব্যবসায়ীদের কাছে সরবরাহ করে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ফাঁকি দিতে মাদক পরিবহনে ব্যবহৃত প্রাইভেটকারগুলোতে বিভিন্ন গোপন প্রকোষ্ঠ তৈরী করে। আটক চক্রের অন্যতম সদস্য রাজধানীর জনৈক মাদক ব্যবসায়ী। তিনি অবৈধভাবে ইয়াবার চালান দেশে এনে তার সহযোগীদের মাধ্যমে ঢাকাসহ আশেপাশের এলাকায় চক্রের অন্য সদস্যদের কাছে খুচরা ও পাইকারী বিক্রি করতো। আটককৃতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন
র্যাব-১ জানিয়েছে, আটক শাহনেওয়াজ চিংড়ি মাছ ব্যবসায়ী। এর আড়ালে মাদক ব্যবসা করেন। চক্রের অনেকে বর্তমানে জেলে থাকায় তিনি নিজে নতুন সিন্ডিকেট তৈরী করেন। বাড়ি কক্সবাজারের টেকনাফে হওয়ায় নদীপথে চোরাচালানের মাধ্যমে আগত ইয়াবার চালান নিজে সংগ্রহ করে তার সহযোগীদের মাধ্যমে ঢাকায় পাঠান। পরে ইয়াবার চালান ঢাকায় পৌঁছালে নিজে ঢাকাস্থ মাদক ব্যবসায়ীর কাছে চাহিয়া অনুযায়ী পৌছে দেন। ইতিপূর্বে তিনি ৫০ টিরও বেশি ইয়াবার চালান ঢাকায় এনছেন। তার বিরুদ্ধে যাত্রাবাড়ি ও সূত্রাপুর থানায় একাধিক মাদক মামলা আছে এবং সে এসব মামলায় বিভিন্ন মেয়াদে কারাভোগ করেছে।
মাসুদুর রহমান পেশায় উবারের গাড়ি চালক। দীর্ঘদিন ধরে যাত্রী পরিবহনের আড়ালে ঢাকার অভ্যন্তরীন রুটে মাদক পরিবহন করছে। শাহনেওয়াজের নির্দেশে তিনি ঢাকার মাদক ব্যবসায়ীদের কাছে ইয়াবার চালান সরবরাহ করেন। মাদক পরিবহনের জন্য সে চালান প্রতি ২০-২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত পেতেন।
আটক টিটু পেশায় রিক্সাচালক। মাসুদের মাধ্যমে প্রলোভনে পড়ে মাদক ব্যবসায় জড়িত হন। খুচরা মাদক ব্যবসায়ীদের কাছে ইয়াবার ছোট চালান পৌছানো জন্য কাজ করে। তার কাজের জন্য সে চালান প্রতি ১৫/২০ হাজার টাকা পেয়ে থাকে। ইতিপূর্বে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ১০/১২ টিরও বেশি মাদক পরিবহনের কাজ করেছে।
আপনার মতামত লিখুন :