তন্নীমা আক্তার : পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি সরবাহ করতে পারছে না সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক)। যেটুকু সরবরাহ করছে, তাতেও নানান সমস্যা। পানির সঙ্গে আসছে কেঁচো, পোকা মাকড় ও জোঁক, ভয়াবহ দুর্গন্ধ তো আছেই। ফলে নগরীর কয়েকটি এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে এখন আতঙ্ক বিরাজ করছে। বাংলাদেশ প্রতিদিন
সিসিকের পানি শাখা সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে সিলেট নগরীতে একটি ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট ও ৪২টি উৎপাদক নলকূপ দিয়ে সাড়ে ৪ কোটি লিটার পানি সরবরাহ করা হচ্ছে। কিন্তু আরো ৪ কোটি লিটার পানির সংকট রয়েছে নগরীতে। পানির সংকট কাটাতে সিসিক ৫ কোটি লিটার উৎপাদন সক্ষমতাসম্পন্ন একটি নতুন ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে। পানির চলমান সংকটের মধ্যেই নতুন সমস্যা নোংরা পানি।
সিলেট নগরীর ১৪ নম্বর ও ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকায় বর্তমানে সিসিকের সরবরাহকৃত পানিতে দুর্গন্ধ পাচ্ছেন বাসিন্দারা। একই সঙ্গে হঠাৎ করেই পানির সঙ্গে ময়লা, পোকামাকড় ও কেঁচো বেরিয়ে আসছে। এর ফলে সিসিকের পানি ব্যবহার করা নিয়ে আতঙ্কে আছেন অনেকে। বিশেষ করে গৃহিণীরা রান্নাবান্না করতে গিয়ে পানির সঙ্গে হঠাৎ ছোট আকৃতির কেঁচো বেরিয়ে আসতে দেখে বিপাকে পড়ছেন। অনেকেই সিসিকের সরবরাহকৃত লাইনের পানি দিয়ে রান্নাবান্না করা বন্ধ করে দিয়েছেন। নগরীর উদ্দীপন আবাসিক এলাকার খবির মিয়া ও জয়নাল আহমদ বলেন, ‘পানি নিয়ে বিপাকে আছি। একে তো অনেক সময় পানি ঠিকমতো পাওয়া যায় না, তার পর এখন পানির মধ্যে দুর্গন্ধ। এর চেয়েও ভয়াবহ ব্যাপার হচ্ছে পানির সঙ্গে হঠাৎ করেই ময়লা, পোকামাকড়, কেঁচো বেরিয়ে আসছে।’ ওই এলাকার গৃহিণী মাহিরা খাতুন বলেন, ‘পানির সঙ্গে যখন ছোট ছোট কেঁচো বেরিয়ে আসে, তখন রান্না করার ইচ্ছাটাই মরে যায়। কিনে নিয়ে আসা পানি দিয়ে রান্না করতে হয়।’
জানা গেছে, নগরীর বিভিন্ন এলাকায় বর্তমানে সড়ক ও ড্রেনের সংস্কার কাজ চলছে। এ কাজ করতে গিয়ে অনেক জায়গায় পানির লাইনে ফুটো হয়ে গেছে। এসব ফুটো দিয়ে ময়লা-আবর্জনা, কেঁচো ছড়িয়ে পড়ছে। এ বিষয়ে সিসিকের প্রধান প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান বলেন, ‘আমরা নগরীর কয়েকটি স্থান থেকে এ ধরনের অভিযোগ পেয়েছি। নগরীর ছড়ারপাড় থেকে পানি সংগ্রহ করে পরীক্ষা করে কোনো ধরনের ক্ষতিকর কিছু পাওয়া যায়নি। অন্যান্য এলাকা থেকে অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পানি সংগ্রহ করে পরীক্ষা করে দেখা হবে।’
টিএ/এসবি
আপনার মতামত লিখুন :