কেএম নাহিদ : আইএস নেতা আবু বকর আল বাগদাদির নিহত হওয়ার পর মার্কিন প্রেসিডেন্টি ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন এটা তার প্রশাসনের এক বিরাট সাফল্য। এ মৃত্যুতে ইসলামি স্টেট এক বিরাট থাক্কা খেয়েছে বলে মনে করছেন ট্রাম্প প্রশাসন। কিন্তু সন্ত্রাসবাদ নিয়ে কাজ করেন এমন বিশ্লেষকরা বলছেন, ইসলামি স্টেট এবং এর আদর্শ অনুগত সংগঠনগুলো এখনো সক্রিয় আছে। তাদের বিরদ্ধে লড়াই অব্যহত রাখতে হবে। বিবিসি’র সঙ্গে এক সাক্ষাতে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় স্টেট ইউনিভারসিটির শিক্ষক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক আলী রীয়াজ।
তিনি বলেন, শুধু মাত্র বাগদাদির মৃত্যুতে আইএস নির্মূল হবে এটা মনে করার কেনো কারণ নেই। প্রথমত আইএস এখন আর কেনো সংগঠন না এটা একটা আদর্শ এটা বিভিন্নভাবে অনুসৃত হচ্ছে। বিভিন্ন লোক যোগ দিচ্ছে। দ্বিতীয়ত সাংগঠনিকভাবে বিস্তৃত হচ্ছে বলে, একজন নেতা মারা যাওয়ার কারণে সংগঠনের কেনো ক্ষতি হবে না। তৃতীয়ত বাগদাদি কিছুদিন হলো কেনো নেতৃত্বে ছিলো না, তিনি পলাতক অবস্থায় মারা গেছেন তাই ধরে নিতে হবে আইএসে নতুন নেতৃত্বে অলরেডি এসে গেছে। সাংগঠনিকভাবে বাগদাদি কিন্তু তেমন গুরুত্বপূর্ণ লোক ছিলো না, এটা গোয়েন্দা রির্পোটে তা এসেছে।
বাগদাদি যদি তেমন গুরুত্ব পূর্ণ না হয় তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট কেনো বাগদাদির মৃত্যুর খবর ফলাও করে প্রচার করা হলো? বিবিসি’র এ প্রশ্নের জবাবে আলী রীয়াজ বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ফলাও করে প্রচার করেছেন কারণ তিনি এখন নিজ দেশে ইমপিচমেন্ট নিয়ে চিন্তায় আছেন। এছাড়া বারাক ওবামা যেমন লাদেনকে মারার কৃতিত্ব নিয়েছিলো ট্রাম্প ও তাই করেছে। তবে এই নিয়ে তিনি তেমন রাজনৈতিক সফলতা অর্জন করতে পারবে না। সম্পাদনা : রাশিদ রিয়াজ
আপনার মতামত লিখুন :