কেএম নাহিদ : এনার্জি রেগুলেটিং কমিশন বিদ্যুৎের দাম বৃদ্ধিতে আবার গণশুনানি আয়োজন করেছে। কর্মকর্তারা বলছেন আগামী কয়েক দিনের মধ্যে এই প্রক্রিয়াটি চলবে তারপর সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি করা হবে কি হবে না। বিদ্যুতের বিক্রয় মূল্যের চেয়ে উৎপাদন মূল্যে বেশি হচ্ছে। এ কারণে কোম্পানিগুলো বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির জন্য প্রস্তাব দিয়েছে। গত দশ বছরে ছয়বার দাম বাড়নোর পর আবারো দাম বাড়ানো কতোটা যোক্তিক বিবিসি সঙ্গে একান্ত সাক্ষাতকারে বলেছেন জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ম, তামিম।
তিনি বলেন, দেশে গত দশ বছরে বিদ্যুতের দাম যে ছয়বার বাড়ানো হয়েছে তার মূল কারণ হচ্ছে গ্যাস কমে যাওয়া এবং তেলের ওপর নির্ভরশীলতা বাড়ানোর কারণে। ছয়বার বাড়ানোর কারণেও ভর্তুকি দেয়া হচ্ছে। ভর্তুকির কারণ সরকারকে নিরুপন করতে হবে। গত ১০ বছরে যে বিদ্যুতের দাম ছিলো তা ভর্তুকিসহ।
তিনি আরো বলেন, এখনই সময় হয়েছে দাম বাড়ানো। চারিদিকে সরকারের বহুমুখি ইনভেস্টমেন্টের কারণে অর্থের দরকার হচ্ছে। আর সরকারের মূল লক্ষ্য ভর্তুকিই কমিয়ে আনা। যেহেতু দেশের মানুষের গড় আয় বৃদ্ধি হয়েছে। বিদ্যুতের ক্ষেত্রে আমাদের সিস্টেম লস কমিয়ে আনা হয়েছে আগে যেখানে ৪০ শতাংশ হতো সেখান থেকে বর্তমানে ১১ শতাংশ নামিয়ে আনা হয়েছে। সরকার জিরোতে আনার জন্য কাজ করছে। কিন্তু আমাদের যে বৈদ্যুতিক তার যন্ত্রপাতি সেখান থেকে ৮ শতাংশে নিচে আনা সম্ভব হবে না। কিন্তু গ্যাসের ক্ষেত্রে সিস্টেম লস শূন্যের কোঠায় আনা সম্ভব। গ্যাসের চুরি অনেক বেশি। গ্যাস ব্যবহার করা হচ্ছে বিদ্যুতের কাজেও তবে গ্যাসে টাকা বিদ্যুতের থেকে ওঠানো হচ্ছে কিনা তা আমরা জানি না।
বাংলাদেশের মতো যে অর্থনীতি যেখানে বিদ্যুতের অত্যধিক প্রয়োজনীয় উপাদান সেখানে বিদ্যুতের ব্যবসা করা লাভবান হওয়া যাবে বিবিসি’র প্রশ্নে তামিম বলেন, আমি মনে করি না। কিছুটা সাবসিডি দিতেই হবেই। অর্থনৈতিক উন্নয়ন হলে সেটা ভিন্ন কথা তখন মার্কেট প্রাইজে মানুষকে দাম দিতে পারবো। মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে বিদ্যুতের দাম রাখা উচিত এবং মানুষের জন্য সেই প্রচেষ্টাই করাই উচিত।
তিনি বলেন, আমি বারবার বলছি ২০০৮-০৯ সাল থেকে তেলভিত্তিক বিদ্যুৎ শুরু হয়েছে এখনতো ৪০ শতাংশে বিদ্যুৎ তেল থেকে আসছে। নতুন কয়লাভিত্তিক বিদ্যুত আসার কথা অথবা এলএমজিভিত্তিক বিদ্যুৎ আসলে হয়তো বিদ্যুতের দাম কমতো। এই না আসার কারণে বিদ্যুতের ভর্তুকি দিতে হচ্ছে। আরো কমমূল্যে বিদ্যুৎ উৎপাদন হতো তা থেকে আমরা বঞ্চিত হচ্ছি। সম্পাদনাধ রেজাউল আহসান
আপনার মতামত লিখুন :