শিরোনাম

প্রকাশিত : ১৫ অক্টোবর, ২০১৯, ০৭:১০ সকাল
আপডেট : ১৫ অক্টোবর, ২০১৯, ০৭:১০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

কংগ্রেসের তীব্র সমালোচনার মুখে তুর্কি মন্ত্রী ও কর্মকর্তাদের ওপর ট্রাম্পের নিষেধাজ্ঞা আরোপ

ইকবাল খান : রিপাবলিকান দলীয় কংগ্রেস সদস্য ও সামরিক বাহিনীর তীব্র সমালোচনার মুখে সিরিয়ায় সেনা অভিযানের প্রতিক্রিয়ায় তুরস্কের দুইজন মন্ত্রী এবং তিনজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। একইসঙ্গে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প টেলিফোনে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোগানকে দ্রুত একটি যুদ্ধ বিরতির তাগিদ জানিয়েছেন। সোমবার মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স এ তথ্য জানিয়ে বলেছেন, তিনি যত দ্রুত সম্ভব তুরস্ক সফরে যাবেন। বিবিসি, ইয়ন, সিএনএন।

ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স বলেন, এই নিষেধাজ্ঞা ক্রমে আরো কঠোর হতে থাকবে যতক্ষণ পর্যন্ত তুরস্ক যুদ্ধবিরতি ঘোষণা না করবে, সংঘাত বন্ধ না করবে এবং দীর্ঘমেয়াদী কোন শান্তিচুক্তিতে না আসবে।

হোয়াইট হাউসে পেন্স সাংবাদিকদের বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট আগ্রাসন বন্ধে তুরস্কের প্রেসিডেন্টের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি দ্রুত অস্ত্রবিরতি কার্যকর করে সিরিয়ায় কুর্দি বাহিনীর সাথে আলোচনা শুরু করারও আহ্বান জানান।

নিষেধাজ্ঞা আরোপের আগে এক টুইটবার্তায় ট্রাম্প সিরিয়ার উত্তরাঞ্চল থেকে সেনা প্রত্যাহারের পক্ষে অবস্থান নিয়ে বলেন, সিরিয়ায় কুর্দিদের রক্ষায় রাশিয়া, চীন বা নেপোলিান বোনাপার্ট, যে কেউ এগিয়ে আসতে পারে। আমরা ৭ হাজার মাইল দূরে অবস্থান করছি।

সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, রুশ সমর্থিত সরকারি বাহিনী মানবিজ শহরে পৌঁছে গেছে। মানবিজ শহরের যে এলাকায় তুর্কীরা নিজেদের জন্য সেফ জোন বা নিরাপদ অঞ্চল তৈরি করতে চায় সেই পর্যন্ত পৌঁছে গেছে সিরিয় বাহিনী।

কুর্দি নেতৃত্বাধীন বাহিনীর সঙ্গে চুক্তির প্রেক্ষাপটেই সিরিয় সেনা মোতায়েনের ঘটনা ঘটলো, যে কুর্দি বাহিনী গত সপ্তাহ পর্যন্ত ছিল মার্কিন মিত্র বাহিনী।

ওয়াশিংটনে মার্কিন অর্থমন্ত্রী স্টিভেন নুচিন সাংবাদিকদের বলেছেন, নতুন আরোপিত মার্কিন নিষেধাজ্ঞা তুরস্কের অর্থনীতির উপর মারাত্মক প্রভাব ফেলবে। এক বিবৃতিতে মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তুরস্কের প্রতিরক্ষা, জ্বালানি ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ ওইসব মন্ত্রণালয়ের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। তুর্কি অভিযানে সিরিয়ার ঐ অঞ্চলের নিরপরাধ নাগরিকদের জীবন যেমন ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে, তেমনি পুরো অঞ্চল অস্থিতিশীল হয়ে পড়েছে। আবার সেই সঙ্গে ইসলামিক স্টেটকে পরাজিত করার অভিযানকে ম্লান করে দিয়েছে।

সোমবারই মার্কিন সিনেটের সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের মিচ ম্যাককনেল বলেছেন, তিনি সিরিয়ার সার্বিক পরিস্থিতিতে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, এ পরিস্থিতিতে আইএসআইএসের পুনরুত্থান ঘটতে পারে। মিচ ম্যাককনেল জানান, আগামী সপ্তাহে সিনেট অধিবেশন শুরু হলে তিনি সিনিয়র সিনেট সহকর্মি ও প্রশাসনের সিনিয়র কর্মকর্তাদের সঙ্গে এই কৌশলগত বিপর্যয় কিভাবে মোকাবেলা করা যায় তা নিয়ে আলোচনা করবেন।

এর আগে সোমবার ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন নেতারা তুরস্কে অস্ত্র রপ্তানি বন্ধ করার ঘোষণা দেন। জবাবে তুরস্ক বলেছে, 'বেআইনি এবং পক্ষপাতমূলক' আচরণের জন্য ইইউ এর সাথে নিজেদের সম্পর্ক পুনঃমূল্যায়ন করবে দেশটি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়