সানমুন নিশাত: ভিনেগারে ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাস প্রতিরোধী উপাদান থাকে।অনেক সময় ব্রণের জন্য দায়ী প্রোনিওনিব্যাকটেরিয়াম বা পি ব্যাকটেরিয়া। আপেল সাইডার ভিনেগারে থাকা এসিটিক, সাইট্রিক, ল্যাকটিক ও সাকসিনিক এসিড পি ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করতে সক্ষম। -সারাবাংলা
অনেক সময় ব্রণ ঠিক হওয়ার পরেও ত্বকে দাগ থেকে যায়। ল্যাকটিক এসিড ত্বকের বিবর্ণতা দূর করে ত্বককে উজ্জ্বল করতে ভূমিকা রাখে। আপেল সাইডার ভিনেগারে থাকা ল্যাকটিক এসিডে ত্বকের সৌন্দর্য বাড়াতে ভূমিকা রাখে।
দ্যা মাদার যুক্ত আপেল সাইডার ভিনেগার ব্যবহার করতে চেষ্টা করুন। এতে প্রচুর পরিমাণ প্রোটিন, এনজাইম ও উপকারী ব্যাকটেরিয়া আছে যা ভিনেগারের গুণাগুণ বাড়িয়ে দেয়। মাদারযুক্ত ভিনেগারের তলানিতে জমে থাকা ধোয়াটে উপাদানই মাদার। ফিল্টার করা ভিনেগারের চেয়ে এটি বেশি উপকারী।
ব্যবহার করবেন যেভাবে -
১) এক চামচ আপেল সাইডার ভিনেগারের সঙ্গে তিন চামচ পানি মেশান। সংবেদনশীল ত্বকের ক্ষেত্রে পানির পরিমাণ বাড়িয়ে নিন।
২) মৃদু ফেস ওয়াশ বা ফেসিয়াল ফোম দিয়ে মুখ ধুয়ে তোয়ালে দিয়ে চেপে চেপে মুছে নিন।
৩) এরপর তুলার বল বা প্যাডের সাহায্যে চেপে চেপে ভিনেগার ও পানির মিশ্রণটি ব্রণ আছে এমন জায়গায় লাগান।
৪) পাঁচ থেকে বিশ মিনিট অপেক্ষা করে স্বাভাবিক তাপমাত্রার পানি দিয়ে ধুয়ে তোয়ালে দিয়ে চেপে চেপে শুকান। তারপর ত্বকের ধরণ অনুযায়ী ময়েশ্চারাইজার লাগান।
৫) দিনে দুইবার ব্যবহারে উপকার পাবেন। আপেল সাইডার ভিনেগার সরাসরি ব্যবহারে ত্বকে জ্বালাপোড়া বা অন্য সমস্যা দেখা দিতে পারে। সংবেদনশীল বা ক্ষতযুক্ত ত্বকের জন্য আরও সতর্কতা প্রয়োজন। যদি এই ভিনেগারে আপনার ত্বকে পোড়া অনুভব করেন তাহলে অবশ্যই পানি মিশিয়ে ব্যবহার করুন। পানি মেশানোর পরও যদি সমস্যা হয়, তাহলে আপেল সাইডার ভিনেগার ব্যবহার বন্ধ করে দিন।
আপনার মতামত লিখুন :