মুসবা তিন্নি : জয়কুমার যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এক জন বিজ্ঞানী। তিনি এই মুহূর্তে ন্যানো টেকনোলজি‚ন্যানো অক্সিলেটর এবং ন্যানোস্কেল ডিভাইজ অ্যাপ্লিকেশন এবং আর্কিটেকচর নিয়ে গবেষণা করছেন। বাংলাদেশ টুডে
মা বহু কষ্ট করে অর্থ জোগাড় করে পড়াশোনা চালানোর চেষ্টা করেছেন। ছেলে জয়কুমার বৈদ্যের জীবনে এমনও সময় গেছে যখন স্কুলের বেতন না দিতে পারায় পরীক্ষার রেজাল্ট আটকে দেয়া হয়েছে। ছোটখাটো কাজ করে কোনো রকমে সংসার চালাতেন। এমনও সময় গেছে যখন জয়কুমার শুধু মাত্র বাসি পচা বড়াপাও, সিঙারা, পাউঁরুটি আর চা খেয়ে দিন পার করেছেন।
এক বার এক বন্ধুর বাড়িতে ডিসকভারি চ্যানেলে একটা অনুষ্ঠান দেখেন জয়কুমার। দেখেন মহাকাশ সম্পর্কিত একটি সিনেমাও। সেই দিনই বিজ্ঞানী হওয়ার বীজ রোপণ হয় তার মধ্যে। ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার সময় জয়কুমার একটা টিভি মেরামতের দোকানে কাজ নেন। এ ছাড়াও কুর্লা অঞ্চলের একটা কাপড়ের দোকানেও কাজ করতেন। মাসে মাত্র চার হাজার টাকা রোজগার ছিলো তখন। ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার সময় রোবোটিক্সে উনি তিনটে জাতীয় এবং চারটে রাজ্য স্তরে পুরস্কার জেতেন। এর ফলে উনি লার্সেন অ্যান্ড টুব্রোতে একটা ইনটার্নসিপের সুযোগ পান। স্নাতক হওয়ার পর জয়কুমার টাটা ইনস্টিটিউট-এ রিসার্চ করার সুযোগ পান। তখন তার মাসিক রোজগার দাঁড়ায় তিরিশ হাজার টাকা। তিনি তা দিয়ে বাড়ি মেরামত করেন এবং মাকে একটা এয়ারকন্ডিশন কিনে দেন।
তিন বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রে আছেন জয়কুমার। এরইমধ্যেই তার দুটো গবেষণাপত্র নামকরা আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান পত্রিকায় ছাপা হয়েছে। জয়কুমার চান ভবিষ্যতে হার্ডওয়্যার টেকনোলজিতে আত্মনির্ভরশীল হয়ে উঠুক তার দেশ। সম্পাদনা : রাশিদ
আপনার মতামত লিখুন :