ডেস্ক রিপোর্ট : কন্যাসন্তান হওয়ায় মাদারীপুরের কালকিনিতে জামিলা নামের ১৪ দিন বয়সের এক নবজাতকে পানিতে ফেলে হত্যা করেছে এক পাষণ্ড মা।যুগান্তর
এ ঘটনায় ওই ঘাতক মা ময়না খানমকে (২৫) থানা পুলিশ আটক করে সোমবার দুপুরে মাদারীপুর জেলহাজতে প্রেরণ করে।
সোমবার সকালে ওই নবজাতকের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মাদারীপুর মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
তবে এ হত্যার ঘটনায় নবজাতকের বাবা বাদী হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলা ও এলাকা সূত্রে জানা গেছে, পৌর এলাকার পাঙ্গাশিয়া গ্রামের ছত্তার সরদারের কাতার প্রবাসী ছেলে সুজন সরদারের সঙ্গে শিকারমঙ্গল গ্রামের হারুন বেপারীর মেয়ে ময়না খানমের প্রায় ৪ বছর আগে বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাদের সংসারে প্রথমে একটি কন্যাসন্তান জন্মলাভ করে। সেই মেয়ের বয়স প্রায় এখন দুই বছর।
এরপর গত ১৪ দিন আগে তাদের সংসারে আরও একটি কন্যাসন্তান হয়। কিন্তু দ্বিতীয় সন্তান ছেলে না হয়ে মেয়ে সন্তান হওয়ায় এতে করে চরম ক্ষুব্ধ হন মা ময়না খানম।
রোববার সন্ধ্যার এক ফাঁকে ময়না খানম তার নবজাতক কন্যাকে বাড়ির পাশের একটি পুকুরের পানিতে ফেলে দেন। পরে স্থানীয় লোকজন পুকুরের পানিতে জামিলার লাশ ভাসতে দেখে।
খবর পেয়ে কালকিনি থানা পুলিশ জামিলার লাশ উদ্ধার করে মাদারীপুর মর্গে প্রেরণ করেন। এ হত্যার সন্দেহে কালকিনি থানা পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে নবজাতকের মা ময়না খানমকে প্রথমে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেন।
জিজ্ঞাসাবাদে ময়না খানম পুলিশকে জানান, দ্বিতীয়বার মেয়ে সন্তান হওয়ায় তিনি ক্ষুব্ধ হয়ে পানিতে ফেলে নিজেই তার নবজাতক সন্তানকে হত্যা করেন।
সোমবার সকালে নবজাতকের বাবা সুজন বাদী হয়ে কালকিনি থানায় স্ত্রী ময়না খানমকে প্রধান আসামি করে একটি হত্যামামলা দায়ের করেন।
নিহত নবজাতকের বাবা সুজন সরদার বলেন, আমার সন্তানকে আমার স্ত্রী ময়না হত্যা করেছে। আমি তার সর্বোচ্চ শাস্তি চাই।
ময়না খানমের মা রেহেনা বেগম বলেন, আমার মেয়ে ময়না এ হত্যার সঙ্গে জরিত নয়।
কালকিনি থানার ওসি মো. মোফাজ্জেল হোসেন বলেন, মেয়ে সন্তান হওয়ায় ময়না খানম তার নিজের নবজাতকে পানিতে ফেলে হত্যা করেছে। সে আমাদের কাছে হত্যার কথা স্বীকার করেছে।
আপনার মতামত লিখুন :