শিরোনাম
◈ ঝালকাঠিতে ট্রাকচাপায় নিহতদের ৬ জন একই পরিবারের ◈ গাজীপুরের টঙ্গি বাজারে আলুর গুদামে আগুন ◈ রাজনৈতিক বিশ্লেষক মনোয়ারুল হক মারা গেছেন ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব শনিবার ঢাকা আসছেন ◈ দুই এক পশলা বৃষ্টি হলেও তাপদাহ আরো তীব্র হতে পারে  ◈ এথেন্স সম্মেলন: দায়িত্বশীল ও টেকসই সমুদ্র ব্যবস্থাপনায় সম্মিলিত প্রয়াসের আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ◈ কেএনএফ চাইলে আবারও আলোচনায় বসার সুযোগ দেওয়া হবে: র‌্যাবের ডিজি ◈ ওবায়দুল কাদেরের হৃদয় দুর্বল, তাই বেশি অবান্তর কথা বলেন: রিজভী ◈ মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতি বিবেচনায় প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দিলেন প্রধানমন্ত্রী ◈ বাংলাদেশ সংকট থেকে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে: অর্থমন্ত্রী

প্রকাশিত : ১৫ অক্টোবর, ২০১৯, ০৩:১৩ রাত
আপডেট : ১৫ অক্টোবর, ২০১৯, ০৩:১৩ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

কাউন্সিল নিয়ে আওয়ামী লীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ১

দেশ রুপান্তর ডেস্ক : গোয়ালন্দ উপজেলার দেবগ্রাম ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের কাউন্সিলকে কেন্দ্র করে সোমবার সন্ধ্যায় দু’পক্ষের সংঘর্ষে রেজাউল মোল্লা ওরফে আবু ডাক্তার (৩৫) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।

তিনি দেবগ্রাম ইউনিয়নের মুন্সিপাড়া গ্রামের মোবারক মোল্লার ছেলে। ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।

সংঘর্ষে দু’পক্ষের অন্তত ২০ জন গুরুতর জখম হন। ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও নবনির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যান হাফিজুল ইসলাম ও সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান আতর আলী সরদারের সমর্থকদের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

নিহত আবু ডাক্তার হাফিজুল চেয়ারম্যানের মেয়ের দেবর।

আহতদের মধ্যে আতর আলী সরদারের ছেলে ও ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম বাবলু (৪২), বাবলুর মামা আ. সালাম বেপারী (৫৫), আ. সাত্তার খান (৩০), টোকন সরদার (২৮), গাজী সরদার (৩০), হাফিজুল চেয়ারম্যানের সমর্থক নিজাম শেখ (৩৫), রহমান সরদার (৪৫), আলো মোল্লার (৩৮) নাম জানা গেছে।

তাদের গোয়ালন্দ হাসপাতালে আনা হয়। বাকিদের অন্যান্য স্থানে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে এবং কয়েকজন এখনো আতঙ্কে এলাকায় রয়ে গেছেন বলে জানা গেছে।

আহতদের মধ্যে গুরুতর অবস্থায় পাঁচজনকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।

কাউন্সিলের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা ও গোয়ালন্দ উপজেলা আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক ফজলুল হক জানান, সোমবার বিকেলে দেবগ্রাম ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক কাউন্সিল স্থানীয় দেবগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চলছিল। প্রথম অধিবেশন শেষে শুরু হয় কাউন্সিলরদের ভোটগ্রহণ পর্ব। ভোটগ্রহণ কক্ষে উপস্থিত থাকা নিয়ে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান হাফিজুল ইসলামের ছেলে বকুল ও সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান আতর আলী সরদারের ছেলে ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি সিরাজুল ইসলাম বাবলুর মধ্যে কথাকাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।

এর জের ধরে পরবর্তীতে দুই পক্ষে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ভোটগ্রহণ শেষে হাফিজুল চেয়ারম্যানের সমর্থকরা আতর চেয়ারম্যানের বাজারে আসলে সেখানে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে উভয় পক্ষ ধারালো অস্ত্র ও লাঠিসোঁটা নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এ সময় হাফিজুলের সমর্থকরা আতর চেয়ারম্যানের বাড়িতে হামলা চালায়। এ হামলায় নিহত হন আবু ডাক্তার।

হামলার খবর পেয়ে গোয়ালন্দ ঘাট থানার এক দল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসে স্থানীয়রা। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত হাসপাতালে পর্যায়ক্রমে আহতদের আনা হচ্ছিল। এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।

এ বিষয়ে আতর চেয়ারম্যানের (সাবেক) ছেলে ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম বাবলু চিকিৎসাধীন অবস্থায় জানান, কাউন্সিল স্থলে হাফিজুল চেয়ারম্যানরা চরমপন্থী সন্ত্রাসীদের জড়ো করে কাউন্সিলকে প্রভাবিত করছিল। এর প্রতিবাদ করায় তারা আমার ওপর চড়াও হয়। পরবর্তীতে সংগঠিত হয়ে আমাদের লোকজন ও বাড়ি-ঘরে হামলা চালায়।

ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হাফিজুল ইসলাম বলেন, ওরা আমার মেয়ের দেবর আবু ডাক্তারকে নির্মমভাবে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করেছে।

তিনি আরো জানান, আওয়ামী লীগের কাউন্সিল হলেও যুবলীগ নেতা বাবলু সেখানে জোরপূর্বক অবস্থান করে কাউন্সিলে বিঘ্ন ঘটাচ্ছিল। এ নিয়ে সামান্য বিতণ্ডা হলেও পরবর্তীতে ওরা সঙ্গবদ্ধ হয়ে আমার লোকজনের ওপর হামলা চালায়। চরমপন্থীদের অবস্থানের অভিযোগ সঠিক নয়।

এ ব্যাপারে গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি রবিউল ইসলাম জানান, হামলার ঘটনা শুনে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করি। বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে আছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়