শাহীন খন্দকার : বাংলাদেশে আগ্নেয়াস্ত্রের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স প্রদান, নবায়ন ও ব্যবহার নীতিমালা করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। সরকারের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে এ নির্দেশনা দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বৈধ অস্ত্রের অবৈধ ব্যবহার ঠেকাতেই এই নির্দেশনা, এতে বলা হয়েছে, কোনও ব্যক্তি তার লাইসেন্স করা অস্ত্র আত্মরক্ষার জন্য বহন বা ব্যবহার করতে পারবেন। তবে অন্যের ভীতি বা বিরক্তির কারণ হতে পারে, এমনভাবে তা প্রদর্শন করতে পারেন না।
সোমবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের রাজনৈতিক শাখা-৪ থেকে এ-সংক্রান্ত নতুন প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা ‘আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স প্রদান, নবায়ন ও ব্যবহার নীতিমালা ২০১৬’-এর অনুচ্ছেদ ২৫(গ) অনুযায়ী আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্সধারী কোনও ব্যক্তি অন্যের নিরাপত্তায় বা সম্পত্তি রক্ষায় অস্ত্রধারী প্রহরী হিসেবে নিয়োজিত হতে পারবেন না। কিন্তু তা লঙ্ঘন কওে কেউ কেউ নিজের আগ্নেয়াস্ত্রসহ বেসরকারি নিরাপত্তা সংস্থায় বা অন্য ব্যক্তির দেহরক্ষী হিসেবে নিয়োজিত রয়েছে।
এ অবস্থায় অস্ত্র আইন-১৮৭৮ কঠোরভাবে অনুসরণ এবং বৈধ অস্ত্রের অবৈধ ব্যবহার রোধে ‘আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স প্রদান, নবায়ন ও ব্যবহার নীতিমালা ২০১৬’-এর অনুচ্ছেদ ২৫ (গ) ও ২৫ (ক) অনুসরণ করে অস্ত্র প্রদর্শন না করতে নির্দেশ দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
এদিকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, গত বছরের এপ্রিল মাসে এক সাংসদের ছেলে রাজধানীর নিউ ইস্কাটনে যানজটে পড়ে বিরক্ত হয়ে এলোপাতাড়ি গুলি চালিয়েছিলেন। তাতে এক রিকশাচালক ও এক অটোরিকশাচালক গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। গত বছরের ২ অক্টোবর গাইবান্ধার এক সাংসদ শিশু সৌরভকে গুলি করেছিলেন। এমন অসহিষ্ণু মানুষের হাতে বৈধ অস্ত্র থাকাও বিপজ্জনক।
এদিকে নীতিমালা অনুযায়ী, কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা বিচারাধীন থাকলে ওই ব্যক্তি আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স পাবেন না। কেউ ফৌজদারি আদালত থেকে চূড়ান্ত সাজাপ্রাপ্ত হলে ১০ বছরের মধ্যে লাইসেন্স পাবেন না। আর শ্রমিকঘন প্রতিষ্ঠান বা কারখানার অনুকূলে আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স দেওয়া হবে না।
আপনার মতামত লিখুন :