সোহেল রানা : ঘুষ বাণিজ্যের ঘটনা প্রাথমিক তদন্তে প্রমাণিত হওয়ায় চুয়াডাঙ্গার হিজলগাড়ি পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জ এসআই আফজাল হোসেনকে পুলিশ লাইনে ক্লোজ করা হয়েছে।সোমবার দুপুরের পর চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, খুলনা রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয়ের এক তদন্তে এসআই আফজালের বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রমাণ প্রাথমিকভাবে প্রমাণ হওয়ায় তাকে ক্লোজ করা হয়েছে।
তার বিরুদ্ধে অনৈতিক ও অনুমোদনহীন কার্যকলাপের প্রমাণ পাওয়া গেছে। সে কারনে তাকে ক্লোজ করা হয়।
উল্লেখ্য, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার হিজলগাড়ী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আফজাল হোসেন গত ৩০ আগস্ট রাতে কোটালী-উজলপুর সড়কের শৈলমারী মোড় নামক স্থান থেকে আকন্দবাড়ীয়া গ্রামের শাজাহানের ছেলে বিল্লাল হোসেন এবং ইস্রাফিলের ছেলে পিল্টুকে আটক করে ক্যাম্পে নিয়ে যায়।
পরদিন ৩১ আগস্ট সকালে পরিবারের লোকজনের সামনে তাদের মারধর ও ভয়ভীতি দেখায়। পরে আটককৃত আসামীর আত্মীয়-স্বজনের কাছে মামলা হালকা করার কথা বলে নগদ ৫০ হাজার টাকা ঘুষ নেয়।
এ ঘটনায় ঘুষ নেওয়ার বিষয়ে স্থানীয় পত্রিকাগুলোতে সংবাদ পরিবেশিত হয়।
এসআই আফজাল হোসেনের ঘুষ বাণিজ্যেও বিষয়ে সংবাদ প্রকাশ হলে বিষয়টি উর্দ্ধতন পুলিশ কর্মকর্তাদের গোচরে আসে।
এসআই আফজাল হোসেন ঘুষের ৫০ হাজার টাকার মধ্যে ১০ হাজার টাকা ফেরত দেয় এবং বাকী টাকা গত ৪ সেপ্টম্বর ফেরত দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়। কয়েকদিন অতিবাহিত হলেও প্রতিশ্রুতির টাকা ফেরত দিতে গড়িমশি শুরু করে দেয় তিনি।
এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কলিমুল্লাহ বিষয়টি সরেজমিনে তদন্ত করেন। তদন্তে অভিযোগকারীদের জিজ্ঞাসাবাদে এসআই আফজালের ঘুষ বাণিজ্যের বিষয়টির প্রাথমিক প্রমাণ পায় পুলিশের উদ্ধর্তন কর্মকর্তারা। সম্পাদনা : জেরিন মাশফিক
আপনার মতামত লিখুন :