শিরোনাম
◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ প্রাথমিকের তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা শুরু, মানতে হবে কিছু নির্দেশনা ◈ ভারত থেকে ১৬৫০ টন পেঁয়াজ আসছে আজ! ◈ বিশ্ববাজারে সোনার সর্বোচ্চ দামের নতুন রেকর্ড ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ চেক প্রতারণার মামলায় ইভ্যালির রাসেল-শামিমার বিচার শুরু ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ প্রফেসর ইউনূসকে প্রদত্ত "ট্রি অব পিস" প্রধানমন্ত্রীকে প্রদত্ত একই ভাস্করের একই ভাস্কর্য: ইউনূস সেন্টার ◈ নির্বাচনী বন্ড কেবল ভারত নয়, বিশ্বের সবচেয়ে বড় কেলেঙ্কারি: অর্থমন্ত্রীর স্বামী ◈ কুড়িগ্রামে অর্থনৈতিক অঞ্চলের স্থান পরিদর্শন করে দেশে ফিরলেন ভুটানের রাজা

প্রকাশিত : ১৫ অক্টোবর, ২০১৯, ০২:১১ রাত
আপডেট : ১৫ অক্টোবর, ২০১৯, ০২:১১ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

প্রতি ২ সেকেন্ড একজন মানুষ উদ্বাস্তুতে পরিণত হচ্ছে

আসিফুজ্জামান পৃথিল : জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআরের বরাত দিয়ে বিবিসি এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে। শুধু যুদ্ধ বিগ্রহ নয় জলবায়ু পরিবর্তন জনিত কারণেও বাড়ছে উদ্বাস্তু ও শরণার্থী ঝুঁকি। ২০১৮ সালে প্রতিদেন গড়ে ৩৫ হাজারেরও বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। বিবিসি

২০১৮ সালে ৭ কোটি ১০ লাখ মানুষ বাস্তুহারা হয়েছে। যা এখন পর্যন্ত রেকর্ড। অর্থাৎ ৭০০ কোটি মানুষের এই বিশ্বে প্রতি ১০ জনে একজন উদ্বাস্তু বা শরণার্থী। এরমধ্যে ২ কোটি ৬০ লাখ মানুষ পালিয়ে নিজ দেশে আশ্রয় নিয়েছে। ৮ কোটি ১০ লাখ মানুষ নিজ দেশেরই এক স্থান থেকে আর এক স্থানে গেছেন। আর ৩৫ লাখ মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন দূরবর্তী কোনো দেশে। ইউএনএইচসিআর বলছে, যুদ্ধ, সহিংসতা, নির্যাতন ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের মতো ঘটনা এতো মানুষকে ঘরবাড়ি ছেড়ে পালাতে বাধ্য করেছে। এর মধ্যে নারী ও শিশুই বেশি। গত ১০ বছরে স্থানচ্যুত মানুষের সংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে। ইরাক ও সিরিয়ার দীর্ঘস্থায়ী বিধ্বংসী যুদ্ধ বহু পরিবারকে নিজ এলাকা ছেড়ে যেতে বাধ্য করেছে। মানুষের বাস্তুভিটা ত্যাগের পেছনে আরও রয়েছে প্রাকৃতিক দুর্যোগসহ অন্যান্য বিপর্যয়।

বিশেষ করে দেশের ভেতরই মানুষের জায়গা বদলের অন্যতম প্রধান কারণ এটা। জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবে যেসব এলাকায় প্রাকৃতিক দুর্যোগ বেড়েছে, আবহাওয়া প্রতিকূল হয়ে উঠেছে, এসব এলাকায় অভ্যন্তরীণ বাস্তুহারার সংখ্যা বাড়ছে। বাংলাদেশে নদীভাঙন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, প্রত্যন্ত এলাকায় কর্মসংস্থানের অভাব বাস্তুহারার দল ভারী করছে। ঢাকার বিভিন্ন স্থানে ফুটপাত আর বস্তিতে এসব মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। সম্প্রতি শরীয়তপুর, মাদারীপুর ও রাজবাড়ী জেলায় পদ্মার ভাঙন ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। ভাঙনে তিন জেলায় এরই মধ্যে আবাদি জমি, বসতবাড়ি, বিদ্যালয় ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রসহ কয়েক শ স্থাপনা নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে ঘরবাড়ি ছেড়েছে সহস্রাধিক মানুষ।

গৃহযুদ্ধ বা অভ্যন্তরীণ সংঘাতের কারণে যেসব দেশের মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে, এর মধ্যে কঙ্গো প্রজাতন্ত্র, দক্ষিণ সুদান, ইয়েমেন ও মিয়ানমার অন্যতম। মিয়ানমারে সেনাবাহিনীর নির্যাতন ও ব্যাপক গণহত্যার ঘটনায় ২০১৭ সালের আগস্টে সীমান্তবর্তী রাখাইন রাজ্য থেকে দলে দলে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী এসে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। বর্তমানে কক্সবাজারে প্রায় ১১ লাখ রোহিঙ্গা অবস্থান করছে। স্থানচ্যুত মানুষ দুই ভাগে বিভক্ত। একটি হলো শরণার্থী, অন্যটি বাস্তুহারা। সংঘর্ষ, নিপীড়ন বা অন্য কোনো কারণে যেসব মানুষ দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়ে অন্য দেশে গিয়ে আশ্রয় খোঁজে, তারা শরণার্থী। আর যেসব মানুষ উল্লিখিত কারণে স্থানচ্যুত হয়ে নিজের দেশেই অন্য কোথাও নতুন করে আশ্রয় নেয়, তারা বাস্তুহারা।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়