সাইফুর রহমান : সাধারণ অপরাধের সঙ্গে একই ক্যাটিাগরিতে সন্ত্রাসবাদের মতো অপরাধের বিচার করা বিচার বিভাগের জন্য একটি বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ উল্লেখ করে ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল একথা বলেন। ভারতের জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার আয়োজনে সন্ত্রাসবিরোধী স্কোয়াডের জাতীয় সম্মেলনে যোগ দেন তিনি। এসময় বক্তব্যে তিনি সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী মার্গারেট থ্যাচারের উদ্ধৃতি উল্লেখ করে এবিষয়ে গণমাধ্যমের পলিসি পরিবর্তনের কথাও বলেন। দি হিন্দু
সন্ত্রাসবাদ সংক্রান্ত মামলার চ্যালেঞ্জ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে এসময় দোভাল বলেন, ‘বিচার বিভাগ এধরনের মামলাগুলোকে অন্যান্য সাধারন মামলার মতো সমান দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখে। তারা একই মানদণ্ডে মামলাগুলোর চার্জ গঠন করে থাকে, কিন্তু, একটি সন্ত্রাসবাদের মামলায় আপনি প্রত্যক্ষদর্শী কোথায় পাবেন ? খুব কম সংখ্যক মানুষ জইশ-ই-মোহাম্মদ বা লস্কর-ই-তৈয়বার বিরুদ্ধে সাক্ষী দিতে আসবে। এসময় জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার প্রশংসা করে তিনি বলেন, তারাই এক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জগুলো গ্রহণ করছে।
সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলায় গণমাধ্যমের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, একটি সন্ত্রাসী হামলার পর গণমাধ্যম যদি সংবাদ প্রচার না করে তবে তারা দ্বিতীয়বার এধরনের হামলা চালাবে না, কারন, তারা প্রচার চায়। তাদের উদ্দেশ্যই হলো হত্যা নির্যাতনের ঘটনাগুলো প্রচার করে জনমনে ভীতি সঞ্চার করা। ধরুন কোনো এক জায়গায় সন্ত্রাসী হামলায় ১০ জন মারা গেলো কিন্তু কেউ জানলো না, এক্ষেত্রে তারা দ্বিতীয়বার এধরনের হামলার উৎসাহ পাবে না। তাই আমাদের গণমাধ্যমের পলিসি নিয়ে নতুন করে ভাবতে হবে, তাদেরও আরো দায়িত্বশীল আচরন করতে হবে। এসময় তিনি পাকিস্তান রাষ্ট্রীয় ভাবে সন্ত্রাসবাদে অর্থায়ন এবং পৃষ্ঠপোষকতা করছে অভিযোগ করে এই ঘটনাগুলোর তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহ করে সংবাদ পরিবেশনের অনুরোধ জানান সাংবদিকদের প্রতি।
আপনার মতামত লিখুন :