শিরোনাম
◈ মুগদায় ডিএসসিসির ময়লার গাড়ির ধাক্কায় কিশোর নিহত ◈ বাংলাদেশ-চীন সামরিক মহড়া মে মাসে, নজর রাখবে ভারত ◈ দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যু: চুয়েটে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন স্থগিত, যান চলাচল শুরু ◈ বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক ভারত, চীন বা রাশিয়ার মাধ্যমে পরিচালিত নয়: মার্কিন কর্মকর্তা ◈ সিলেটে ট্রাক-অটোরিকশা সংঘর্ষে নিহত ২ ◈ থাইল্যান্ডের রাজা-রাণীর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সৌজন্য সাক্ষাৎ ◈ রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধানবিরোধী নয়, হাইকোর্টের রায় ◈ শিক্ষক নিয়োগ: ১৪ লাখ টাকায় চুক্তি, ঢাবি শিক্ষার্থীসহ গ্রেপ্তার ৫ ◈ বিদ্যুৎ-গ্যাস কর্তৃপক্ষের ছাড়পত্র ছাড়া ঋণ মিলবে না ◈ নতুন করে আরও ৭২ ঘণ্টার তাপ প্রবাহের সতর্কতা জারি

প্রকাশিত : ১৪ অক্টোবর, ২০১৯, ১০:০৬ দুপুর
আপডেট : ১৪ অক্টোবর, ২০১৯, ১০:০৬ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

শেরপুরে মিথ্যা ধর্ষণ মামলা ও হয়রানি থেকে বাঁচতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা

আবু জাহের, শেরপুর (বগুড়া) : কথিত বিয়ে না মানায় ও মেয়ের পরিবারকে ভুয়া কাবিনের মোটা অর্থ না দেয়ায় প্রতারণাকারীদের মিথ্যা ধর্ষণ মামলা ও হয়রানীর হাত থেকে বাঁচতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন মেধাবী ছাত্রের বাবা মো. গোলাম রব্বানী প্রাং। গত রোববার বিকালে শেরপুর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে ওই ভুক্তভোগী পরিবার।

লিখিত বক্তব্যে গোলাম রব্বানী প্রাং বলেন, আমার ছেলে মোহাইমিনুল ইসলাম একজন মেধাবী ছাত্র হওয়ায় একই এলাকা শেরুয়া নওদাপাড়ার মো. মফিদুর রহমান ও মোছা. মনজুরা খানমের নাবালিকা মেয়ে মাহিশা রহমানকে দিয়ে কৌশলে আমার কাছ থেকে অর্থ ও ভিন্ন স্বার্থ চরিতার্থ করার লক্ষে আমার ছেলের ইচ্ছার বিরুদ্ধে জেলা বগুড়ার নোটারী পাবলিকের মাধ্যমে গত ০৫/০৫/২০১৯ তারিখে কাবিনমুলে বিয়ে দেয়। বিয়ের পর থেকেই আমার ছেলে প্রায় দুই মাস ওই মেয়ের সাথেই ঘর সংসার করে। এ পর্যায়ে আমার ছেলের কথিত বউ মাহিশা রহমানের মা মনজুরা খানম কাবিনের টাকা হাতিয়ে নিতে না পেরে মোহাইমিনুল ইসলামকে তাদের বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেন। তারপর থেকেই আমার ছেলে লেখাপড়ায় মনযোগ দিয়ে শিক্ষার জন্য বিদেশে যাওয়ার প্রস্তুতি নিতে থাকে।

এদিকে আমার ছেলের বিয়ে বা কাবিন সংক্রান্ত বিষয়টি ভুয়া সন্দেহে ওই ভুয়া কাবিন ও নোটারী পাবলিকের এফিডেভিট বাতিলের জন্য বগুড়া বিজ্ঞ ১ম যুগ্ম জেলা জজ আদালতে নাবালিকা মেয়ে মাহিশা রহমান, মাতা মনজুরা খানমসহ সংশ্লিষ্ট আইনজীবীদের বিরুদ্ধে মোকদ্দমা নং ১৭৫/২০১৯ (অন্য) করা হয়। যাহা বিজ্ঞ আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। তাছাড়া জজকোর্টের বিজ্ঞ আইনজীবি উজ্জল চন্দ্র সরকার কর্তৃক লিগ্যাল নোটিস সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি গত ১৯ জুলাই দৈনিক একটি পত্রিকাতে প্রকাশিত হয়। অপরদিকে পূর্ববর্তী স্বামী থাকাকালীন সময়ে মাহিশা রহমানের মাতা মনজুরা খানম অশুভ উদ্দেশ্য হাসিলের স্বার্থে ব্যর্থ হয়ে পুনরায় আমার ছেলে মোহাইমিনুলের জীবন নষ্ট করতে গত ৩/১০/২০১৯ তারিখে বগুড়া নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালত-২ ধর্ষণ মামলা দায়ের করে।

অথচ মামলা এজাহারে ধর্ষণের তারিখ ২৭/০৯/২০১৯ দেখানো হলেও ওই দিন বা তার কয়েকদিন পূর্ব থেকে অদ্যবধি আমার ছেলে লেখাপড়া ও বিদেশে লেখাপড়ার প্রস্তুতি স্বরূপ বিভিন্ন কাজে ঢাকায় অবস্থান করছে। অথচ প্রতিপক্ষরা মিথ্যা মামলা দিয়ে আমার ছেলের ভবিষ্যৎ জীবন নষ্ট ও আমাদের পরিবারকে নানাভাবে হয়রানির অপচেষ্টা চালিয়ে আসছে। মাহিশা ও তার স্বার্থন্বেষী পরিবারের প্রতারণামুলকভাবে উদ্দেশ্যপ্রনেদিত বিভিন্ন মামলা-হামলা ও নানা হয়রানি থেকে রেহাই পেতে বস্তুনিষ্ট ও সত্য ঘটনা উদঘাটনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছেন ভুক্তভোগী গোলাম রব্বানী ও তার পরিবার। এসময় আলহাজ্ব ওমর ফারুক, জাহাঙ্গীর আলম টুকুসহ এলাকাবাসীরা উপস্থিত ছিলেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়