হাকিম ভূঁইয়া, নারায়ণগঞ্জ : স্বামীকে পরকিয়ায় বাঁধা দেয়াকে কেন্দ্র করে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে কুলসুম (১৯) নামে এক গৃহবধূকে বাঁশ দিয়ে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার স্বামী শাহআলমের বিরুদ্ধে। রোববার রাত ৩টায় স্থানীয় কড়ইতলা পাঁচানিপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে।
সোমবার সকালে নিহতের শ্বশুর ও শাশুড়ি তাকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। পরে জরুরি বিভাগে কর্মরত চিকিৎসক আশরাফুল আমীন তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের পরিবারের দাবি, স্বামীসহ তার পরিবারের অন্য সদস্যরা তাকে পিটিয়ে হত্যা করেছে। নিহত কুলসুমের পাঁচ মাস বয়সি এক সন্তান রয়েছে। স্থানীয় বিশ্বনন্দী ইউপির কড়ইতলা পাঁচানীপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
খবর পেয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে লাশ উদ্ধার করে পুলিশ নারায়ণগঞ্জ ভিক্টোরিয়া হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে রক্তমাখা একটি বাঁশের লাঠি উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের চাচা শুকুর আলী বাদী হয়ে শাহআলমকে প্রধান আসামি করে তার পরিবারের আরো তিন সদস্যের নামে একটি হত্যা মামলা করেছেন।
এর আগে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে নিহতের শ্বশুর কড়ইতলা পাঁচানীপাড়া এলাকার মৃত সুরুজ মিয়ার ছেলে জলিল (৭০) ও তার স্ত্রী কুলসুম (৬৫)কে আটক করেছে পুলিশ। তবে ঘটনার পরই নিহতের স্বামী পালিয়ে গেছে।
নিহতের চাচা শুকুর আলী জানান, ২ বছর আগে স্থানীয় বিশ্বনন্দী ইউপির মানিকপুর এলাকার মৃত আব্দুল হকের মেয়ে কুলসুমকে পারিবারিকভাবে বিয়ে দেয়া হয়। এরই মধ্যে তাদের দাম্পত্য জীবনে এক সন্তানের জম্ম হয়।
তিনি আরো বলেন, বড় ভাই মালয়েশিয়া প্রবাসী বিল্লালের স্ত্রী রাশিদার সঙ্গে শাহআলমের পরকিয়ার সম্পর্ক চলছিলো। এনিয়ে তাদের সংসারে মনোমালিন্য দেখা দেয়। বেশ কয়েকবার বিচার-শালিসও করা হয়। এরই জেরে রাতে স্বামী ঘুমন্ত কুলসুমকে বাঁশের লাঠি দিয়ে মাথাসহ শরীরিরের বিভিন্ন স্থানে উপর্যুপরি আঘাত করে হত্যা করেছে।
আড়াইহাজার থানার ওসি নজরুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। এরই মধ্যে দুই ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :