শিরোনাম
◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ভারত থেকে ১৬৫০ টন পেঁয়াজ আসছে আজ! ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ নির্বাচনী বন্ড কেবল ভারত নয়, বিশ্বের সবচেয়ে বড় কেলেঙ্কারি: অর্থমন্ত্রীর স্বামী ◈ জনগণকে সংগঠিত করে চূড়ান্তভাবে বিজয় অর্জন করতে হবে: মির্জা ফখরুল ◈ উন্নয়ন সহযোগীদের একক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী ◈ জিয়াউর রহমানের সময়ই দেশে বিভেদের রাজনীতির গোড়াপত্তন হয়: ওবায়দুল কাদের  ◈ এলডিসি উত্তরণের পর সর্বোচ্চ সুবিধা পাওয়ার প্রস্তুতি নিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ ◈ ড. ইউনূসের পুরস্কার নিয়ে ভুলভ্রান্তি হতে পারে: আইনজীবী 

প্রকাশিত : ১৪ অক্টোবর, ২০১৯, ০৭:২৬ সকাল
আপডেট : ১৪ অক্টোবর, ২০১৯, ০৭:২৬ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বালিশ, পর্দার পর এবার চার্জার কাণ্ড!

নিউজ ডেস্ক : পাবনার রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প, চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের বালিশ ও ফরিদপুর মেডিকেল কলেজের পর্দা দুর্নীতির পর এবার সামনে এলো বীমা খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের দুর্নীতি। বাংলাদেশ জার্নাল

জানা যায়, বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) কর্মকর্তাদের জন্য ২০১৭ সালে কেনা হয় কিছু মোবাইল ফোন, আইপ্যাড, মোবাইলের কভার ও চার্জার। সেই কেনার বিবরণে মোবাইল চার্জার কিনতে খরচ দেখানো হয়েছে ২২ হাজার ২৯০ টাকা। রয়েছে মোবাইলের দামেও বেশ গড়মিল।

মোবাইল চার্জার এর এমন অবিশ্বাস্য দামের বিষয়ে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের অবসরে যাওয়া সদস্য সুলতান উল আবেদীন মোল্লার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আইডিআরএ থেকে কখনও মোবাইলের চার্জার কেনার টাকা নেইনি। এ ছাড়া মোবাইলের চার্জারের দাম কিছুতেই ২২ হাজার টাকা হতে পারে না। এটা অবশ্যই অস্বাভাবিক।’

তিনি আরও বলেন, ‘এখন তো বালিশসহ কত কিছু বেরিয়ে আসছে। এখন খরচের খাতে আমার নাম দেখালে তো আমার কিছু করার নেই। আমি এখন আইডিআরএ নেই। আর আমি থাকা অবস্থাতেও কেউ আমার অগোচরে এটা করলে আমার কিছু করার নেই। জানা মতে এমন পার্সেস (ক্রয়) আমি করিনি।’

উল্লেখ্য, এর আগে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের পর ব্যাপক আলোচনায় আসে চট্টগ্রামে নতুন মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনে উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনায় (ডিপিপি)। যেখানে ৭৫০ টাকার বালিশ ক্রয়ে ব্যয় প্রস্তাব করা হয় ২৭ হাজার ৭২০ টাকা, আর বালিশের কাভারের দাম ধরা হয় ২৮ হাজার টাকা, যার বাজার মূল্য ৫০০ টাকা। এছাড়া মাত্র ২০ টাকার হ্যান্ড গ্লাভসের দাম ধরা হয় ৩৫ হাজার টাকা, আর ১৫ টাকার টেস্ট টিউবের দাম ধরা হয় ৫৬ হাজার টাকা।

একই সঙ্গে বিল্ডিং নির্মাণে মাল্টিপ্লাগের দাম ধরা হয় ৬ হাজার ৩০০ টাকা, যার বাজার মূল্য মাত্র ২৫০-৫০০ টাকা। অপারেশন থিয়েটারের রাবার ক্লথের বাজার মূল্য ৫-৭শ টাকা হলেও প্রকল্প প্রস্তাবে দাম ধরা হয় ১০ হাজার টাকা, রেক্সিনের বাজার মূল্য ৩-৫শ টাকা হলেও প্রতিটি ৮৪ হাজার টাকায় কেনার প্রস্তাব করা হয়। সুতি তোয়ালে বাজারে ১০০-১০০০ টাকায় পাওয়া গেলেও প্রস্তাবনায় ধরা হয় ৫ হাজার ৮৮০ টাকা। ডাক্তারদের সাদা গাউনের বাজার মূল্য ১০০-২০০০ টাকা হলেও প্রকল্পে প্রস্তাব করা হয় ৪৯ হাজার টাকা। সার্জিক্যাল ক্যাপ ও মাস্কের দাম ধরা হয় ৮৪ হাজার টাকা, যার বাজার মূল্য মাত্র ১০০-২০০ টাকা। বাজারে সু-কাভার প্রতিটির দাম ২০-৫০ টাকা, এখানে প্রস্তাব করা হয় ১৭ হাজার ৫০০ টাকা।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়