জেরিন মাশফিক: মদ্যপ চালকদের শনাক্ত করতে ‘অ্যালকোহল ডিটেক্টর’ নিয়ে রাস্তায় নেমেছে হাইওয়ে পুলিশ। গতকাল রোববার সকালে চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ের সোনাপাহাড় এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে এই যন্ত্র নিয়ে অভিযান চালাতে দেখা যায় হাইওয়ে পুলিশ সদস্যদের।
অভিযান চালানো কর্মকর্তারা বলছেন, প্রথমবারের মতো তাঁরা এই অ্যালকোহল ডিটেক্টর যন্ত্র নিয়ে অভিযানে নেমেছেন। মুখের বাতাস শুঁকে যন্ত্রটি ৪ সেকেন্ডের মধ্যে ওই ব্যক্তি মদ্যপ কি না, তা শনাক্ত করতে পারে। চীন থেকে আমদানি করা হয়েছে এ যন্ত্র।
বিষয়টি নিয়ে কৌতূহলী হয়ে ওঠেন অনেকেই। চালকদেরও দেখা যায় মুখে হাসি নিয়ে যন্ত্রটি মুখে ঢোকাতে দিচ্ছেন।
পুলিশ সদস্যরা জানালেন, এটিই অ্যালকোহল ডিটেক্টর। যন্ত্রটি দেখতে অনেকটা বড় মুঠোফোন সেটের মতো। সামনের দিকে চিকন পাইপের মতো বের হওয়া একটি অংশ আছে। মাদক পরীক্ষার অংশ হিসেবে এই যন্ত্রের সামনের পাইপ মুখে দিয়ে ফুঁ দিতে হয় চালকদের। এরপর চার সেকেন্ডের মধ্যেই যন্ত্রের মনিটরে ভেসে ওঠে ফলাফল। চালক মদ্যপ হলে শতাংশসহ ‘ইয়েস’ লেখা ওঠে। আর মদ্যপ না হলে ওঠে ‘নো’।
পুলিশ সদস্যরা জানান, ফলাফল ইয়েস হলে সে ক্ষেত্রে ওই চালকের নাম, গাড়ির নম্বর, লাইসেন্স নম্বর ও পরীক্ষাকারী পুলিশ কর্মকর্তার নাম, ব্যাজ নম্বর ও দায়িত্বরত ইউনিটের নাম যন্ত্রটিতে লিখে দিলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ওই চালক ও পুলিশ কর্মকর্তার সব তথ্যসহ একটি প্রিন্ট কপি বের হবে। তখন এই কাগজ দিয়ে মোটরযান আইনের ১৪৪ ধারায় অভিযুক্ত চালকের বিরুদ্ধে মামলা করা যাবে।
জোরারগঞ্জ হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক সোহেল সরকার প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল থেকে তাঁরা মিরসরাইয়ে অভিযান শুরু করেছেন। প্রথম দিন মহাসড়কের সোনাপাহাড় এলাকায় বিভিন্ন যানবাহনের ২৫ জন চালককে পরীক্ষা করে দেখা হয়েছে। তবে তাঁদের মধ্যে কোনো মদ্যপ চালক পাওয়া যায়নি।
আপনার মতামত লিখুন :