শিরোনাম
◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ সাভারে শো-রুমের স্টোররুমে বিস্ফোরণ, দগ্ধ ২ ◈ ইরানের ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের নতুন নিষেধাজ্ঞা ◈ আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম  ◈ চলচ্চিত্র ও টিভি খাতে ভারতের সঙ্গে অভিজ্ঞতা বিনিময় হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ মিয়ানমার সেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না: সেনা প্রধান ◈ উপজেলা নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আওয়ামী লীগের

প্রকাশিত : ১৪ অক্টোবর, ২০১৯, ০৫:৫৩ সকাল
আপডেট : ১৪ অক্টোবর, ২০১৯, ০৫:৫৩ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

জগন্নাথ হল ট্র্যাজেডির ৩৪ বছর, এখনও নিহত ছেলের জন্য মা করেন আহাজারি, বন্ধুর শূন্যতায় ভোগেন বন্ধু

দেবদুলাল মুন্না: আগামীকাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) শোক দিবস পালিত হবে। জগন্নাথ হল ট্র্যাজেডির ৩৪ বছর পূর্ণ হচ্ছে আগামীকাল। ১৯৮৫ সালের ১৫ অক্টোবর রাতে জগন্নাথ হলের একটি ভবন ধ্বসে পড়লে প্রায় ৩৫ জন মারা যান। পরে আহত অবস্থায় চিকিৎসাধীন থাকা আরও ৫ জন মারা যান। আহত হন তিনশতাধিক। প্রতিবছর ১৯৮৫ সালের ১৫ অক্টোবর রাতে জগন্নাথ হলে সংঘটিত মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় যেসব ছাত্র, কর্মচারী ও অতিথি নিহত হয়েছেন তাদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এই দিবসটি পালিত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো একটি বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়। দুর্ঘটনার রাতে বাংলাদেশ টেলিভিশনে প্রচারিত একটি ধারাবাহিক নাটক দেখতে ছাত্ররা ওই হলের মিলনায়তনে জড়ো হয়েছিল। সেরাতে প্রবল বৃষ্টি হচ্ছিলো। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের তদন্তে বলা হয় যে অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে পুরনো ও জীর্ণ ভবনটি ধ্বসে এই দুর্ঘটনা ঘটে। পরে এখানেই গড়ে ওঠে অক্টোবর ভবন। ওইদিন দুর্ঘটনায় নিহত ফলিত রসায়ন বিভাগের ছাত্র সুবল দাশের মা দুই বছর আগে রুপালি ব্যাংক থেকে অবসরে গিয়েছেন।তার স্বামী মারা গিয়েছিলেন মুক্তিযুদ্ধে।তাদের একমাত্র সন্তান ছিলেন সুবল। সেই সুবলের মৃত্যসংবাদ শুনে হলে ছুটে এসেছিলেন। তিনি বলেন, সেসময় এরশাদ সরকার নিহতের পরিবারকে মাত্র একলক্ষ টাকা দিয়েছিল। টাকা বড়ো কথা নয়। এতো বছরের পুরনোভবনটি যদি সংস্কার করা হতো দুর্ঘটনা ঘটার আগে তবে আমাকে আজ একা হতে হতো না।’

আরেক প্রত্যক্ষদর্শী বর্তমানে ডাচ- বাংলা ব্যাংকে কর্মরত সমীর কুমার সাহা বলেন, ‘ কয়েকদিন পরই ছুটিতে সবার বাড়ি ফেরার কথা ছিল। সেদিন ‘শুকতারা’ নামের একটি ধারাবাহিক নাটক চলছিল। গায়ক শুভ্রদেব সেই নাটকে অভিনয় করেছিলেন। তিনি যদিও তার মামা সুজেয় শ্যামের বাসায় থাকতেন কিন্তু জগন্নাথ হলের ছাত্র হিসেবে এটাচড ছিলেন। ওইদিনের নাটকের পর্বে তিনি অভিনয় করেছিলেন। ওইদিন বিকালে তিনি হলে এসেছিলেন।

অনেককে সুধীরের ক্যান্টিনে বসে আড্ডা দেওয়ার সময় বলেছিলেন, তার অভিনয়টি সেদিন দেখার কথা। ফলে হলের ছাত্র হিসেবে জগন্নাথ হলের অনেক ছাত্রই সেদিন টিভি রুমে নাটক দেখছিল। আমার দুপুর বেলা ইনকোর্স পরীক্ষা ছিল। দুপুরে খাওয়া হয়নি বলে দুঘর্টনা ঘটার কিছুক্ষণ আগে পলাশীতে খেতে যাই। ওখানে কাবার সময় শুনি হল ভেঙে পড়েছে। কিন্তু এতোজন মারা গেছে ভাবিনি।এরপর হলে ফিরে বিভৎস, মর্মান্তিক দৃশ্য দেখি। এতো লাশ , তো হাহাকার। কয়েকমাস ট্রমায় ছিলাম।’

আরেক প্রত্যক্ষদর্শী বর্তমানে টিআইবিতে কর্মরত সুলতান রেজা বলেন, ‘ জগন্নাথ হল দুর্ঘটনার সংবাদ চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। সে সময় জগন্নাথ হলে কোন ছাত্র সংসদ না থাকলেও দ্রুতই উদ্ধার কর্মে এগিয়ে আসেন তদান্তীন ডাকসু’র ভিপি আখতারজ্জামানের নেতৃত্বে অন্যান্য হলের শিক্ষার্থীরা। ছাত্রলীগের সভাপতি সুলতান মনসুরও দলের কর্মীদের নিয়ে এগিয়ে আসেন। হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ললিত মোহন নাথ চট্রগ্রাম থাকলেও পরদিন ছুটে আসেন। লাশ উদ্ধার কাজে যথেষ্ট সময় লেগেছিল। সেদিনই আমার সবচে কাছের বন্ধু বিপুল মারা যায়। এদিনটিতে শুধু নয়, মাঝে মাঝেই বিপুলের জন্যে আমার বুক ভারী হয়। মনে হয় কথা বলার আর কেউ নেই। ’

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়