জান্নাতুল ফেরদৌসী: আন্দোলনের কারণে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) ভর্তি পরীক্ষায় প্রভাব পড়েনি বলে জানিয়েছেন ভিসি অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলাম। সোমবার (১৪ অক্টোবর) সকালে তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবি পূরণে কয়েকটি কমিটি গঠন করছে বুয়েট প্রশাসন। শিগগিরই শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের স্থায়ী সমাধানের আশাবাদও ব্যক্ত করেন ভিসি। আবাসিক হলে অভিযান চলবে বলে জানান তিনি।
বুয়েটের হলে হলে অভিযান অব্যাহত থাকবে জানিয়ে ভিসি বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা যে কোনো প্রয়োজনে আমার সঙ্গে আলোচনা করতে পারে। আশা করি, তারা আমাদের সহযোগিতা করবে। কারণ তাদের দাবির বিষয়ে আমরা একমত।
বুয়েটে সকাল ৯টায় ভর্তি পরীক্ষা শুরু হয়েছে। দুপুর ১২টা পর্যন্ত প্রথম ধাপে ইঞ্জিনিয়ারিং ও আর্কিটেকচারের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। দুপুর ২টা থেকে ৪টা পর্যন্ত আর্কিটেকচারের বাকী ২ ঘণ্টার পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। বুয়েটে ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে পড়তে ৩ ঘণ্টার আর আর্কিটেকচার বিষয়ে পড়তে ৫ ঘণ্টার লিখিত পরীক্ষায় অংশ নিতে হয়। গতকাল ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. প্রাণ কানাই সাহা সাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এ বছর ১২টি বিভাগের ১ হাজার ৬০টি আসনের বিপরীতে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে আবেদন করেছেন ১২ হাজার ১৬১ প্রার্থী। গতকাল বুয়েট ভিসি সাংবাদিকদের বলেন, ভর্তি পরীক্ষা নেয়ার জন্য সকল ধরণের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে তার বিশ্ববিদ্যালয়।
গতকাল রোববার ও আজ সোমবার আন্দোলন স্থগিত করে আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে আবারো আন্দোলনে যাবে বুয়েট শিক্ষার্থীরা।
গত ৬ই অক্টোবর গভীর রাতে বুয়েটের শেরে বাংলা হলের ১০১১ নম্বর কক্ষের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা করে ছাত্রলীগ। তার বিরুদ্ধে শিবিরের রাজনীতির সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ তোলা হয়। এ ঘটনায় বুয়েটসহ সারাদেশের ক্যাম্পাসগুলো উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। হত্যাকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তিসহ ১০ দফা দাবিতে লাগাতার আন্দোলন শুরু করে বুয়েটের শিক্ষার্থীরা। এক পর্যায়ে বুয়েট প্রশাসন শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নিয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। নিষিদ্ধ করা হয় বুয়েটে সব ধরণের রাজনৈতিক কার্যক্রম।
সূত্র: যমুনা টিভি, ডিবিসি নিউজ
আপনার মতামত লিখুন :