আসিফুজ্জামান পৃথিল : এই মুহুর্তে বিশ্বের সবচেয়ে বড় স্বাস্থ্যঝুঁকি বিবেচনা করা হচ্ছে স্থুলতাকে। বলা হয়ে থাকে এখন কারো দুর্ভিক্ষে মৃত্যুর চেয়ে মোটা হয়ে মৃত্যুর সম্ভাবনা কয়েক হাজার গুন বেশি। ইউনিসেফের ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিউ প্রতি বছর সারা বিশ্বের স্থুলতার চিত্র প্রকাশ করে থাকে। ২০১৯ মালের প্রতিবেদনে ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিউ জানাচ্ছে স্থুলতার পরিমাণ ও বিএমআই এর গড় দুই সূচকেই বিশ্বের অন্যতম ক্ষীণকায় বাংলাদেশিরা।
বাংলাদেশের মাত্র ৩.৬ শতাংশ মানুষ স্থুলকায়। আর বাংলাদেশিদের গড় বিএমআই ২১। শুধু ইথিওপিয়ার গড় বিএমআইই বাংলাদেশের চেয়ে কম। আর শতাংশের হারে মোটা মানুষ কম শুধুই ভিয়েতনামে। স্থুলতার বিচারে বিশ্বের শীর্ষ ১০ শুকনো মানুষের দেশ হলো; ভিয়েতনাম, বাংলাদেশ, কম্বোডিয়া, ভারত, নেপাল, জাপান, ইথিওপিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, ইরিত্রিয়া ও শ্রীলঙ্কা। এই ১০ দেশের মধ্যে ৪টিই দক্ষিণ এশিয়ার। দক্ষিণ এশিয়ায় সবচেয়ে মোটা পাকিস্তানিরা। দেশটির ৮.৬০ শতাংশ মানুষই স্থুলকায়। এরপরই রয়েছে মালদ্বীপ। তাদের ৮.৬০ শতাংশ মানুষ মোটা।
শতাংশের বিচারে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি মোটামানুষ বাস করে আমেরিকান সামোয়ায়। দেশটির ৭৪.৬০ শতাংশ মানুষই অতিরিক্ত মোটা। তাদের গড় বিএমআই ৩৪.৯! তবে দেশটির জনসংখ্যঅ মাত্র ৫৫ হাজার ৩১২ জন। শীর্ষ দশে থাকা প্রতিটি দেশই প্রশান্ত মহাসাগরের দ্বীপ এবং জনসংখ্যা নগন্য। আর প্রকৃতিগতভাবেই পলিনেশিয়ানরা একটি মোটাসোটা হয়ে থাকেন। তবে মোটামোটি একটু বড় দেশের মধ্যে সবচেয়ে মোটা কুয়েতের জনগন। তাদের ৩৭.৯০ শতাংশ মানুষ অতিরিক্ত মোটা। আর তাদের গড় বিএমআই ৩০। এরপরই আছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির ৩৬.২০ শতাংশ মানুষ অতিরিক্ত মোটা। এরপরই বড় দেশগুলোর মধ্যে আছে জর্ডান, সৌদি আরব, কাতার, বারমুডা, লিবিয়া, লিবিয়া, তুরস্ক, মিসর লেবানন, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহামা ও নিউজিল্যান্ড। ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিউ জানাচ্ছে বর্তমানে বাংলাদেশের জনসংখ্যা ১৬ কোটি ৩০ লাখ ৪৬ হাজার ১৬১ জন। সম্পাদনা : খালিদ আহমেদ
আপনার মতামত লিখুন :